Rupankar Bagchi on KK: সে দিন যা বলেছিলাম, সেটা কিন্তু নির্দিষ্টভাবে কেকে-কে আক্রমণ করে বলিনি: রূপঙ্কর বাগচী
KK Birthday: বেঁচে থাকলে ‘পল’ আর ‘ইয়ারোঁ’র গায়ক কেকে-র বয়স আজ হত ৫৪ বছর। কেকের জন্মদিনে TV9 বাংলার কাছে কী বললেন রূপঙ্কর বাগচী?

স্নেহা সেনগুপ্ত এবং জয়িতা চন্দ্র
৩১ মে দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে ঘটে এক নজিরবিহীন ঘটনা। গুরুদাস কলেজের কনসার্ট ছিল সেদিন। হলে যে সংখ্যক লোক ধরার কথা, তার চেয়েও অনেক বেশি লোক হাজির ছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল, হলের এসি কাজ করছে না। তার উপর তিল ধরানোর জয়গা ছিল না। সেই কনসার্টে পারফর্ম করতে মুম্বই থেকে উড়ে এসেছিলেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ, অর্থাৎ কেকে।
প্রচণ্ড গরমে একটানা পারফর্ম করার পর অসুস্থ কেকে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন সে দিনই। কাট টু… সেই সন্ধ্যাতেই কেকে যখন মঞ্চ মাতিয়ে পারফর্ম করে চলেছেন, তার প্রাক মুহূর্তে একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন বাঙালি গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। বলিউডের গায়কদের নিয়ে কলকাতার উন্মাদনা দেখে একপ্রকার ক্ষোভ প্রকাশ করে রূপঙ্কর বলেছিলেন,
‘‘হু ইজ় কেকে? কে কেকে? আমরা বাঙালি গায়করা যে কোনও কেকের চেয়ে অনেক ভাল গান করি। কই, আপনারা আমাদের নিয়ে তো এত মাতামাতি করেন না…’’—৩১ মে দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ, অর্থাৎ কেকে-র শোয়ের পর অকস্মাৎ তাঁর শরীর খারাপ হয়ে পড়া এবং তারপর তাঁর মৃত্যুতে একাধারে যখন শোকস্তব্ধ তাঁর লক্ষ-কোটি অনুরাগী, তখন সেই তাঁদেরই একটা বিরাট অংশ রাগে ফুটছে। সৌজন্যে গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর ভাইরাল ফেসবুক-লাইভ: ‘‘হু ইজ় কেকে? কে কেকে?’’। শিল্পী হয়ে আর একজন শিল্পীকে ‘অসম্মান’ করার অভিযোগে রূপঙ্কর তখন কার্যত গৃহবন্দি। জোটে খুনের হুমকি। তাঁর স্বর্গীয় মাকে ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয় ‘হেট-মঙ্গার’দের তরফে। পুলিশি নিরাপত্তা নিতে হয় রূপঙ্করকে। তারপর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে সকলের সামনে ক্ষমা চেয়েছিলেন গায়ক। তবুও হেটারদের ‘ট্রোলিং’ কমেনি। কেকে-র মৃত্যুর প্রায় ৩ মাস অতিবাহিত হতে চলেছে। আজ, মঙ্গলবার, কেকে-র জন্মদিন। বেঁচে থাকলে ‘পল’ আর ‘ইয়ারোঁ’র গায়ক কেকে-র বয়স আজ হত ৫৪ বছর। কেকের জন্মদিনে TV9 বাংলার কাছে কী বললেন রূপঙ্কর?
আজ যদি কেকে বেঁচে থাকতেন…
রূপঙ্কর: ‘‘আজ কেকে বেঁচে থাকলে ওঁকে আমি উইশ করতাম, শুভেচ্ছা জানাতাম। সিনেমার গান, ওঁর নিজের অরিজিন্যাল গান কেকের থেকে প্রত্যাশা করতাম। উনি তো দারুণ গায়ক। দারুণ একজন পারফর্মার। আমি চাইতাম ওঁর গান ভারত ছাড়া বিদেশিদের মধ্যেও যাতে ছড়িয়ে যায়। আমি ওঁর পরিবারের সকল সদস্যের ভাল চাইতাম। ওঁ বেঁচে থাকলে এভাবেই উইশ করতাম কেকে-কে।’’
কীভাবে কেকে-কে মনে করছেন রূপঙ্কর?
রূপঙ্কর: ‘‘কেকে আজ আমাদের মধ্যে নেই। আমরা ভারতীয় সঙ্গীতের লোকজন তথা সারা পৃথিবীর সঙ্গীতের লোকজনই ওকে মিস করছি সব সময়। আমি জানি, কেকে-র গান আমাদের মধ্যে সবসময় বেঁচে থাকবে। ওঁর গান নিয়েই আমাদের বাকি জীবনটা চলতে হবে।’’
কেকে নিয়ে মন্তব্য ‘ইচ্ছাকৃত’ নয়
রূপঙ্কর: ‘‘আমি এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কেকে-র পরিবারের ভাল চাই। এটুকুই বলতে পারি ওঁকে আমরা খুব মিস করব। সে দিন ভিডিয়োতে যা-যা বলেছি, সেটা কিন্তু নির্দিষ্টভাবে কেকে-কে আক্রমণ করে বলিনি। আমি মিউজ়িক ফ্র্যাটার্নিটির হয়ে কথা বলেছিলাম সে দিন। সেটা অনেকেই বুঝেছেন। আর যাঁরা বোঝেননি, সেটা কোনওদিনও তাঁরা বুঝবেন না। হয়তো সেটা আমারই অপারগতা যে কথাগুলো আমি বোঝাতে পারিনি। সেটা নিয়ে আলাদা করে কিছুই বলতে চাই না আর।’’





