Musical Evening: শহরে প্রথম এক মঞ্চে শিবমণি-তেজেন-কৌশিকী-বিক্রম, কোথায় উঠবে ফিউশন মিউজিকের ঝড়
Musical Concert: প্রথমবারের মতো এবারও ‘সংস্কৃতি সাগর’ আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছনোর লক্ষ্য নিয়ে সভাঘরের বাইরে নজরুল মঞ্চে এই অনন্য অনুষ্ঠান ‘বিয়ন্ড ফিউশন’ উপস্থাপন করছে আগামী ১১ নভেম্বর। ‘বিয়ন্ড ফিউশন’ একটি অনন্য অনুষ্ঠান, কারণ ভারতে এই প্রথমবার এই সমস্ত সঙ্গীতশিল্পী একসঙ্গে মঞ্চ ভাগ করবেন।
‘সংস্কৃতি সাগর’ নিবেদন করছে ‘বিয়ন্ড ফিউশন’—এক অনন্য সঙ্গীত সন্ধ্যা আগামী ১১ নভেম্বর (শুক্রবার), নজরুল মঞ্চে, সন্ধ্যা ৬টা থেকে। এই অনুষ্ঠানে পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, পণ্ডিত বিক্রম ঘোষ, বিদুষী কৌশিকী চক্রবর্তী, শিবমণি পারফর্ম করবেন। সম্প্রতি আয়োজকদের পক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জি.ডি.বিড়লা সভাঘরে উপস্থিত ছিলেন পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, পণ্ডিত বিক্রম ঘোষ। আয়োজকদের তরফে উপস্থিত ছিলেন গৌতম ধাবলে, মধুমন্তী মৈত্র প্রমুখ। শহরে শীতের হালকা আমেজে এরকম একটা সঙ্গীতের অনুষ্ঠান শ্রোতাদের ভাল লাগবে, আশাবাদী আয়োজকেরা।
‘সংস্কৃতি সাগর’ হল একটি সাংস্কৃতিক সংস্থা, যা ১৯৮৫ সালে প্রখ্যাত শিল্পপতি এবং সমাজসেবী ডঃ কে. কে. বিড়লা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই সংস্থা শহরের অন্যতম প্রাচীন এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি, যা কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গে সংস্কৃতির প্রচার এবং প্রসারে নিয়োজিত। ‘সংস্কৃতি সাগর’ স্থানীয় এবং জাতীয়—উভয় শিল্পীদের কাজের প্রচারের প্রয়াসে শহর ও দেশের নানা প্রান্তের অসংখ্য সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে সক্রিয় সহযোগিতায় নিযুক্ত রয়েছে।
প্রথমবারের মতো এবারও ‘সংস্কৃতি সাগর’ আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছনোর লক্ষ্য নিয়ে সভাঘরের বাইরে নজরুল মঞ্চে এই অনন্য অনুষ্ঠান ‘বিয়ন্ড ফিউশন’ উপস্থাপন করছে আগামী ১১ নভেম্বর। ‘বিয়ন্ড ফিউশন’ একটি অনন্য অনুষ্ঠান, কারণ ভারতে এই প্রথমবার এই সমস্ত সঙ্গীতশিল্পী একসঙ্গে মঞ্চ ভাগ করবেন। ভবিষ্যতেও ‘সংস্কৃতি সাগর’ এ ধরনের আরও অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবে।
পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার বলেছেন, “এই প্রথমবার আমরা চারজন (তিনি-সহ বিক্রম ঘোষ, কৌশিকী চক্রবর্তী, শিবমণি) একসঙ্গে, এক মঞ্চে পারফর্ম করব। ফিউশন শব্দটার অনেক বড় পরিসর। বিদেশি সঙ্গীতের সঙ্গে ভারতীয় রাগ সঙ্গীতের মেলবন্ধনেও ফিউশন হয়। ভারতীয় সিনেমার সুরকারেরা বহু বছর আগে থেকেই ফিউশন মিউজিক করেছেন। আমরা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জগতের শিল্পী হয়েও ছন্দে, মেলোডিতে, কম্পোজিশনের মধ্যে দিয়ে এই সন্ধ্যাটা অন্যভাবে ভেবেছি।” পণ্ডিত বিক্রম ঘোষ বলেন, “কলকাতায় আমি আর শিবমণি অনেক বছর পর অনুষ্ঠান করব এক মঞ্চে, অন্যদিকে আমরা চারজন প্রথমবারের মতো এক সন্ধ্যায় আসছি। শাস্ত্রীয় সংগীতের দখল না থাকলে ফিউশন নিয়ে কাজ করা মুশকিল। এতে এতটা ইম্প্রোভাইজ় করার জায়গা থাকে যেখানে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের দখল প্রয়োজন। ফিউশন এখন খুব পপুলার। আশা করি শ্রোতাদের ভাল রেসপন্স পাবো।”