Russia-Ukraine Conflict: খেরসন হাতছাড়ার কথা স্বীকার ইউক্রেনের, প্রতিরোধ ভাঙছে কিয়েভ-মারিউপোলেরও
Russia-Ukraine Conflict: খেরসনের মেয়র ইগোর কোলিখায়েভ জানান, রুশ সেনা দখলে ঢুকে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। তারা প্রশাসনিক বিল্ডিংয়ের ভিতরেও ঢুকে, সেই জায়গাগুলির দখল নিয়েছে। সংঘর্ষে বহু স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কিয়েভ: সপ্তাহ পার হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের। যতই সময় পার হচ্ছে, বিপদ বাড়ছে ইউক্রেনের। বুধবারই ইউক্রেনের খেরসন শহর দখল করে নেয় রাশিয়ার সেনা। দখল করার চেষ্টা চলছে কিয়েভ ও খারকিভও। এই পরিস্থিতিতে ভারত সরকারের তরফেও দ্রুতগতিতে উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে। এদিন ভোরেই ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ গ্লোবমাস্টার তিনটি বিমান কয়েক হাজার ভারতীয়দের নিয়ে হিন্দন এয়ারবেসে এসে পৌঁছয়। গতকালই খেরসন দখল করে নেওয়ার কথা জানিয়েছিল রাশিয়া। সেই সময় ইউক্রেনের তরফে কোনও বিবৃতি প্রকাশ না করা হলেও, রাতেই খেরসনের মেয়র শহর দখল হয়ে যাওয়ার কথা জানান। এদিন সকালে ইউক্রেনীয় প্রশাসনের তরফেও খেরসন দখলের কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়।
গতকাল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কির দফতর থেকে যখন জানানো হয় যে খেরসনে এখনও যুদ্ধ চলছে, সেই সময়ই খেরসনের মেয়র ইগোর কোলিখায়েভ জানান যে রাশিয়ার সেনাবাহিনী খেরসনের বন্দর দখল করতে যাচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পরেই রাশিয়ান আধিকারিকরা দাবি করেন যে, খেরসনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ সেনা।
খেরসনের মেয়র ইগোর কোলিখায়েভ জানান, রুশ সেনা দখলে ঢুকে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। তারা প্রশাসনিক বিল্ডিংয়ের ভিতরেও ঢুকে, সেই জায়গাগুলির দখল নিয়েছে। সংঘর্ষে বহু স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান তিনি। রুশ সেনা গোটা শহরের দখল নেওয়ার পরই মেয়র গুলি চালানো বন্ধ করার অনুরোধ করেন এবং রাস্তায় যত্রতত্র পড়ে থাকা দেহগুলি সংগ্রহ করার জন্য সময় চেয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। শহরে আর কোনও ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী নেই বলেই জানা গিয়েছে।
নিইপার নদীর তীরে অবস্থিত খেরসন দখল নেওয়ায় রাশিয়ার সেনা বাহিনীরই সুবিধা হবে, কারণ ওই নদী কৃষ্ণসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত। ইতিমধ্যেই কৃষ্ণসাগরে দাঁড়িয়ে হামলা চালাচ্ছে রুশ রণতরী। এবার খেরসনের দখল নেওয়ায় খালের পথ ধরে সহজে ইউক্রেনের ভিতরে ঢুকে পড়া এবং ক্রিমেনের পশ্চিমী অঞ্চলে পুনরায় জল সরবরাহ চালু করতে পারবে রুশ সেনা।
শুধু খেরসনই নয়, সামরিক অভিযানের প্রথম দিন থেকেই রাশিয়ার নিশানায় রয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ। বুধবারই খারকিভের মেয়র জানিয়েছেন রুশ সেনা ক্রমাগত হামলা চালিয়েই যাচ্ছে। শহরের আবাসনগুলির উপরও লাগাতার বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে। বুধবারই বোমাবর্ষণে চারজনের মৃত্য়ু ও নয়জন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
মারিউপোলের ডেপুটি মেয়রও জানিয়েছেন, টানা ১৫ ঘণ্টা ধরে গোলাবর্ষণ করছে রুশ সেনা। বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে শহরজুড়ে, আর কতক্ষণ রাশিয়ার সেনাবাহিনীর প্রতিরোধ করা যাবে, তা বলা যাচ্ছে না। সামরিক অভ্য়ুত্থানের ভয়ে কয়েকশো মানুষ ইতিমধ্যেই শহর ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন, কয়েকশো বাসিন্দার মৃত্যুও হয়েছে বলে দাবি।