ঔপনিবেশিক চালা
Tv9 বাংলা ডিজিটাল: করোনার আবহে সমস্ত পুজো-পার্বণেই বিধিনিষেধ চরমে। তার মাঝেও নজর কাড়ল বৌবাজারের দাস বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজোর ব্যতিক্রমী সাজ। উনিশ শতকের বিশিষ্ট আইনজীবী, বিদ্যাসাগর-সুহৃদ বাবু শ্রীনাথ দাসের বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো এবার পদার্পণ করল ১৮৯তম বর্ষে। সেখানকার প্রতিমার চালা ঔপনিবেশিক ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতির মিশেলে এক্কেবারে ভিন্ন। কেমন সেই ব্যতিক্রমী চালা? দুইপাশে দাঁড়িয়ে পতাকা হাতে দুই […]
Tv9 বাংলা ডিজিটাল: করোনার আবহে সমস্ত পুজো-পার্বণেই বিধিনিষেধ চরমে। তার মাঝেও নজর কাড়ল বৌবাজারের দাস বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজোর ব্যতিক্রমী সাজ। উনিশ শতকের বিশিষ্ট আইনজীবী, বিদ্যাসাগর-সুহৃদ বাবু শ্রীনাথ দাসের বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো এবার পদার্পণ করল ১৮৯তম বর্ষে। সেখানকার প্রতিমার চালা ঔপনিবেশিক ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতির মিশেলে এক্কেবারে ভিন্ন।
কেমন সেই ব্যতিক্রমী চালা? দুইপাশে দাঁড়িয়ে পতাকা হাতে দুই নারীমূর্তি। পরিবারের লোকজন যাঁদের ‘পরি’ বলে সম্বোধন করেন। তার ঠিক উপরেই একটি ঘড়ি এবং সেটিকে ধরে রেখেছে দুটি সিংহ। ঠিক যেমনটা দেখতে পাওয়া যায় ঔপনিবেশিক স্থাপত্যে। ঘড়িতে ন’টা বেজে আছে। ঘড়ির মাথায় একটু ঝুঁকে একটি কাক বসে। কথিত আছে, দিনের প্রথম প্রহরে, বাড়ির অগ্নিকোণের দিকে মুখ করে কাক ডাকলে সেই বাড়িতে সন্তান জন্ম নেয়। সেই বিশ্বাস থেকেই তৈরি এমন চালা।
অতিমারীর সময়ে সমস্ত কোভিড বিধিনিষেধ মেনেই দাস পরিবারে পুজো সম্পন্ন হয়েছে। বিসর্জনের সময়ে অবশ্য চালার পরি দু’টিকে খুলে নেওয়া হয়।