Indian Railways: ইলেকট্রিক বা ডিজেল নয়, ভারতীয় রেল এবার চালাবে হাইড্রোজেন ট্রেন!
Hydrogen Train, Indian Railways: ইলেকট্রিক লোকোমোটিভে ওভারহেড তার থেকে বিদ্যুৎ আসে। অন্যদিকে, ডিজেল চালিত লোকোমোটিভে শক্তি উৎপাদনের মূল জ্বালানি হল ডিজেল। ফলে, ধোঁয়া ও কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়। কিন্তু হাইড্রোজেন ট্রেনে হাইড্রোজেন ও বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেন বিক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করে।

এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে একদিকে তথ্য প্রযুক্তি সেক্টর যেমন দেখছে আগামীর প্রযুক্তির কারসাজি। তেমনই আগামীর প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় রেলও। এবার কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে ও নতুন উদ্ভাবন হিসাবে চালু হতে পারে হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন। কারণ, ইতিমধ্যেই ভারতীয় রেল প্রথম হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন তৈরির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে।
ভারতীয় রেলের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ২০৭০ সালের মধ্যে নেট জিরো কার্বন নির্গমনের লক্ষ্য পূরণ করা। বর্তমানে ইলেকট্রিক ও ডিজেল লোকোমোটিভ রেল চলাচলের মূল ভূমিকা পালন করছে। তবে ডিজেল লোকোমোটিভে তো বটেই, ইলেকট্রিক লোকোমোটিভেও কার্বন নিঃসরণ শূন্য হয় না। তবে হাইড্রোজেল চালিত ট্রেন চালু হলে কার্বন নিঃসরণ একেবারে শূন্যে নেমে আসবে বলেই আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইলেকট্রিক লোকোমোটিভে ওভারহেড তার থেকে বিদ্যুৎ আসে। অন্যদিকে, ডিজেল চালিত লোকোমোটিভে শক্তি উৎপাদনের মূল জ্বালানি হল ডিজেল। ফলে, ধোঁয়া ও কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়। কিন্তু হাইড্রোজেন ট্রেনে হাইড্রোজেন ও বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেন বিক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করে। আর একমাত্র উপজাত পদার্থ হিসাবে জল বা জলীয় বাস্প বের হয়। যা একেবারে কার্বন শূন্য প্রক্রিয়া।
হাইড্রোজেন ট্রেনের আরও একটি সুবিধা হল এই ট্রেন চললে বায়ু দূষণের সঙ্গে সঙ্গে শব্দ দূষণও কমে যাবে। তা ছাড়া এই ট্রেনে মাত্র ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যেই জ্বালানি ভরা যাবে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, সরকার ৩৫টি হাইড্রোজেন ট্রেন চালানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাকট্রিতে এই ট্রেন তৈরি হতে পারে। এই ট্রেনের দু’দিকে থাকবে ইঞ্জিন ও মাঝে থাকবে ৮টি কোচ। নয়া এই ট্রেন সেটে ২ হাজার ৬০০ যাত্রী একসঙ্গে যাতায়াত করতে পারবে।
