AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ব্যাটিং লাইনআপ নয়, Rohit Sharma-Virat Kohli-এর অভাব বুঝছে BCCI ও ব্রডকাস্টার!

Rohit Sharma And Virat Kohli: বিরাট ও রোহিতের না থাকায় ইতিমধ্যেই ভারতে ভিউয়ারশিপ কমতে শুরু করেছে। ফলে, কিছুটা হলেও চাহিদা কমেছে বিজ্ঞাপনের।

ব্যাটিং লাইনআপ নয়, Rohit Sharma-Virat Kohli-এর অভাব বুঝছে BCCI ও ব্রডকাস্টার!
Image Credit: Abhishek Chinnappa/Getty Images
| Updated on: Jul 07, 2025 | 2:54 PM
Share

খুব বেশি পিছোতে হবে না। এই ধরুন জুনের ১১ তারিখের আশেপাশে। লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে চলছে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। এই নিয়ে তৃতীয়বার এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল হচ্ছে ইংল্যান্ডে। এর আগের দু’বার ফাইনাল হয়েছিল রোজবোল ও দ্য ওভালে। কিন্তু আগের দুই স্টেডিয়াম যা অর্থ উপার্জন করেছিল তার আশেপাশেও যেতে পারল না লর্ডস। কিন্তু কেন?

প্রথম দুই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালিস্ট দলের মধ্যে ছিল ভারতও। আর তৃতীয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে পারেনি রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। আর তাতেই প্রায় ৪ মিলিয়ন পাউন্ড বা ৪৫ কোটি টাকা লস হয়েছে লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের। এই উদাহরণ থেকেই বোঝা যায় ক্রিকেটের ময়দানে অন্তত অর্থের দিন থেকে ভারতীয় দলের ধারেপাশে কোনও দল আসে না।

ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের পরই ইংল্যান্ডে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে গিয়েছে শুভমন গিলের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। প্রথম দুই টেস্টে বিরাট ও রোহিতের অভাব বুঝতে দেয়নি গিল, পন্থ, রাহুল বা নবীন জস্বসী। কিন্তু বিরাট আর রোহিতের অভাব বুঝতে পারছে বিসিসিআই ও ব্রডকাস্টিং সংস্থা।

বিরাট ও রোহিতের না থাকায় ইতিমধ্যেই ভারতে ভিউয়ারশিপ কমতে শুরু করেছে। ফলে, কিছুটা হলেও চাহিদা কমেছে বিজ্ঞাপনের। আর সেখানেই চাপে পড়েছে ব্রডকাস্টিং এজেন্সি। ইংল্যান্ডে চিরকালই টেস্ট ম্যাচের আলাদা কদর রয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে টেস্ট সিরিজে যে উন্মাদনা দেখা যেত, তাতে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৪ মিলিয়ন পাউন্ড লস হওয়াকে বেঞ্চমার্ক হিসাবে ধরলে এই সিরিজেও বিরাট ক্ষতির মুখে পড়তে পারে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড, স্টেডিয়ামগুলো এবং ব্রডকাস্টাররা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই সিরিজে ৩ থেকে ৪ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতি হতে পারে। যদিও প্রথম দুই টেস্টে ঠিক কতটা ক্ষতি হয়েছে তা এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি। আগামীতে এই সিরিজি শেষের পর বিসিসিআই ও ইসিবি বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করলে জানা যাবে রোহিত ও বিরাট না থাকায় ঠিক কত টাকার আর্থিক ক্ষতি হল।