বিশ্বাবসুই কি তবে ‘প্রেমিক’? এই প্রথম মুখ খুললেন দিতিপ্রিয়া

প্রেমে পড়েছেন দিতিপ্রিয়া রায়? পার্টনার তাঁর অনস্ক্রিন নাতি বিশ্বাবসু বিশ্বাস? প্রথম বার মুখ খুললেন রানি মা, শুনল টিভিনাইন বাংলা ডিজিটাল।

বিশ্বাবসুই কি তবে 'প্রেমিক'? এই প্রথম মুখ খুললেন দিতিপ্রিয়া
বাঁ দিকের এই ছবি নিয়েই যত তোলপাড়।
Follow Us:
| Updated on: Jan 17, 2021 | 6:31 PM

বিহঙ্গী বিশ্বাস:  প্রেমে পড়েছেন দিতিপ্রিয়া রায়? পার্টনার তাঁর অনস্ক্রিন নাতি বিশ্বাবসু বিশ্বাস? গত এক সপ্তাহ ধরে এই খবরেই তোলপাড় নেটদুনিয়া। উড়ে আসছে মন্তব্য। বাজে কমেন্ট। পিছু পিছু জুড়ে বসছে ট্রোলিং। আর দিতিপ্রিয়া? তিনি কী বলছেন? সত্যিই কি তাঁর মনেও লেগেছে ফাগের রঙ? প্রেম করছেন তিনি?

কেন এত তোলপাড়?

দিন কয়েক আগে নিজের ফেসবুক থেকে বিশ্বাবসু একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। তাতে হাজির ছিলেন তাঁর দুই দিদিমা। অনস্ক্রিন এবং অফস্ক্রিন। এর কিছু দিন পর, দিন তিনেক আগে দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে এক মিরর সেলফি পোস্ট হতেই সোশ্যাল মিডিয়া, মিডিয়ার আতসকাচে রাতারাতি রানিমা’র ‘বয়ফ্রেন্ড’ বিশ্ব। ক্যাপশনে বিশ্ব লিখেছেন, ‘শীত, তাতে লালের ছোঁয়া’। লাল ভালবাসার রঙ, দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে পোস্ট করার ছবির দেওয়ালের রঙও লাল, সামনেই আবার আসছে প্রেমের মাস…নেটিজেনদের একাংশ দুইয়ে দুইয়ে চার করেই ফেলেছিলেন, কিন্তু অঙ্ক মিলল না। প্রেম, ক্রাশ, প্রোপোজাল নিয়ে এই প্রথমবার দিতিপ্রিয়া রায় মুখ খুললেন টিভিনাইন বাংলা ডিজিটালের কাছে।

‘একটা জিনিস বুঝলামই না, কনফার্মটা করল কে?’

দিতিপ্রিয়ার কথায়, “ক’দিন ধরেই ব্যস্ত ছিলাম কাজ নিয়ে… হঠাৎ করেই দু’দিন আগে দেখি এই সব স্টোরি ঘুরে বেড়াচ্ছে। মানুষ ধরেই নিয়েছে আমরা প্রেম করছি… তাঁরা কনফার্ম। একটা জিনিস বুঝলামই না, তাঁরা এত কনফার্ম হলেন কী করে?” একটু থামলেন। তাঁর পর আবার বলা শুরু করলেন দিতিপ্রিয়া, “বিশ্বদা আমার দাদার মতো। রাসমণীর সেটে দু’জন রয়েছে, যারা আমাকে সবসময় গাইড করে। আগলে রাখে। গোগো (গৌরব চট্টোপাধ্যায়) এবং বিশ্ববাংলা (বিশ্বাবসু বিশ্বাস) । ওদের কাছে সবকিছুই শেয়ার করা যায়। বিশ্বদা তো আমার দাদা, আমার খুব কাছের একজন দাদা। তাঁকে নিয়েও… “।

ট্রোলড আগেও হয়েছেন দিতিপ্রিয়া। কখনও ধারাবাহিকে তাঁর অ্যাকসেন্ট সান্ধ্য আড্ডায় হাসির খোরাক জুগিয়েছে একদলকে। আবার কখনও বা তাঁর গান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়িয়েছে একের পর এক মিম। ট্রোলে খানিক ধাতস্ত হওয়া অষ্টাদশী অভিনেত্রী যে মুহূর্তে ভেবেছিলেন এ সবে আর কোনও প্রতিক্রিয়া দেবেন না, ঠিক সেই মুহূর্তেই আবারও এক নতুন টপিক। এ বার সরাসরি তাঁর ব্যক্তিগত জীবন। ওইসব মানুষের কাছে টিভিনাইন বাংলার মাধ্যমে একটা অনুরোধ রেখেছেন দিতিপ্রিয়া। তাঁর কথায়, “যদি গসিপ স্টোরি করতেই হয়, তবে একটা ফোন করে নিন। আমার সঙ্গে কথা বলে স্টোরি করুন। এ ভাবে হ্যারাস করার কোনও মানে হয় না।”

‘বিশ্বদা’র একটা মিষ্টি গার্লফ্রেন্ড আছে’

দিতিপ্রিয়া জানিয়েছেন, আপাতত তিনি সিঙ্গল। তবে বিশ্ববসু নন। তাঁর একজন স্টেডি গার্লফ্রেন্ড রয়েছে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে। দিতিপ্রিয়ার কথায়, “বিশ্বদার একটা খুব মিষ্টি গার্লফ্রেন্ড আছে। আমার সঙ্গে বিশ্বদার যা না সম্পর্ক তাঁর চেয়েও কিন্তু ওর গার্লফ্রেন্ডের সম্পর্ক অনেক বেশি ভাল।” ঘটনাচক্রে বিশ্বাবসুর প্রেমিকাও কিন্তু এই ইন্ডাস্ট্রির। এবং কাকতালীয়ভাবে দিতিপ্রিয়ার স্কুলের সিনিয়র। দিতিপ্রিয়া কিছুতেই তাঁর অনস্ক্রিন নাতির অফস্ক্রিন প্রেমিকার নাম না নিলেও টলিটাউনের গুঞ্জন বিশ্বাবসুর প্রেমিকা ‘ওগো নিরুপমা’ ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্রে যিনি রয়েছেন সেই অর্কজা।

‘যদি প্রেম আসে তবে…’

প্রেম নেই ঠিকই। কিন্তু আসতে কতক্ষণ? একগাল হাসলেন দিতিপ্রিয়া। তারপর বললেন, “যদি প্রেম আসে তবে তা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে খানিক আড়ালেই রাখব। একটু প্রাইভেসি তো দরকার সবারই।” প্রেমপ্রস্তাব পাচ্ছেন? “মিথ্যে বলব না। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিদিনই প্রোপোজাল আসতেই থাকে। তবে এখন কেরিয়ারেই ফোকাসড। প্রেম করার সময় তো রয়েছেই”, সাবলীল উত্তর তাঁর।

‘ও বলেছে বড় হলে আমার সঙ্গেই প্রেম করবে’

তবে দিতিপ্রিয়ার প্রেমে পাগল এমন এক ব্যক্তি রয়েছেন যিনি এইসব উড়ো খবরে বেজায় ইনসিকিউরড। কালও ভয়েস মেসেজে দিতিপ্রিয়াকে জিজ্ঞাসা করেছেন, ‘তুমি কারও সঙ্গে প্রেম করছ না তো’? দিতিপ্রিয়া তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, না আপাতত তিন অপ্রেমে। সেই ব্যক্তির বয়স পাঁচ। থাকে জানবাজারে। দিতিপ্রিয়ার কথায়, “ও বলে দিয়েছে ও আমাকেই বিয়ে করবে। আমাকে কারও সঙ্গে ডেট করতে একেবারে বারণ করে দিয়েছে। উফ যা পাকা না…’, রানিমা’র আবারও সেই প্রাণখোলা হাসি। যাতে ট্রোল্ড হওয়ার ভয় নেই, সম্পর্ক লুকোনোর আগাম প্রচেষ্টা নেই। রয়েছে ভাল কাজ করার খিদে, নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ।