Israel Hamas War: হামাসের ধর্ষণে হওয়া বাচ্চাদের কি জন্ম দেবেন ইজরায়েলি মহিলারা?

Israeli Women impregnated by Hamas: যুদ্ধবন্দিদের ঘরে ফেরানোর আগে, এক বড় প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে ইজরায়েল সরকার। হামাস সদস্যরা ধর্ষণ করার ফলে, অনেক ইজরায়েলি মহিলাই গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন। তাঁদের কি গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হবে? নাকি এই অবাঞ্ছিত গর্ভধারণের ফলে সন্তান প্রসব করতে হবে তাঁদের?

Israel Hamas War: হামাসের ধর্ষণে হওয়া বাচ্চাদের কি জন্ম দেবেন ইজরায়েলি মহিলারা?
৭ অক্টোবর বহু মহিলাকে অপহরণ করেছিল হামাসImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Jan 25, 2024 | 7:35 PM

তেল আবিব: ৭ অক্টোবরের ইজরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার সময়, হামাস সদস্যদের বিরুদ্ধে ইজরায়েলি মহিলাদের ধর্ষণ করার অভিযোগ করেছিল তেল আবিব। ওই দিন বহু মহিলাতে তারা অপহরণ করে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল। তাদের কয়েকজনকে মুক্তি দেওয়া হলেও, অধিকাংশই এখনও হামাসের হাতে বন্দি। বন্দি অবস্থাতেও তাদের ধর্ণ ও অন্যান্য যৌন অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে বলে ইজরায়েলি সরকারের দাবি। চার মাস কেটে গেলেও, গাজায় আকাশ ও স্থল পথে হামলা চালানোর পরও, এই যুদ্ধবন্দিদের মুক্ত করতে পারেনি ইজরায়েল। যার জেরে এখন যুদ্ধবন্দিদের পরিবারবর্গের ক্ষোভের মুখে পড়েছে নেতানিয়াহু সরকার। তবে, এই যুদ্ধবন্দিদের ঘরে ফেরানোর আগে, এক বড় প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে ইজরায়েল সরকার। হামাস সদস্যরা ধর্ষণ করার ফলে, অনেক ইজরায়েলি মহিলাই গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন। তাঁদের কি গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হবে? নাকি এই অবাঞ্ছিত গর্ভধারণের ফলে সন্তান প্রসব করতে হবে তাঁদের?

এমনিতে, ইজরায়েলে গর্ভপাতকে বিশেষ উৎসাহ দেওয়া হয় না। গর্ভপাতের অনুমোদন দেওয়ার জন্য এক বিশেষ কমিটি রয়েছে। সেই কমিটির কাছে গর্ভপাতের অনুরোধ করার পর, তারা পরিস্থিতি বিতার করে তা মঞ্জুর করে থাকে। কিন্তু, হামাস সদস্যদের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে যারা গর্ভবতী হয়ে পড়েছে, তারা গর্ভপাতের আবেদন করলে কী হবে? এই মহিলাদের ইজরায়েল ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিয়ে, সম্প্রতি সেই দেশের হাসপাতাল এবং গাইনোকোলজিস্টদের মধ্যে একটি আলোচনা হয়েছে। তারপর, ইজরায়েল সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হওয়া মহিলাদেরই ঠিক করতে হবে, তাঁরা গর্ভপাত করাবেন নাকি, ওই শিশুদের রেখে দেবেন। যে মহিলারা তাদের বাচ্চাদের রাখার সিদ্ধান্ত নেবেন, তাদের সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক, আইনি এবং মানসিক স্বাস্থ্যগত সহায়তাও দেওয়া হবে।

এদিকে, বন্দীদের আত্মীয়রা ভয় পাচ্ছেন, তাদের প্রিয়জনরা যত বেশি সময় ধরে হামাসের হাতে বন্দি থাকবে, ততই তাঁদের গর্ভবতী হয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়বে। আর যাঁরা ইতিমধ্যেই গর্ভবতী, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে যদি তাদের মুক্ত না করা যায়, তাহলে গর্ভপাত করার জন্য অনেক দেরি হয়ে যেতে পারে। তাই, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কাছে তারা, অবশিষ্ট যুদ্ধবন্দিদের মুক্ত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন। তাদের আশঙ্কা অবশ্য অমূলক নয়। গত মাসে সংবাদ সংস্থা, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস রিপোর্ট করেছিল, হামাস যে ইজরায়েলি অসামরিক নাগরিকদের মুক্তি দিয়েছে, তারা বন্দি অবস্থায় যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন। শুধু মহিলারা নন, যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন পুরুষরাও।

এখনও পর্যন্ত ১১০ পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। আরও প্রায় ১৩০ জনেরও বেশি ইজরায়েলি এখনও বন্দি। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে অন্তত ১০ জন পুরুষ ও মহিলা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তাঁদের সহবন্দিরা। গাজায় ৫০ দিনেরও বেশি সময় বন্দি ছিলেন চেন আলমোগ-গোল্ডস্টেইন। গত মঙ্গলবার ইজরায়েলি পার্লামেন্টে তিনি জানিয়েছেন, হামাসের হাতে বন্দি বেশ কিছু ইজরায়েলি তরুণীর ঋতুস্রাব হচ্ছে না। যা, গর্ভাবস্থার লক্ষণ বলে ধরা হয়। তিনি বলেন, “এমন বেশ কিছু মহিলা আছেন যাদের দীর্ঘদিন ধরে মাসিক হচ্ছে না। আমাদের সকলের প্রার্থনা করা উচিত, যাতে তাঁরা তাঁদের শরীরটা বাঁচাতে পারে। ধর্ষণ থেকে গর্ভবতী না হয়ে পড়ে।”

হামাসের হাতে বন্দি ছিলেন আভিভা সিগেলও। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, “ইজরায়েলি মহিলা বন্দিদের জন্য হামাস সদস্যরা ‘অনুপযুক্ত পোশাক’ নিয়ে আসত। এমনকি, তাদের পুতুলের পোশাক পর্যন্ত পরিয়ে রাখা হয়েছে। সিগেলের দাবি, বস্তুত, মহিলা বন্দিদের হাতের পুতুলে পরিণত করেছে হামাস সদস্যরা। মহিলা বন্দিদের সঙ্গে, তারা যখন খুশি, যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। এরপরও যে ওই মহিলারা সেখানে বন্দি আছে, সেটাই অবিশ্বাস্য।”