‘কালকেউটের থেকেও ভয়ঙ্কর’, বিজেপি নয় এবার মমতার নিশানায় অন্য কেউ

সোমবার ভাঙরে (Bhangar) রেজাউল করিমের হয়ে ভোটপ্রচারে গিয়ে মমতা জানান, বয়সজনিত কারণে এবার আর ভোটে লড়তে চাননি রেজ্জাক মোল্লা। এরপরই সে কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয় রেজাউল করিমকে।

'কালকেউটের থেকেও ভয়ঙ্কর', বিজেপি নয় এবার মমতার নিশানায় অন্য কেউ
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Apr 05, 2021 | 7:24 PM

ভাঙর: ভাঙরে (Bhangar) ভোটপ্রচারে গিয়ে নাম না করে আব্বাস সিদ্দিকিকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আব্বাস ও তাঁর ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) বিজেপির হাত শক্ত করতেই সিপিএম ও কংগ্রেসের সঙ্গে ময়দানে নেমেছে বলে এদিন কটাক্ষ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, “ছ’ মাস রাজনীতি করেছে, প্রচুর টাকার মালিক হয়ে এখন সংখ্যালঘুর ভোট কাড়তে এসেছে।”

এদিন মমতা বলেন, “গুজরাট শাসন করবে বাংলা? অত সোজা নয়। তার থেকে তো গলায় দড়ি দিয়ে মরে যাব। বিজেপিকে এক ইঞ্চিও জায়গা ছাড়বেন না। বিজেপির তিনটে বন্ধু আছে সিপিএম, কংগ্রেস। আরেকটা কী জুটেছে, জীবনে মানুষকে দেখেনি। সংখ্যালঘুর ভোট কাড়তে আসছে। তিনি নাকি হঠাৎ করে বিজেপির টাকায় সংখ্যালঘুর নেতা হয়ে গিয়েছেন। কত বড় নেতা। কোথায় ছিলি রে ভাই? নেতা না ন্যাতা? বড় বড় সংখ্যালঘুদের কাছে সঙ্কীর্ণ বক্তব্য রাখছে, সাম্প্রদায়িক বক্তব্য রাখছে। কে তুই হরিদাস। টাকা নিয়ে বিজেপি হয়েছিস? আপনারা জানেন না এদের জন্য উত্তর প্রদেশে হেরেছে অখিলেশরা। এগুলোকে বিশ্বাস করতে হয়? এগুলো কালকেউটের থেকেও ভয়ঙ্কর। এগুলোকে ঢুকতে দেবেন না। ওর ভোট পাওয়া মানে বিজেপির ভোট পাওয়া। প্রচুর টাকার মালিক হয়েছে। ছ’ মাস রাজনীতি করেছে। ফুরফুরা শরিফকে আমরা সম্মান করি। এটা একটা অপদার্থ বেরিয়েছে। কিছু গদ্দার, মীরজাফর আছে তো। সবাই নয় কিন্তু।”

আরও পড়ুন: West Bengal Assembly Election 2021 Updates: বাবুলের প্রচারে টালিগঞ্জে রোড শো নাড্ডার

এক সময় সিপিএমের গড় ছিল এই ভাঙর বিধানসভা কেন্দ্র। ১৯৭২ সাল থেকে টানা এখানে রাজত্ব ছিল বামেদের। ২০০৬ সালে এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়েন আরাবুল ইসলাম। জয়ীও হন। কিন্তু ২০১১ সালে এই আসন হেরে যায় তৃণমূল। সেবারও দলের মুখ ছিল আরাবুলই। ২০১৬ সালে আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার হাত ধরে ফের এই কেন্দ্র দখলে পায় শাসকদল। এবার সে কেন্দ্রে তৃণমূলের মুখ চিকিৎসক রেজাউল করিম।

সোমবার ভাঙরে রেজাউল করিমের হয়ে ভোটপ্রচারে গিয়ে মমতা জানান, বয়সজনিত কারণে এবার আর ভোটে লড়তে চাননি রেজ্জাক মোল্লা। এরপরই সে কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয় রেজাউল করিমকে। এদিকে এ কেন্দ্রে আরাবুল চেয়েছিলেন এবার ফের প্রার্থী হতে। দল তাতে সায় না দেওয়ায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন ভাঙরের ‘ভূমিপুত্র’। দলে তাঁর প্রয়োজন ফুরিয়েছে বলেও খেদ প্রকাশ করেন আরাবুল।

গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, আরাবুল হয়তো নির্দল হয়ে ভোটে লড়তে পারেন। তবে তা তিনি করেননি। ‘ অভিমান’ দূরে রেখে এদিন দলনেত্রীর মঞ্চে দেখা যায় তাঁকে। যদিও আরাবুলের চোখে মুখে এদিন খুব একটা প্রশান্তির ছবি দেখতে পাননি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ভোটের বাক্সে তার প্রভাব পড়বে কি না তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অন্যদিকে আইএসএফ এখানে বেশ পসার সাজিয়েছে। যা তৃণমূলের জন্য নিঃসন্দেহে একটা বাড়তি চিন্তা। তাই বারবারই এদিন মমতা বলেছেন, “ফুরফুরা শরিফকে আমরা সম্মান করি। তবে এখন ওখান থেকে একটা গদ্দার বেরিয়েছে বিজেপির টাকা নিয়ে। ওই গদ্দারকে আমি বলে দেব, মনে রাখবেন বাংলায় গদ্দারি করে জেতা যাবে না।”