EXCLUSIVE ‘THE KERALA STORY’: ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বসে সিনেমাটা দেখতে চাই…’
THE KERALA STORY: ফের 'দ্য কেরালা স্টোরি ' দেখা যাবে বাংলার প্রেক্ষাগৃহে। এই নিয়ে যোগাযোগ করেছিলাম ফিল্মের পরিচালক সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে। যিনি আবার এ বাংলার মানুষ। কর্মসূত্রে থাকেন মুম্বইতে। TV9 বাংলা ডিজিটালকে কী বললেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন? তুলে ধরলাম ফোনের কথোপকথন।
রক্তিম ঘোষ
কলকাতা: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ফিল্ম মুক্তি পাওয়ার পর বিতর্ক কম হচ্ছে না। তার মাঝেই মুক্তির কয়েকদিন পরেই এ রাজ্যে ছবি প্রদর্শনী নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরেই দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ফিল্মের নির্মাতারা। শুনানির পর এ রাজ্যের সরকারের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকারের ভূমিকাকে অসহিষ্ণু বলে ভর্ৎসনাও করেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। এই স্থগিতাদেশের ফলে মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের।
ফের ‘দ্য কেরালা স্টোরি ‘ দেখা যাবে বাংলার প্রেক্ষাগৃহে। এই নিয়ে যোগাযোগ করেছিলাম ফিল্মের পরিচালক সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে। যিনি আবার এ বাংলার মানুষ। কর্মসূত্রে থাকেন মুম্বইতে। TV9 বাংলা ডিজিটালকে কী বললেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন? তুলে ধরলাম ফোনের কথোপকথন।
প্রতিনিধিঃ বাংলায় আবার দেখানো হবে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। পরিচালক হিসেবে কেমন লাগছে?
সুদীপ্ত সেনঃ ভীষণ ভাল খবর। ভীষণ খুশির খবর। আমাদের কাছে এটা সহজ সময় ছিল না। আমি যে রাজ্য থেকে প্রতিনিধিত্ব করি, সেই রাজ্যের লোক দেখতে না পেলে তা খুব দুঃখজনক। আজ ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে।আমি অনুরোধ করব, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই সিনেমাটা দেখার জন্য। উনি ফিল্মটা দেখুন। আমরা সঙ্গে বসে দেখতে চাই। তারপর উনি ওঁনার মতামত দিন। আমার ধারণা ও বিশ্বাস, ওঁনার ছবিটা ভাল লাগবে।
প্রতিনিধিঃ যখন ফিল্মের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। পরিচালক হিসেবে কেমন লেগেছিল?
সুদীপ্ত সেনঃ ভীষণই অবাক হয়েছিলাম। ব্যান করার মত কিছুই ছিল না। অনেকে বলেছেন, এ ছবির মত বোল্ড ছবি অনেকদিন দেখেনি মানুষ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কারণ হিসেবে বলেছিলেন, আইন শৃঙ্খলার সমস্যা হবে এই সিনেমা প্রদর্শিত হলে। এটা অবাক করার কান্ড।ভারবর্ষের প্রায় ২ হাজার হলে প্রায় ১০ হাজার শো হচ্ছে রোজ। বেশিরভাগ শো-ই হচ্ছে হাউসফুল। পশ্চিমবঙ্গে ৩দিন সিনেমাটি চলেছিল। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন হওয়ার অভিযোগ হাস্যকর। এটা বৃহত্তর রাজনীতির অংশ। আমরা রাজনীতিবিদ নই।
প্রতিনিধিঃ বাংলায় সিনেমাটি নিষেধাজ্ঞার পর বহু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে সিনেমাটি দেখেছেন। সবকটিই সিনেমার পাইরেটেড ভার্সন। পরিচালক হিসেবে কী বলবেন?
সুদীপ্ত সেনঃ ভীষণ দুঃখের কথা। এই সিনেমাটা তৈরির জন্য ৭-৮ বছর পরিশ্রম করেছি। সেই সিনেমা বড় পর্দায় না দেখে পাইরেটেড ভার্সন দেখলে তা ফিল্মের ব্যবসায় ক্ষতি করে। রাজ্যের মানুষদের কাছে আমার অনুরোধ, প্লিজ এই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরা পাইরেটেড ভার্সন দেখবেন না। হলে গিয়ে দেখুন সিনেমাটা।
প্রতিনিধিঃ ধন্যবাদ