Chhatisgarh Exit Poll: ছত্তীসগঢ়ে কি কুর্সি ধরে রাখতে পারবেন ভূপেশ বাঘেল? কী বলছে এক্সিট পোল?

এবারে ছত্তীসগঢ় বিধানসভা ভোটের সময়ই মহাদেব বেটিং কেলেঙ্কারিতে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের নাম জড়ায়। তিনি ৫০৮ কোটি টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যার প্রেক্ষিতে এবার উপজাতি-অধ্যুষিত এই রাজ্যে পদ্ম ফুটবে বলেই আশা করেছিলেন বিজেপি নেতারা। তবে বুথ ফেরত সমীক্ষা রিপোর্টে বিজেপির সেই আশায় জল পড়তে চলেছে।

Chhatisgarh Exit Poll: ছত্তীসগঢ়ে কি কুর্সি ধরে রাখতে পারবেন ভূপেশ বাঘেল? কী বলছে এক্সিট পোল?
ছত্তীসগঢ়ের কার দখলে থাকবে, বড় ইঙ্গিত বুথ ফেরত সমীক্ষা রিপোর্টে।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2023 | 7:56 PM

রায়পুর: ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ। এবার ফল প্রকাশের অপেক্ষা। ফল প্রকাশিত হবে আগামী ৩ ডিসেম্বর। তবে ইতিমধ্যে বুথ ফেরত সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। আর এই বুথ ফেরত সমীক্ষায় (Exit poll) এখনও পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে যেমন পালা বদলের ইঙ্গিত মিলছে, তেমনই ছত্তীসগঢ়ে (Chhatisgarh) পাল্লা ভারী কংগ্রেসের দিকে। মহাদেব বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারির মধ্যেও ছত্তীসগঢ়ে বুথ ফেরত সমীক্ষার এই রিপোর্ট স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেসের কাছে খানিক স্বস্তিদায়ক।

এখনও পর্যন্ত বুথ ফেরত সমীক্ষা রিপোর্টগুলিতে দেখা যাচ্ছে, ছত্তীসগঢ়ে ফের সরকার গড়তে পারে কংগ্রেস। তবে গত বিধানসভার মতো এবার জয় পাওয়া সহজ হবে না। বিজেপির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। পোলস্ট্র্যাটের সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯০টি আসনের ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেসের ঝুলিতে পড়তে পারে ৪০-৫০টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ৩৫-৪৫টি আসন। বিএসপি ও জেসিসি-র ঝুলিতে শূন্য। আর অন্যান্যরা পেতে পারে ৩টি আসন। এই রিপোর্ট বাস্তবায়িত হলে ফের সরকার গড়তে পারেন ভূপেশ বাঘেল। আবার চাণক্য-র সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, কংগ্রেস পেতে পারে ৫৭টি আসন। বিজেপির ঝুলিতে পড়তে পারে ৩৩টি আসন। আর অন্যান্যরা পাবে ৩টি আসন।

বুথ ফেরত সমীক্ষার এই রিপোর্ট একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কেননা গতবারেও বুথ ফেরত সমীক্ষা রিপোর্টের সঙ্গে প্রায় মিলে গিয়েছিল ভোটের ফল। ২০১৮ বিধানসভা ভোটের ফলের দিকে তাকালে দেখা যায়, কংগ্রেস ৬৮টি আসন জিতে সরকার গঠন করেছিল। বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ১৫টি আসন।

এবারে ছত্তীসগঢ় বিধানসভা ভোটের সময়ই মহাদেব বেটিং কেলেঙ্কারিতে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের নাম জড়ায়। তিনি ৫০৮ কোটি টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগকে হাতিয়ার করে শেষ মুহূর্তে জোরকদমে প্রচারে নামে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের কাছেও তদন্তের দাবি জানায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেন ভূপেশ বাঘেল। তবে ভোটের সময় এই ধরনের অভিযোগ ওঠায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়ে কংগ্রেস। এর মধ্যে প্রথম দফার ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে ভোটকেন্দ্রের অদূরে মাওবাদী হামলাও হয়। যার প্রেক্ষিতে এবার উপজাতি-অধ্যুষিত এই রাজ্যে পদ্ম ফুটবে বলেই আশা করেছিলেন বিজেপি নেতারা। তবে বুথ ফেরত সমীক্ষা রিপোর্টে বিজেপির সেই আশায় জল পড়তে চলেছে।

প্রসঙ্গত, এবারে ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের মধ্যে কেবল ছত্তীসগঢ়েই দু-দফায় ভোট গ্রহণ হয়। গত ৭ নভেম্বর মাও-অধ্যুষিত ২০টি আসনে এবং ১৭ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হয়। ভোটের আগের দিন মাও হামলাও হয়। তার মধ্যেও মাওবাদী অধ্যুষিত এই রাজ্যে রেকর্ড ভোট পড়েছিল। প্রথম দফায় ৭৮ শতাংশ এবং দ্বিতীয় দফায় ৬৯.৭৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।