লাভ কমেছে, তারপরও কেন Africa-র দিকে ঝুঁকছে Airtel-এর Indus Towers?
Indus Towers, Africa: এই মুহূর্তে এয়ারটেল আফ্রিকার গ্রাহক সংখ্যা ১৬ কোটি ৬১ লক্ষ। সংস্থার লক্ষ্য, এয়ারটেলের এই বিশাল পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে আফ্রিকার টেলিকম টাওয়ারের বাজারে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করা।

ভারতীয় টেলিকম সংস্থা এয়ারটেলের অধীনস্থ সংস্থা ইন্ডাস টাওয়ার্স এবার আফ্রিকার বাজারে নিজেদের ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা ঘোষণা করল। ২০২৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর, সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রথম পর্যায়ে নাইজেরিয়া, উগান্ডা ও জাম্বিয়াতে কাজ শুরু করবে তারা। এই ঘোষণা টেলিকম মহলে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, আফ্রিকার ১৪টি দেশে ইতিমধ্যেই ব্যবসা করে ভারতী এয়ারটেল।
এই মুহূর্তে এয়ারটেল আফ্রিকার গ্রাহক সংখ্যা ১৬ কোটি ৬১ লক্ষ। সংস্থার লক্ষ্য, এয়ারটেলের এই বিশাল পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে আফ্রিকার টেলিকম টাওয়ারের বাজারে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করা। ইন্ডাস টাওয়ার্সের এমডি ও সিইও-র মতে, ‘এই পদক্ষেপটি সংস্থার দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে’। তিনি আরও বলেন, আফ্রিকার বাজার হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এমন বাজারে সংস্থা আশা করছে তারা একটি বিশেষ জায়গা তৈরি করতে পারবে।
তবে এই আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ এমন সময়ে নিল এই সংস্থা, যখন তারা আয়, ব্যয় ও লাভ নিয়ে একটু চাপে রয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ইন্ডাস টাওয়ার্সের রাজস্ব ৯.১ শতাংশ বেড়ে ৮ হাজার ৫৮ কোটি টাকা হলেও, নিট মুনাফা ৯.৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকায়।
সংস্থা জানিয়েছে, ডিজেলের মতো জ্বালানির খরচ ১০ শতাংশ বৃদ্ধি ও নতুন টাওয়ার অধিগ্রহণের কারণে খরচ বেড়ে যাওয়ায় লাভ কমেছে। এর পাশাপাশি, অন্যতম প্রধান গ্রাহক ভোডাফোন আইডিয়ার আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগের কারণে সংস্থা আপাতত শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আফ্রিকার বাজারে ইন্ডাস টাওয়ার্সকে IHS Towers এবং American Tower Corp-এর মতো বড় সংস্থাগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। তাই, বিদেশের মাটিতে ব্যবসা বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করাই হবে ইন্ডাস টাওয়ার্সের কাছে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।
