Taiwan: মানব না ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’, চিনের প্রস্তাব ফেরালো তাইওয়ান, বাড়ল উত্তেজনা

Taiwan: চিনের 'এক দেশ, দুই ব্যবস্থা' প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল তাইওয়ান। চিনের প্রকাশ করা শ্বেতপত্র বাস্তবকে উপেক্ষা করে, বললেন তাইওয়ানিজ প্রেসিডেন্ট সাই ​​ইং-ওয়েন।

Taiwan: মানব না 'এক দেশ, দুই ব্যবস্থা', চিনের প্রস্তাব ফেরালো তাইওয়ান, বাড়ল উত্তেজনা
তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই চিনের প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল তাইওয়ান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 12, 2022 | 4:30 PM

তাইপেই: মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপেই সফর ঘিরে তাইওয়ান ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। তারইমধ্যে বেজিং-এর দেওয়া ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল তাইওয়ান। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ​​ইং-ওয়েনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “চিন আন্তঃপ্রণালী পরিস্থিতির বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে একটি ইচ্ছাপূর্ন চিন্তাধারায় এই শ্বেতপত্র জারি করেছে।”

প্রসঙ্গত বুধবারই তাইওয়ান নিয়ে তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে বেজিং। যেখানে, কীভাবে অর্থনৈতিক প্রণোদনা এবং সামরিক চাপের মাধ্যমে দ্বীপরাষ্ট্রটির উপর তাদের দাবি কায়েম করবে, তা বিশদে জানিয়েছে চিন। এরপরই এই মন্তব্য করলেন তাইওয়ানিজ প্রেসিডেন্ট।

কী বলা হয়েছিল, চিনের প্রকাশিত শ্বেতপত্রে? শ্বেতপত্রটিতে বেজিং বলেছে, “আমরা শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনের জন্য বিশাল জায়গা ছাড়তে প্রস্তুত। কিন্তু আমরা কোনওভাবেই বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের জন্য এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দেব না। শক্তি প্রয়োগ করা থেকে পিছিয়ে আসবে না চিন, এবং প্রয়োজনে আমরা সমস্ত বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি। তবে, বিচ্ছিন্নতাবাদী উপাদান বা বহিরাগত শক্তি কখনও যদি আমাদের টেনে দেওয়া লাল রেখা অতিক্রম করে, শুধুমাত্র সেই ক্ষেত্রে আমরা তাদের উসকানির জবাব দিতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।” এর আগে ২০০০ সালে তাইওয়ান বিষয়ে সর্বশেষ একটি শ্বেতপত্র জারি করেছিল চিন। তারপর আবার পেলোসির সফরের প্রেক্ষিতে এই শ্বেতপত্র জারি করা হয়েছে।

তবে, এই শ্বেতপত্র “মিথ্যায় পূর্ণ” বলে অভিযোগ করে নথিটি প্রত্যাখ্যান করেছে তাইওয়ানের মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল। এই মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলই চিন বিষয়ে দ্বীপরাষ্ট্রটির শীর্ষ নীতিনির্ধারক সংস্থা। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, “কোন পক্ষই অন্যের অধীন নয়, এই অবস্থাই তাইওয়ান বজায় রেখে চলবে। এখই সঙ্গে তাইওয়ান দৃঢ়ভাবে এক দেশ, দুই ব্যবস্থা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে। এটাই তাইওয়ান প্রণালীর বর্তমান অবস্থা এবং বাস্তবতা।

কী এই ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা নীতি’? এর আগে এই মডেল ব্যবহার করে হংকং এবং ম্যাকাও-কে গণপ্রজাতান্ত্রিক চিনের অন্তকর্ভূক্ত করেছিল চিন। ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি অনুসারে হংকং ও ম্যাকাও চিনা শাসনের অধীনেই স্বায়ত্তশাসন লাভ করেছিল। একইভাবে তাইওয়ানের উপরও সার্বভৌমত্ব দাবি করে বেজিং। তাইওয়ানের সমস্যার সমাধানের জন্য একই প্রস্তাব দিয়েছে তারা। সেই প্রস্তাব তাইপেই ফিরিয়ে দেওয়ার পর, কী প্রতিক্রিয়া দেয় বেজিং সেটাই এখন দেখার। নতুন করে ইউক্রেনে নাৎসি বাহিনীর উত্থান রোধ করা এবং নিজেদের সুরক্ষিত করার দাবি করেই রাশিয়া যুদ্ধ শুরু করেছিল। ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বা বহিরাগত শক্তির উসকানি’ – বেজিং গলায় অনেকটা কি মস্কোর সুরই শোনা যাচ্ছে?