Russia-Ukraine Conflict: ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরতে নারাজ ভারতীয় চিকিৎসক, কারণ জানলে অবাক হবেন…
Russia-Ukraine Conflict: বিবিসি জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই পাটিল নিজের পোষ্যদের নিয়ে ওই বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। শুধুমাত্র তাদের খাবার কেনা ছাড়া তিনি সেই বাঙ্কারের বাইরে বেরচ্ছেন না।
নয়া দিল্লি: ইউক্রেনে রাশিয়ান হানার (Russia-Ukraine Conflict) ১১ দিন ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত। কিন্তু এখনও স্থায়ীভাবে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। ‘অপারেশন গঙ্গা’-র (Operation Ganga) মাধ্যমে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে থেকে অনেখ ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে এনেছে ভারত সরকার। আরও অনেক নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ান হানায় এক ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যু ও আরও এক ভারতীয় ছাত্র গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে সেদেশে থাকা ভারতীয়দের মধ্য আতঙ্ক আরও বেড়েছে, তাই সেদেশে থাকা ভারতীয়দের মধ্যে দেশে ফিরে আসা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। ইউক্রেনে এমন এক ভারতীয় চিকিৎসক আছেন, সে একটি বিশেষ কারণে দেশে ফিরতে চাননা। ভারতীয় চিকিৎসক গিরিকুমার পাটিল নিজের দুটি পোষ্যকে নিয়ে একটি বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। তার দুটি পোষ্যও সাধারণ পোষ্যের থেকে আলাদা- একটি চিতাবাঘ ও একটি প্যান্থার। তাঁর বাঙ্কারটি ডনবাস অঞ্চলের সেভেরোডোনেটস্কে অবস্থিত।
ডাঃ পাটিল যেখানে রয়েছেন, সেই এলাকাটি ইউক্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেই এলাকার পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ দিকে যাচ্ছে। তবে পাটিল তাঁর ওই দুটি সেখানে ফেলে রেখে যেতে রাজি নন। দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি জানিয়েছেন, “আমি আমার নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য আমার পোষ্যদের কখনই ছেড়ে যাব না। যদিও আমার পরিবার আমাকে বারবার ফিরে আসতে অনুরোধ করছে। আমার পোষ্যরা আমার সন্তানের মত। আমি আমার নিঃশ্বাস অবধি ওদের সঙ্গে থাকব ও এবং ওদের রক্ষা করব।” ২০০৭ সালে ডাক্তারি পড়ার জন্য ইউক্রেনে গিয়েছিলেন পাটিল। এরপর থেকে তিনি ডনবাসেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এরপর তিনি অর্থোপেডিকস হিসেবে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। স্থানীয় চিড়িয়াখানা অসুস্থ অবস্থায় তিনি জাগুয়ারটিকে উদ্ধার করেছিলেন এবং স্থানীয় সংস্থার অনুমতিক্রমে তিনি তাঁকে দত্তক নেন। জাগুয়ারটির ইয়াশা নাম দেন ওই চিকিৎসক। দু’মাস আগে জাগুয়ারের সঙ্গী হিসেবে তিনি একটি ব্ল্যাক প্যান্থারকে নিয়ে এসেছিলেন।
বিবিসি জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই পাটিল নিজের পোষ্যদের নিয়ে ওই বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। শুধুমাত্র তাদের খাবার কেনা ছাড়া তিনি সেই বাঙ্কারের বাইরে বেরচ্ছেন না। পুরুষ জাগুয়ারটির বয়স ২০ মাস এবং মহিলা ব্ল্যাঙ্ক প্যান্থারটির বয়স মাত্র ৬ মাস। ৪০ বছর বয়সী পাটিল বিবিসিকে জানিয়েছেন, “আমার পোষ্যগুলি বেসমেন্টে আমার সঙ্গে দিন কাটাচ্ছে। আমাদের আশেপাশে ক্রমাগত গোলাবর্ষণ চলছে। তাঁরা ভয় পেয়ে যাচ্ছে এবং ঠিকভাবে খাবারও খাচ্ছে না। আমি তাদের ছাড়তে পারব না।” পাটিল অন্ধ্র প্রদেশের বাসিন্দা। তাঁর আশা, সরকার পোষ্যগুলিকে নিয়ে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেবে।