Niti Aayog Report: স্কুলের সংখ্যায় ভারতের থেকে ৫ গুণ পিছিয়ে চিন, জানাল নীতি আয়োগ
Niti Aayog report: ২০২০ সালে, চিনে প্রায় ১ লক্ষ ৮০ বাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। চিনের মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি হল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ওই বছর বেসরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষার্থী নথিভুক্ত হয়েছিল ৫ কোটি ৫৬ লক্ষ। কিন্তু, এই ছবিটা অনেকটাই বদলে দিয়েছে কোভিড-১৯ মহামারি।
নয়া দিল্লি: স্কুল শিক্ষায় চিনকে অনেকটা পিছন ফেলল ভারত। স্কুলশিক্ষার বিষয়ে নীতি আয়োগ সর্বশেষ রিপোর্ট অনুসারে, ভারতের স্কুলের সংখ্যা এখন চিনের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি! সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিনে একের পর এক আন্তর্জাতিক এবং বেসরকারি স্কুল বর্তমানে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথবা, সেগুলিকে চালু রাখার জন্য একটির সঙ্গে আরেকটিকে একীভূত করতে হচ্ছে। চিন সরকারের কঠোর নিয়ম, মহামারি পরবর্তী সময়ের অর্থনৈতিক মন্দা এবং বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকাই চিনা স্কুলগুলির বেহাল দশার কারণ বলে জানা গিয়েছে।
২০২০ সালে, চিনে প্রায় ১ লক্ষ ৮০ বাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। চিনের মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি হল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ওই বছর বেসরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষার্থী নথিভুক্ত হয়েছিল ৫ কোটি ৫৬ লক্ষ। কিন্তু, এই ছবিটা অনেকটাই বদলে দিয়েছে কোভিড-১৯ মহামারি। সেই সঙ্গে মহামারি পরবর্তী সময়ে তাইওয়ানের সঙ্গে চিনের ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনাও ক্রমশ বেড়েছে। এই দুই ঘটনার জেরে বিপুল সংখ্যক বিদেশি নাগরিক চিন ছেড়েছেন। যার ফলে, সেখানকার আন্তর্জাতিক স্কুলগুলিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে কমেছে।
নীতি আয়োগ রিপোর্ট অনুযায়ী, স্কুলের সংখ্যায় চিনকে পিছনে ফেললেও, ভারতের বহু রাজ্যেই স্কুলগুলিতে শিক্ষার্থীর অভাব রয়েছে। অনেক রাজ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬০ জনেরও কম শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে একাধিক শ্রেণির পাঠদান, স্থানীয় মানুষের যোগদানের অভাব, দুর্বল পরিকাঠামো, এবং প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষের অভাব। যার কারণে পঠনপাঠন বন্ধ রেখে, শিক্ষকদেরই প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এই সমস্যার সমাধান হিসেবে স্কুলগুলিকে একিভূত করার পরামর্শ দিয়েছে নীতি আয়োগ। কম শিক্ষার্থী স্কুলে ভর্তি হওয়ার সমস্যার সমাধানে এটা অন্যতম কার্যকর সমাধান হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে সাথী (SATH-E) রাজ্যেগুলির স্কুলগুলির কথা। ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ এবং ওড়িশার রাজ্য সরকার এবং ভারত সরকার এই রাজ্যগুলির সমস্ত শিশুরা যাতে উচ্চ মানের শিক্ষা পায়, তা নিশ্চিত করতে যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগের নামই ‘সাথী প্রকল্প’। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাথী রাজ্যগুলিতে স্কুলগুলি একীভূত করে, কম শিক্ষার্থী থাকার সমস্যা দূর করতে সফল হয়েছে। রিপোর্টে বড় মাপের স্কুল কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় শিক্ষা নীতির সুপারিশ অনুযায়ী, রাজ্যগুলিকে বড় এবং সমন্বিত দ্বাদশ শ্রেণির স্কুল স্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।