অতনু ঘোষের ডকুমেন্টারি ‘অনুভবে অতিমারী’ মনোনীত হল ‘সাইনস ফেস্টিভ্যাল’-এ (SIGNS Festival)
‘সাইনস ফেস্টিভ্যাল’-এ (SIGNS Festival) আমাদের দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব। এই উৎসবের প্রতিযোগিতায় মূলত ছোট ছবি এবং ডকুমেন্টারি দেখানো হয়। বিশিষ্ট পরিচালক জন আব্রাহামের নামে এই উৎসব উৎসর্গীকৃত।
পরিচালক অতনু ঘোষ খুব খুশি। আগের বছর লকডাউন চলাকালীন তিনি একটি ডকুমেন্টারি বানিয়ে ফেলেছিলেন। নাম দিয়েছেন ‘অনুভবে অতিমারী’। এই ডকুমেন্টারি সম্প্রতি কেরালার ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটিস অফ ইন্ডিয়া নিবেদিত ‘সাইনস ফেস্টিভ্যাল’-এ (SIGNS Festival) মনোনীত হয়।
‘সাইনস ফেস্টিভ্যাল’-এ (SIGNS Festival) আমাদের দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব। এই উৎসবের প্রতিযোগিতায় মূলত ছোট ছবি এবং ডকুমেন্টারি দেখানো হয়। বিশিষ্ট পরিচালক জন আব্রাহামের নামে এই উৎসব উৎসর্গীকৃত। এই উৎসবে ‘অনুভবে অতিমারী’ মনোনীত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে খুশি পরিচালক অতনু ঘোষ। পরিচালক জানিয়েছেন আগের বছর লকডাউন চলাকালীন জুন মাসে এই ডকুমেন্টারি বানাবার পরিকল্পনা করেন তিনি। কোভিড-১৯ মানুষের জীবনে কীভাবে মনস্তাত্ত্বিক এবং সামাজিক প্রভাব ফেলেছে তা নিয়ে ভাবছিলেন পরিচালক। যেমন ভাবা তেমন কাজ। সারা পৃথিবীর বিভিন্ন পেশার ১৬ জন মানুষের জীবনে কোভিড-১৯ কীরকম প্রভাব ফেলেছে তা মোবাইলে ভিডিয়ো করে পাঠাতে বলেন তিনি। এই ১৬ জন মানুষের মধ্যে অভিনেতা, পরিচালক, সঙ্গীত শিল্পী, চিকিৎসক,লেখক, সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট সকলেই আছেন। তাঁরাও পরিচালকের কথা মত ভিডিয়ো করে পাঠিয়ে ছিলেন। পরিচালক বলেন, “আমি সকলকেই মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় নিজেদের কথা রেকর্ড করে পাঠাতে বলেছিলাম। প্রত্যেকেই পাঠিয়েছেন। সেইগুলো জুড়ে জুড়েই এই ডকুমেন্টারিটা বানিয়েছি। আমি অত্যন্ত খুশি সাইনস ফেস্টিভ্যালের মত একটা মর্যাদাপূর্ণ ফেস্টিভ্যালে আমার ডকুমেন্টারি মনোনীত হয়েছে।”
আরও পড়ুন:সাত বছরের মেয়ের আত্মহত্যা, সওয়াল করলেন দেবলীনা দত্ত মুখোপাধ্যায়
শুধু নিজেদের অভিজ্ঞতা নয়, অতিমারির পরে পৃথিবীটা কেমন হবে তা নিয়েও এই ডকুমেন্টারিতে কথা বলেছেন মনস্তত্ত্ববিদ এবং বিভিন্ন পেশার মানুষেরা। এই কথাগুলো জুড়েছেন সম্পাদক সুজয় দত্ত রায়। সঙ্গীতের দায়িত্বে দেবজ্যোতি মিশ্র। অতনু ঘোষের শেষ ছবি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং জয়া আহ্সান অভিনীত ‘রবিবার’ সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল।