Singer KK Death: ‘কেউ বুঝতে পারল না, ওঁকে বাঁচতে দেওয়ার মুহূর্তটা মিস করে গেল সকলে’
Singer KK Death: গতকাল শো চলাকালীন দরদর করে ঘামছিলেন কেকে। গ্রিনরুমে গিয়ে জল খাচ্ছিলেন। মুখ মুছছিলেন বারবার। এ সবই যে হৃদরোগের লক্ষণ ওই মুহূর্তে কেন কেউ বুঝতে পারলেন না?
“মুহূর্তরা মুহূর্তের কাছে ঋণী মুহূর্ত, আমি তোমাকেও কিছু চিনি…”
চন্দ্রবিন্দুর এই গান কথা বলে মুহূর্ত নিয়ে। যে মুহূর্তের বিনাশ নেই। ঠিক যেমন নেই কেকে-র আইকনিক গান ‘পল’-এর। কেকে-র মৃত্যু আর দুই গায়কের দুই ভাষার এই দুই গান যেন কোথাও গিয়ে এক সুতোয় বাঁধা। যে বন্ধন কথা বলে স্মৃতির মুহূর্তের, ব্যক্ত করে এমন মুহূর্তের যা সারা জীবন রয়ে যাবে। দুই গানের মধ্যে এই অদ্ভুত সমাপতন কি চোখে পড়ে গায়ক-গীতিকার-সুরকার অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়েরও?
শুটিংয়ের মাঝ থেকেই TV নাইন বাংলার ফোন রিসিভ করে বললেন, “ঠিকই তো, ‘পল’ মানে তো সময় বা ক্ষণ। ফলে বাংলায় ‘পল’ বা হিন্দিতে ‘পল’ যাই-ই হোক না কেন, সেই সময়টুকুই তো থেকে যায়। কালকে উনি যখন গান গাইছিলেন, তখন ওঁর মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকা, ওঁর গান গাওয়া, হাততালি, ওই আলোর ঝলকানির মুহূর্তগুলোই তো রয়ে গেল ঠিক যেমন রয়ে গেল মুহূর্তকে নিয়ে ওর এই গানটি।” একটু থামলেন, তারপর ফের যোগ করলেন, “হতে পারে ওই মুহূর্তে ভিতর-ভিতর কষ্ট পাচ্ছিলেন খুব, শরীর দিচ্ছিল না, আলো নেভাতে বলেছিলেন। আমার একটা প্রশ্ন, কাল থেকেই ঘুরছে মাথায় ওই মুহূর্তে কেকে হয়তো নিজের অসুস্থতা বুঝতে পারেননি। কিন্তু উনি এত বড় শিল্পী তাঁর সঙ্গে টিম টা ছিল তাঁরাও কি এক মুহূর্তের জন্যও বুঝতে পারলেন না মানুষটা অসুস্থ? ওই মুহূর্তে কোনও এক শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ যদি এগিয়ে এসে বলত ওঁকে… তাহলে হয়তো…”।
গতকাল শো চলাকালীন দরদর করে ঘামছিলেন কেকে। গ্রিনরুমে গিয়ে জল খাচ্ছিলেন। মুখ মুছছিলেন বারবার। এ সবই যে হৃদরোগের লক্ষণ ওই মুহূর্তে কেন কেউ বুঝতে পারলেন না? অনিন্দ্য ভেবেই চলেছেন। বললেন, “কাল সবাই মোমেন্টারি মিস করে গেলাম কি? ওকে বাঁচতে দেওয়ার মুহূর্তটাও কি মিস করে গেলাম আমরা? যদি ওই মুহূর্তে গান না গাইয়ে কেউ এগিয়ে এসে বলতেন থামতে, কেউ নিয়ে যেতেন বিশ্রামাগারে হত এমনটা? শিল্পীদের জন্য মুহূর্তই গুলোই যে সব। সেই স্মৃতি জড়িয়েই বেঁচে থাকা।”