Loan চাই? সাবধান! এই ভুল যদি করেন, জীবন শেষ
Personal Loan: সাবধান! সামান্য অসতর্কতাও আপনাকে ফেলে দিতে পারে বিরাট একটা ঋণের ফাঁদে। ফলে ঋণের আবেদন করার সময় এই ভুল একেবারেই করবেন না।

পার্সোনাল লোন চাই? অনলাইনে কয়েক মুহূর্তেই পেতে পারেন লোন। এই লোনে নেই কাগজপত্রের ঝামেলা। উল্টে রয়েছে প্রি-অ্যাপ্রুভাল অফার, আকর্ষণীয় সুদের হার। আর এই সব মিলিয়ে লোন পাওয়া আগের তুলনায় সহজ গিয়েছে অনেকটাই। কিন্তু সাবধান! এই ক্ষেত্রে সামান্য অসতর্কতাও আপনাকে ফেলে দিতে পারে বিরাট একটা ঋণের ফাঁদে। ফলে ঋণের আবেদন করার সময় এই ভুল একেবারেই করবেন না।
অনেকে যতটা প্রয়োজন, ততটাই লোন নেন। এতে বাড়ে EMI-এর চাপ। তাই আগে হিসেব করুন, প্রতি মাসে কত টাকা শোধ করতে পারবেন। মাসিক আয় থেকে খরচ বাদ দিয়ে দেখুন কতটা বাড়তি থাকে। সেটা হিসাব করেই ঋণ নিন।
ঋণের কাগজে সুদ, প্রসেসিং ফি, প্রি-ক্লোজার চার্জ—সবই লেখা থাকে। সই করার আগে সব কিছু ভাল করে পড়ুন। বুঝতে অসুবিধা হলে ঋণদাতা সংস্থা বা সংস্থার প্রতিনিধিকে প্রশ্ন করুন।
একাধিক ব্যাঙ্ক ও নন ব্যাঙ্কিং ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি বা NBFC পার্সোনাল লোন দেয়। ফলে তাদের প্রথম অফারেই লোন নিতে রাজি হবেন না। অন্য সংস্থার লোনের সুদ, প্রসেসিং ফি ইত্যাদি তুলনা করে সবচেয়ে সস্তা যেটা সেটা নিন।
আপনার ক্রেডিট রিপোর্টে আগের সব ঋণের তথ্য থাকে। ফলে, ব্যাঙ্ক বা এনবিএফসির সঙ্গে কথা বলার সময় এই তথ্য গোপন করলেই বিপদ। ঋণদাতা সন্দেহপ্রবণ হয়ে সুদ বাড়িয়ে দিতে পারে বা আবেদন খারিজ হতে পারে।
প্রয়োজন নয়, ইচ্ছে পূরণের জন্য লোন নেওয়া ভুল। দামি গ্যাজেট বা গাড়ির জন্য লোন নেওয়া মানেই অকারণে দায় তৈরি করা। ফলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভুলেও লোন নেওয়া ঠিক নয়।
পার্সোনাল লোন সহজলভ্য হলেও ফাঁদেও ফেলতে পারে। তাই আবেদন করার আগে এই ধরণের ভুল এড়িয়ে চলুন। সচেতন সিদ্ধান্তই আপনাকে বাঁচাবে অযাচিত ঝামেলা থেকে।
