দিন কেটেছে অর্ধাহারে, বাবা পেশায় অটোচালক, মিস ইন্ডিয়ার মঞ্চে তৃতীয় মান্যা সিং
উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরের এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। বাবা পেশায় অটোচালক। অনটন ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী।
হঠাৎ করেই জীবন বদলে গিয়েছে তাঁর। ফ্ল্যাশলাইটের ঝলকানি, পাপারাৎজির লাইমলাইট, ঘনঘন ফোন— তাঁর ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। হবে নাই বা কেন ! ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিউটি পেজেন্ট মিস ইন্ডিয়ায় তৃতীয় হয়েছে সে। কে এই ‘সে’? কেনই বা মিডিয়া লাইমালাইট আজ তাঁর দিকে?
তাঁর নাম মান্যা সিং। উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরের এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। বাবা পেশায় অটোচালক। অনটন ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। সৌন্দর্যের তথাকথিত ধাঁচে না পড়া মান্যাকে ছোট থেকেই শুনতে হয়েছিল সে ‘কুৎসিত’। মিস ইন্ডিয়া হওয়ার স্বপ্ন তখন তাঁর কাছে সোনার পাথরবাটি।মান্যার কথায়, “রাতের পর রাত খাবার খাইনি। ঘুম আসত না কিছুতেই। অনেক দিন ক্লান্ত বিকেলে মাইলের পর মাইক একাকী হেঁটে গিয়েছি শুধু। পরীক্ষার ফি’জ দেওয়ার জন্য গয়না বন্দক রেখেছিল মা।”
View this post on Instagram
১৪ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন মান্যা। তখন তাঁর দু’চোখ জুড়ে স্বপ্ন। হাতে পয়সা নেই, চেনা জানা নেই। আছে শুধু গ্ল্যামার জগতের হাতছানি আর লড়াকু জেদ। স্রেফ জেদ আর ইচ্ছে জোরেই অর্ধাহারের ক্লান্তি মাখা দিন পিছনে ফেলে মান্যা পৌঁছে গেলেন মিস ইন্ডিয়ার মঞ্চে। গোটা সিজনেই বিচারক থেকে আমজনতার চোখ ছিল তাঁর দিকেই। তাঁর শ্যামলা রঙ, কাজল কালো চোখই হয়ে উঠেছিল মান্যার ইউএসপি। না বিজয়ীর মুকুট তিনি পরেননি ঠিকই, তবে রানার্স আপ হয়েই খুশি মান্যা।
View this post on Instagram
মঞ্চে নাম ঘোষণা হতে কান্না বয়ে যাচ্ছিল তাঁর দু’চোখ জুড়ে। সেই কান্নায় বিষাদ নেই। আছে এত বছরের জমে থাকা লাঞ্ছনার জবাব, পরিশ্রমের সঠিক মূল্য। তাঁর ইনস্টা বায়োতেও এখন জ্বলজ্বল করছে ‘মান্যা সিং, মিস ইন্ডিয়া ২০২০, রানার্স আপ”। নেপোটিজিম- ফেভারিটিজমের যাবতীয় হিসেব নিকেষ কে উল্টে দিয়ে মান্যাই এখন ফ্যাশন দুনিয়ার নয়া সেনসেশন।
আরও পড়ুন:রিলিজের ১১ বছর পার! ‘মাই নেম ইজ খান’ নিয়ে কী বললেন শাহরুখ