স্বামীর পারলৌকিক ক্রিয়া মেটার একদিন পর ইনস্টাগ্রামে বড় বদল আনলেন মন্দিরা
মন্দিরার সাম্প্রতিকতম প্রোফাইল ছবিটি নিকষ কালো। রাজ-হীন রাজত্বে তাঁর বর্তমান মনের অবস্থাই কি তুলে ধরলেন তিনি?
স্বামীকে হারিয়েছেন সদ্য। চোখের জল শুকোয়নি তাঁর। সঙ্গে দোসর হয়েছে কদর্য ট্রোলিং। কেন স্বামীর শেষকৃত্যে তিনি ‘কাঁধ’ দেবেন আর কেনই বা শাড়ি না পরে জিন্স পরে হাজির হবেন শ্মশানঘাটে তা নিয়ে নীতিপুলিশি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ইনস্টাগ্রামে বদল আনলেন মন্দিরা। নিজের হাসিমাখা প্রোফাইল পিকচার সরিয়ে দিয়ে তা ঢেকে দিলে একরাশ অন্ধকার নীরবতায়। বুঝিয়ে দিলেন, তিনি ভাল নেই। মন ভাল নেই তাঁর।
হ্যাঁ, মন্দিরার সাম্প্রতিকতম প্রোফাইল ছবিটি নিকষ কালো। রাজ-হীন রাজত্বে তাঁর বর্তমান মনের অবস্থাই কি তুলে ধরলেন তিনি? শনিবারই রাজের পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। হাজির ছিলেন ইন্ডাস্ট্রির হাতেগোনা কয়েকজন। রাজের মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রাজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সুলেমান মার্চেন্ট, যিনি একাধারে মিউজিক কম্পোজারও। মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রয়াত রাজের ওই দিন ঠিক কী হয়েছিলেন জানিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন ‘নারীসুলভ’ নন! তাপসীকে ‘কাকু’ বলে তোপ কঙ্গনার দিদি রঙ্গোলীর
সুলেমনের কথায়, ‘সন্ধে থেকেই অস্বস্তি বোধ করছিল রাজ। অ্যান্টাসিড ট্যাবলেটও খেয়েছিল। রাতের দিকে সমস্যা আরও বাড়ে। রাজ হয়তো বুঝতে পেরেছিল হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে তাঁর। মন্দিরাকে জানিয়েওছিল। মন্দিরাও সঙ্গে সঙ্গে রাজের বন্ধু আশিষ চৌধুরীকে ফোন করে। আশিষ দৌড়ে ওঁদের বাড়ি আসে। মন্দিরা-আশিষ মিলে রাজকে ধরাধরি করে গাড়িতেও তোলে। কিন্তু ততক্ষণে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে রাজ।”
সুলেমন আরও জানান, রাজের বয়স যখন ৩০-৩২ তখন একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তাঁর। তার পর থেকে কড়া নিয়মে ছিলেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার গভীর রাতে সব শেষ। প্রয়াত হলেন তিনি।