মঞ্চে দেবলীনা-মনোজ ছুঁতে চান রবি ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর বৌঠানের রসায়ন
সত্য কী আর মিথ্যাই বা কী,আমরা চোখের সামনে যা দেখতে পাই তাই কী সত্য? নাকি সত্যি আরও গভীরে লুকিয়ে থাকা কোনও ঘটনার আভাস? বাকি সবই কি মিথ্যার ছায়া? আমাদের ব্যক্তিগত বিশ্বাস? এই উত্তর খুঁজতেই ৩১ অগাস্ট শহরে হচ্ছে 'যাহা বলিব মিথ্যা বলিব'।

সত্য কী আর মিথ্যাই বা কী,আমরা চোখের সামনে যা দেখতে পাই তাই কী সত্য? নাকি সত্যি আরও গভীরে লুকিয়ে থাকা কোনও ঘটনার আভাস? বাকি সবই কি মিথ্যার ছায়া? আমাদের ব্যক্তিগত বিশ্বাস? এই উত্তর খুঁজতেই ৩১ অগাস্ট শহরে হচ্ছে ‘যাহা বলিব মিথ্যা বলিব’।
নির্মাতাদের দাবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর তাঁর প্রিয় বৌঠান কাদম্বরীর এক কাল্পনিক কথন, যা সময়, কাল, প্রেম, মানুষ, ইতিহাস সব কিছুর বাঁধনের বাইরে, সেটাই নিয়ে আসছেন তাঁরা। হয়তো এ কথোপকথন কোনওদিন ঘটেনি, অথবা হয়তো ঘটেছে, বিশ্বাসীদের কান সেসব শুনতে পায় আজও। ”আসলে আজ সত্যি বলার দিন নয়, আজ সেসব বলার দিন যা প্রয়োজনীয়, যা অবশ্যম্ভাবী, যা বর্তমান। তাই ঐতিহাসিক এই দুই চরিত্রকে নিয়ে আমাদের নিবেদন ‘যাহা বলিব মিথ্যা বলিব”’, জানালেন নির্মাতারা।
আমোদিনী-র নিবেদন এই অনুষ্ঠান। আমোদিনীর তরফে দেবলীনা কুমার জানালেন, ”এই প্ল্যাটফর্ম থেকে এমন কিছু করতে চেয়েছিলাম, যার মধ্যে পরীক্ষানিরীক্ষা থাকবে। তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাজকে বিকৃত না করে। এক বছরে আমোদিনীর কাজ বহু মানুষের কাছে পৌঁছেছে, তার জন্য আমি খুশি। আমাদের এবারের প্রযোজনা রবি ঠাকুর আর তাঁর বৌঠানের মধ্যে এক কাল্পনিক কথোপকথন।”
মনোজ মুরলী জানালেন, ”এক কথায় আমোদিনী খুব আদরের আর আরামের একটা জায়গা। বিভিন্ন কাজ আমরা করেই থাকি। কিন্তু এই কাজগুলো করতে গিয়ে মনে হয়, এটা আমার আরাম করে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে, ভালোলাগার জিনিস নিয়ে কাজ করে যাওয়ার জায়গা। এটা করলেই আমার হিল্লে হবে সেরকম নয়। বরং এটা আমার খুব ভালোবাসার একটা জায়গা। যেখানে আমি ছায়া পাই, যত্ন পাই, ভালোবাসা পাই।” এমন জায়গায় দাঁড়িয়েই আজ মঞ্চে থাকবেন দেবলীনা আর মনোজ।
