চায়ের লোভে লাভ কমছে চা-কাকুর দোকানে
Tea Lover: দোকানের উপর ফ্লেক্স ঝোলানো। তাতে লেখা ‘চা কাকুর দোকান’। আর দু’দিকে চা-কাকুর দু’টো মুখ আঁকা।
প্রীতম দে: ভারি মুশকিল হয়েছে ‘চা-কাকু’র। এতদিন চা খাওয়াটা তা-ও নিয়ন্ত্রেণে ছিল। লকডাউনের সময়েও। আর সারাদিন এই বৃষ্টি… তার উপর নিজেরই এখন একটা আস্ত চায়ের দোকান। “আমরা কি চা খাব না? খাব না কি আমরা চা?” গত বছর লকডাউনে ভাইরাল ‘চা-কাকু’র পেটেন্ট কথা এখন বদলে গিয়ে বোধহয় হয়েছে, “না, না বাবা। আর চা খাব না।” কারণ এই বৃষ্টি। ঠাণ্ডা-ঠাণ্ডা আবহাওয়া। তার উপর হাতের কাছেই ফ্লাক্সে গরম চায়ের পসরা। নিজের চা নিজেই খেয়ে ফাঁক করে দিচ্ছেন ‘চা-কাকু’।
আগে চায়ের জন্য হা-পিত্যেশ করতেন। লকডাউনেও বেরিয়ে পড়তেন। সেই করতে গিয়েই ‘ভাইরাল’ হয়েছিল তাঁর চা-বাণী। আর এখন নিজেরই চায়ের দোকান। হাতের নাগালেই গরম চা। লোভ তো হবেই। কিন্তু লাভ হচ্ছে কেমন? “হচ্ছে। তবে নিজেও খেয়ে নিচ্ছি। কী আর করি। এই চায়ের জন্যই বেঁচে-বর্তে আছি। তাই ইচ্ছে হলে একটু চেখে নি জাস্ট,” হেসে বললেন ‘চা-কাকু’ মৃদুলকান্তি দেব।
প্রশ্ন: “অন্য দোকানে আর চা খান?” উত্তর: “না । এখানেই হয়ে যায়।” প্রশ্ন: “নিজে বানান চা?” উত্তর: “না । ছেলে বানিয়ে দেয়।” প্রশ্ন: “লিকার না দুধ চা?” উত্তর: “দুধ চা। লিকার খাই না।”
দোকানের উপর ফ্লেক্স ঝোলানো। তাতে লেখা ‘চা কাকুর দোকান’। আর দু’দিকে চা-কাকুর দু’টো মুখ আঁকা। এ দিকে, তিনটে চা আরেকটা কাগজের কাপে চা ঢালছেন। আবার চা তেষ্টা পেয়ে গেল ‘চা-কাকু’র। বাইরে তখন আরেক পশলা বৃষ্টি নামতে চলেছে।