Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

৮ থেকে ৮০ ডুবে থাকত এর স্বাদে, বাংলাদেশ-মিশরেও রয়েছে কারখানা, কীভাবে দেশের পছন্দ হয়ে উঠেছিল রসনা?

Rasna: ১৯৭০-র দশকে আরিজ প্রথম সফ্ট ড্রিঙ্কের প্যাকেটে রসনা বিক্রি করা শুরু করেন। তার চমকই ছিল, বাকি প্রতিযোগী ব্রান্ডগুলির থেকে অনেকটা দাম কম রাখা। দাবি করা হত, ৫ টাকার প্যাকেটে ৩২ গ্লাস রসনা তৈরি করা যায়।

৮ থেকে ৮০ ডুবে থাকত এর স্বাদে, বাংলাদেশ-মিশরেও রয়েছে কারখানা, কীভাবে দেশের পছন্দ হয়ে উঠেছিল রসনা?
রসনা।Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Updated on: Apr 13, 2025 | 2:22 PM

নয়া দিল্লি: গরম পড়তেই হাসফাঁস দশা। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায় রোদে বেরিয়ে। তখন তেষ্টা মেটাতে অনেকেই থাম্বস আপ, কোকা কোলার মতো সফট ড্রিঙ্কসে হাত বাড়ান। তবে ৯০-র দশকে বা একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে যাদের শৈশব কেটেছে, তাদের কাছে গ্রীষ্মকাল বলতেই ছিল স্কুল থেকে ফিরে এক গ্লাস রসনা। বাচ্চা থেকে বুড়োদের কাছে এখনও  ব্যাপক জনপ্রিয় রসনা। কীভাবে এই ব্রান্ড তৈরি হল জানেন?  কীভাবেই বা এত জনপ্রিয়তা পেল যে এখনও সাধারণ মানুষের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে?

৯০-র দশকে পণ্যের জনপ্রিয়তা নির্ভর করত বিজ্ঞাপনের উপরে। সার্ফের ‘দাগ আচ্ছে হ্যায়’ থেকে এশিয়ান পেইন্টসের ‘হার ঘর কুছ কেহতা হ্যায়’- এই জিঙ্গলগুলি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়েছিল। রসনার বিজ্ঞাপনেও দেখা যেত একদল কচিকাচাকে, যারা এক সুরে বলত, “আই লাভ ইউ রসনা”।

রসনা তৈরি হয়েছিল আরিজ পিরোজশা খামবাট্টা নামক এক ব্যক্তি। শুধু দেশ নয়, গোটা বিশ্বেই জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন রসনাকে। ৬০টি দেশে পাওয়া যায় রসনা। তবে রসনার যাত্রা কিন্তু শুরু হয়েছিল অনেক আগে থেকে। বাবা ফিরোজ খামবাট্টার থেকে রসনার ব্যবসার দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

১৯৭০-র দশকে আরিজ প্রথম সফ্ট ড্রিঙ্কের প্যাকেটে রসনা বিক্রি করা শুরু করেন। তার চমকই ছিল, বাকি প্রতিযোগী ব্রান্ডগুলির থেকে অনেকটা দাম কম রাখা। দাবি করা হত, ৫ টাকার প্যাকেটে ৩২ গ্লাস রসনা তৈরি করা যায়। আরিজের এই স্ট্রাটেজিই রসনাকে প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিয়েছিল। বিশেষ করে মধ্যবিত্তদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয় রসনা।

তবে জানেন কি, রসনার নাম কিন্তু শুরুতে অন্য কিছু ছিল। প্রথমে রসনার ব্রান্ডের নাম ছিল জাফে (Jaffe)। ১৯৮০-৯০ দশকে বিজ্ঞাপন থেকেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে রসনা। তার ট্যাগলাইন আই লাভ ইউ রসনা প্রতিটি শিশুর মুখে ছিল।

এতটাই জনপ্রিয়তা লাভ করে রসনা যে ৯টি ম্যানুফাকচারিং প্লান্ট ও ২৬টি ডিপো তৈরি করা হয়। ভারতের বাইরে বাংলাদেশ, দুবাই, সৌদি আরব ও মিশরে রসনার কারখানা রয়েছে। পরবর্তী সময়ে রসনা চা, আচার, চাটনি ও ফ্রুট জ্য়ামও বাজারে আনে, যদিও এগুলি সেভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি।