Nasa: নবগ্রাম টু নাসা! আধপেটা খেয়েই সাফল্যের চূড়ান্তে হুগলির বিজ্ঞানী, চেনেন কি এনাকে?
Nasa: কিন্তু হুগলির এক কামরার ঘরটা পেরিয়ে কীভাবে পাড়ি দিলেন 'স্বপ্নপূরণের' আমেরিকায়? তাঁর লিঙ্কডিন প্রোফাইল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পথ পাড়ি দেওয়া মোটেই সহজ ছিল না। ছিল অনেকটা পরিশ্রম।

কলকাতা: নবগ্রাম টু নাসা। দূরত্বটা প্রায় ১৩ হাজার কিলোমিটার। কিন্তু যে কেউ কি এই এত হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই সেখানে প্রবেশের অনুমোদন পাবে? একদমই নয়। আসলে দূরত্বটা তো মেধার। যা গাড়ি বা বিমানের জোরে পাড় করা সম্ভব নয়। সম্ভব মেধার জোরে। আর সেটাই করে দেখিয়েছে এই বঙ্গসন্তান।
নাম গৌতম চট্টোপাধ্যায়। বাড়ি এই হুগলি জেলার নবগ্রাম এলাকা। অ্যাসবেস্টারের একটা ছাউনি ঘর। ছয় ভাই-বোনের সংসার, উপার্জনকারী বলতে একা বাবা। তাই খিদে তো ছিল তাদের রোজের সঙ্গী। সেটাকে সঙ্গে করেই কেটেছে ছোটবেলা। কিন্তু স্বপ্ন দেখা? পেট ভরা হোক কিংবা খালি, সেটা দেখার ক্ষমতা সবারই রয়েছে। আর সেটাকে বাস্তবে পরিণত করার ক্ষমতা রয়েছে কিছু গুটিকয়েক মানুষের হাতে। তিনিও হয়তো তাদের মধ্যেই একজন।
কিন্তু হুগলির এক কামরার ঘরটা পেরিয়ে কীভাবে পাড়ি দিলেন ‘স্বপ্নপূরণের’ আমেরিকায়? তাঁর লিঙ্কডিন প্রোফাইল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পথ পাড়ি দেওয়া মোটেই সহজ ছিল না। ছিল অনেকটা পরিশ্রম। ছেলেবেলা থেকে কিশোর জীবন পড়াশোনা করেছেন স্থানীয় একটি স্কুলে। তারপর সেখান থেকে ইলেকট্রনিক্সে স্নাতকের পড়াশোনা করতে ঢুকে পড়েন শিবপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স ও টেকনোলজিতে।
তারপর দেশত্যাগ। স্নাতকোত্তর করেছেন ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তারপর ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যালটেক থেকে করেছেন পিএইচডি। বলে রাখা ভাল, নিজের স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করে ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে টাটা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে রিসার্চের কাজ করেছিলেন তিনি। তারপর গোটা জীবন কাটিয়েছে আমেরিকায়। সেখান থেকেই পরবর্তীতে যোগ দেন নাসায়। বর্তমানে আমেরিকার এই সংস্থার সঙ্গে ২৫ বছর ধরে কাজ করছেন তিনি।





