Budget 2023 Expectation: বরাদ্দ বৃদ্ধি থেকে GST-তে ছাড়, স্বাস্থ্য় খাতে কতটা ‘নির্মল’ হবে নির্মলার বাজেট?
Budget 2023: স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের উন্নতির জন্য ইউনিভার্সাল হেলথ কেয়ার সিস্টেম তৈরির পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যতই আধুনিক পরিষেবা থাকুক না কেন, এখনও কতটা দুর্বল রয়েছে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। সেই কারণেই করোনা পরবর্তী সমস্ত বাজেটে (Budget 2023) বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্য় ক্ষেত্রেই (Health Care)। আসন্ন বাজেটেও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বাজেটে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এবারের বাজেটে একদিকে যেমন স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হবে, তেমনই চিকিৎসা ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের উপরেও বিশেষ জোর দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সূত্রে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বরাবরই স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির উপরে বিশেষ জোর দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নীতিতেও তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে বারংবার। গত ২০২২-২৩ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটেও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের খাতে ৮৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন, যা তার আগের বারের বাজেটে বরাদ্দের তুলনায় ১৬.৫ শতাংশ বেশি।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে। বিমা, ভ্য়াকসিন, আধুনিক প্রযুক্তি ও গবেষণা উন্নয়নে বিশেষ জোর দিতেই এই বরাদ্দ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের, এমনটাই জানা গিয়েছে।
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কী কী প্রত্যাশা রয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে?
- চিকিৎসক ও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ আরও বাড়ানো প্রয়োজন। প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন রোগের দেখাও দিচ্ছে। করোনাকালে যেভাবে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছিল, আগামিদিনে সেই পরিস্থিতির সম্মুখীন যাতে না হতে হয়, তার জন্যই স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজন। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর আরও উন্নতির প্রয়োজন।
- চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের কর ও জিএসটিতে ছাড় দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
- স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের উন্নতির জন্য ইউনিভার্সাল হেলথ কেয়ার সিস্টেম তৈরির পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
- চিকিৎসার পাশাপাশি ডায়গনস্টিক শিল্পের জন্যও বরাদ্দ বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে। কারণ সঠিক রোগ নির্ণয়ে একাধিক পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে। এই খাতে বরাদ্দ বাড়ালে, শহরতলি, গ্রামাঞ্চলেও ডায়গনস্টিক সেন্টার গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে জানানো হয়েছে।