Stock Market: দালাল স্ট্রিটে রক্তক্ষরণ, ১৫ মিনিটে ২ লক্ষ কোটি টাকা খোয়ালেন লগ্নিকারীরা!
Dalal Street: বাজার খোলার ১৫ মিনিটের মধ্যে লগ্নিকারীরা প্রায় ২ লক্ষ খোয়ান। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলির বাজারে থাকা মূলধন প্রায় ১.৯১ লক্ষ কোটি টাকা কমে ৩৭৩.০৪ লরক্ষ কোটি টাকা হয়ে যায়। প্রায় প্রতিটি খাতেই এই পতন লক্ষ্য করা গেলেও, সবথেকে বেশি রক্তক্ষরণ দেখা গিয়েছে ব্যাঙ্কিং খাতে।
মুম্বই: এক ধাক্কায় অনেকটা পড়ল ভারতের দুই শেয়ার বাজার সূচক – সেনসেক্স ও নিফটি৫০। বুধবার (১৭ জানুয়ারি), বাজার খোলার সময় ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ সূচক, সেনসেক্স ছিল ১,৩৭১ পয়েন্ট নীচে। আর বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক, নিফটি৫০, ৩৯৫ পয়েন্ট নীচে ২১,৬৩৬ দিয়ে বাজার শুরু করে। ফলে বাজার খোলার ১৫ মিনিটের মধ্যে লগ্নিকারীরা প্রায় ২ লক্ষ খোয়ান। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলির বাজারে থাকা মূলধন প্রায় ১.৯১ লক্ষ কোটি টাকা কমে ৩৭৩.০৪ লরক্ষ কোটি টাকা হয়ে যায়। প্রায় প্রতিটি খাতেই এই পতন লক্ষ্য করা গেলেও, সবথেকে বেশি রক্তক্ষরণ দেখা গিয়েছে ব্যাঙ্কিং খাতে। নিফটি মিডক্যাপ ১০০ এবং নিফটি স্মলক্যাপ ১০০-ও অনেকটা নীচে ট্রেড করছে।
কিন্তু শেয়ার বাজারের এই পতনের কারণ কী? বাজার বিশেষজ্ঞরা বেশ কয়েকটি বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করছেন। মূলত দায়ী করা হচ্ছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ককে। সম্প্রতি ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাঙ্কটি তাদের ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকের আয়ের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এই সময়কালে মুনাফা গত বছরের তুলনায় ৩৩ শতাংশ বেড়েছে। যা লগ্নিকারীদের প্রত্যাশার কাছাকাছি ছিল তবে, এর মধ্যে এককালীন কর প্রদানের লাভও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের নেট সুদের আয়ও এই ত্রৈমাসিকে গত বছরের তুলনায় ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু তাও লগ্নিকারীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। এর পর থেকে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম ৬ শতাংশের বেশি পড়েছে। এর ফলে, সামগ্রিকভাবে বাজারে ব্যাঙ্কিং স্টকগুলির ক্ষতি হয়েছে। নিফটি ব্যাঙ্কের সূচক ২.৫ শতাংশ কমেছে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক শেয়ার বাজারের দুর্বলতাকেও দেশিয় বাজারে পতনের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক স্টক মার্কেটগুলির দুর্বলতার প্রভাব পড়ছে দেশিয় বাজারেও। এর জন্যও সূচকগুলির পতন ঘটেছে। এশিয় শেয়ার মার্কেট এখন নিম্নমুখী। বন্ডের ইল্ড বাড়ায়, মার্কিন স্টক মার্কেটের সূচকগুলিরও রাতারাতি পতন ঘটেছে। আগামী মার্চে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করের হার কমাবে বলে আশা করছিলেন লগ্নিকারীরা। কিন্তু, সম্প্রতি মার্কিন পেডেরাল ব্যার গভর্নর ইঙ্গিত দিয়েছেন, মূল্যবৃদ্ধি রুখতে এখনই হয়তো এই পথে হাঁটবেন না তাঁরা। ফলে লগ্নিকারীদের প্রত্যাশার মুখে ছাই পড়েছে। এটাও দেশিয় বাজারে এদিনের পতনের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।