বিতর্কে অভিষেক-ঐশ্বর্য, এবার ভাইরাল নায়িকার ফোনের গোপন ছবি?
অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। সত্যিই কি তাঁদের সংসার ভাঙছে? তা নিয়ে নানা জনের নানা মত। সেই বিতর্ক আরও জোড়াল হয়েছে দুবাই অনুষ্ঠানে ঐশ্বর্যর 'বচ্চন' পদবী মুছে ফেলা নিয়ে। এত আলোচনার মাঝে প্রকাশ্যে নায়িকার ফোনের গোপন ছবি।
অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। সত্যিই কি তাঁদের সংসার ভাঙছে? তা নিয়ে নানা জনের নানা মত। সেই বিতর্ক আরও জোড়াল হয়েছে দুবাই অনুষ্ঠানে ঐশ্বর্যর ‘বচ্চন’ পদবী মুছে ফেলা নিয়ে। এত আলোচনার মাঝে প্রকাশ্যে নায়িকার ফোনের গোপন ছবি। সচরাচর নায়ক-নায়িকারা নিজেদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন হাতছাড়া করেন না। কিন্তু পাপারাজ্জিরা সুযোগ বুঝে তারকাদের ব্যক্তিগত মুহূর্ত, ব্যক্তিগত ছবি ফ্রেমবন্দি করে নেয়।
তেমনই বিমানবন্দরের মাঝে ফাঁস নায়িকার ফোনের ব্যক্তিগত ছবি। যা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রতি দিনের মতো ঐশ্বর্য বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে নিজের গাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পরনে ছিল কালো জ্য়াকেট। কাঁধে একটা ব্যাগপ্যাক আর হাতে নিজের মোবাইল ফোন। বিমানবন্দরের বাইরে অভিনেত্রীকে দেখে তাক করে ছবিশিকারীদের ক্যামেরা। একের পর এক ছবি তুলতে থাকেন তাঁরা। তখনই জ্বলে ওঠে ঐশ্বর্যর মোবাইল। সেখানেই দেখা যায় তাঁর ফোনের সেই ব্যক্তিগত ছবি। ঐশ্বর্যর ওয়ালপেপারে কার ছবি দেখা যায় জানেন? শুনলে একটু অবাকই হবেন।
এই শোনা যাচ্ছে, শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে মোটে বনিবনা নেই তাঁর। সেখানেই নায়িকার ওয়ালপেপারে শ্বশুরের ছবি? হ্যাঁ, দেখা যায় ঐশ্বর্যর ওয়ালপেপারে অমিতাভ বচ্চনের ছবি। সঙ্গে অবশ্য রয়েছে তাঁর মেয়ে আরাধ্যা বচ্চনের ছবি। এই মুহূর্তে নায়িকার ওয়ালপেপারের ছবি নেটপাড়ায় ভাইরাল। উল্লেখ্য, ঐশ্বর্য এবং অভিষেকের সংসার ভাঙার খবরে যে বিগ বি খুবই বিব্রত সে কথা নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় জানিয়েছিলেন তিনি।
এত আলোচনা শোনার পর আর নিজের ধৈর্য ধরে রাখতে পারেননি অমিতাভ। এত ধরনের মন্তব্য দেখে খানিকটা বুঝতেই পেরেছেন যে অবস্থা এবার বেগতিক। তাই নিজেই মাঠে নামতে বাধ্য হন বিগ বি। তিনি লেখেন, “বক্তব্যের শেষে একটা করে প্রশ্নচিহ্ন! অভিষেক-ঐশ্বর্যার বিচ্ছেদের চর্চায় নতুন ইন্ধন। পাঠকেরা পড়ছেন এবং দেদার প্রতিক্রিয়াও জানাচ্ছেন। এতে ভুয়ো খবর আরও বেশি করে ছড়াচ্ছে।” বোঝাই যাচ্ছে, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এত ধরনের মন্তব্য আর সহ্য করতে করতে পারেননি অমিতাভ। সংবাদমাধ্যমের প্রতি নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। সেই সঙ্গে অবশ্য প্রশংসা করতেও ভোলেননি। তিনি লেখেন, “আপনারা নিজেদের কাজে একটুও ফাঁকি দিচ্ছেন না। অবশ্যই প্রশংসীয়। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা না জেনে দিনের পর অর্ধসত্য খবর ছড়িয়ে পড়ছে। কোনও পরিবারকে অকারণে বিব্রত করতে এই ধরনের ভুয়ো কুৎসাই কি কাম্য?”