পরিবারের দুই সদস্যকে কেড়েছে করোনা, গৌরব-ঋদ্ধিমাও আক্রান্ত

আজ ইনস্টাতে পোস্ট করেছেন মায়েদর সঙ্গে ছবি। সে ছবিতে মা রিমা ঘোষ রয়েছেন একপাশে, অন্য পাশে রয়েছেন মিঠু চক্রবর্তীও (গৌরবের মা এবং ঋদ্ধিমার শাশুড়ি) ক্যাপশনে লেখেন, ‘হ্যাপি মাদার্স ডে’।

পরিবারের দুই সদস্যকে কেড়েছে করোনা, গৌরব-ঋদ্ধিমাও আক্রান্ত
গৌরব-ঋদ্ধিমা-রিমা-মিঠু।
Follow Us:
| Updated on: May 09, 2021 | 9:24 PM

গত মাসের শেষের দিকে মা রিমা ঘোষ প্রয়াত হন। মেয়ে ঋদ্ধিমার মনে ঠিক কী ঝড় বয়ে গিয়েছে তা তাঁর  ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ব্যক্ত হয়েছে কিছুটা। মায়ের অকাল প্রয়াণেরখবর জানিয়ে ‘বড় তাড়াতাড়ি চলে গেলে। শ্বাস-প্রশ্বাসে তোমায় অভাব অনুভব করছি’। মাতৃহারা মেয়ের কষ্ট যে এত তাড়াতাড়ি লাঘব হওয়ার নয় তা ইনস্টা পোস্টের ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছিল, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না, তুমি নেই। বড্ড তাড়াতাড়ি চলে গেলে তুমি..মা…বড্ড তাড়াতাড়ি।

 

আরও পড়ুন করিনার জীবনে আশার আলো দেখাচ্ছে কারা? ছবি তুলে পোস্ট করলেন বেবো

 

আমার প্রতিটা শ্বাস-প্রশ্বাসে তোমায় অভাব অনুভব করছি। মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে আমায় সামলানোর জন্য তুমি আর নেই। আমি জানি না আমি বা আমাদের জীবন তোমায় ছাড়া কী করে কাটবে? তোমায় কথা দিচ্ছি, আমি চিরকাল তোমায় গর্বিত করব। আমাদের মধ্যে দিয়েই তুমি বেঁচে থাকবে। তোমার সমস্ত স্বপ্ন আমি সত্যি করব। কিন্তু তোমার মত আমাকে আর কোনোদিন কেউ ভালোবাসবে না মা। তোমায় ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ। ভালো থেকো মা। হাসিখুশি থেকো।’

 

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Ridhima Ghosh (@ridhima.ghosh)

 

কঠিন সময়গুলো কেটে গিয়েছে বেশ কিছু দিন হল কিন্তু মাতৃ দিবসের দিনে মনখারাপ হয়তো বেড়ে গিয়েছে আরও ঋদ্ধিমার। তবে আজ ইনস্টাতে পোস্ট করেছেন মায়েদর সঙ্গে ছবি। সে ছবিতে মা রিমা ঘোষ রয়েছেন একপাশে, অন্য পাশে রয়েছেন মিঠু চক্রবর্তীও (গৌরবের মা এবং ঋদ্ধিমার শাশুড়ি) ক্যাপশনে লেখেন, ‘হ্যাপি মাদার্স ডে’।

অন্যদিকে ঋদ্ধিমার স্বামী গৌরবও চক্রবর্তীও একটি লম্বা পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি লেখেন, ‘জীবন, মনে হয়, তার পছন্দের বাউন্সারগুলো আমাদের দিকে ছুড়ছে। আপনি একটার থেকে বাঁচছেন, আর অন্যটি মুখে এসে পড়ছে। কোভিড-এর এই দ্বিতীয় ওয়েভ আমাদের পরিবারের কাছে ধ্বংসাত্মক। ভয়ঙ্কর ভাইরাসটি আমাদের দুই প্রিয়জনকে কেড়ে নিয়েছে।

গত মাসের শেষের দিকে পাঁচ দিনের জীবন যুদ্ধের পর ঋদ্ধিমার মা মারা যান। আমি মাকে হারালাম এবং ঋদ্ধিমা তাঁর লাইফলাইন। গতকাল সকালে, আমি আমার দিদাকে হারালাম। আমার বয়স্ক প্রিয় দিদু নিউ দিল্লিতে থাকতেন, চলে গেলেন। এ সব কিছুর মাঝে, ঋদ্ধিমার বাবা ভাইরাসে আক্রান্ত হন, আমরা ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। রাত-দিন অক্সিজেন সাপোর্টের পর অবশেষে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যখনই মনে হল আমরা ঝড় সামলে উঠেছি, আমি আর ঋদ্ধিমার রিপোর্ট পজিটিভ এল।

 

আমি কেন এসব লিখছি?

কারণ আমি জানি যে আপনারা ভীষণ কষ্টের সময় কাটাচ্ছেন। কেউ কেউ আশা হারানোর দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন। আমি আপনাকে জানতে চাই যে আপনি একা নন। আমরা বিভিন্ন নৌকায় থাকতে পারি, তবে আমরা সকলেই সাহসিকতার সঙ্গে এক ঝড়ের সামনে রয়েছি। আমাদের চারপাশের কিছু অসামান্য মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। এটা তাঁদের কাজ নয়। কিন্তু তবু তাঁরা এটা করছেন! আমি আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা সামান্যতমও কাজ করছেন। প্রতিটি ইঞ্চিও অনেক অবদান রাখবে। মানুষের প্রতি আবার আমায় বিশ্বাস করতে সাহায্য করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। সব শেষে, মনে রাখবেন এই সময়টাও আমরা কাটিয়ে উঠব।