হাতে প্লাস্টার করা, ভাঙা হাত নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল মিঠুন চক্রবর্তী
Mithun Chakraborty: ৯ অগস্ট, আরজি কর ঘটনার পর গোটা শহরের ছবিটা যেন পুরো বদলে গিয়েছে। তিলোত্তমার বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ থেকে শহরের বিশিষ্ট জনেরা। সেই তালিকায় জুড়ল অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর নাম। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, যে এই বাংলাকেই তিনি দেখতে চেয়েছিলেন। আরজি কর ঘটনার প্রেক্ষিতে বিবেক জাগরণ যাত্রায় প্রতিবাদ মিছিলে শামিল মিঠুন।
৯ অগস্ট, আরজি কর ঘটনার পর গোটা শহরের ছবিটা যেন পুরো বদলে গিয়েছে। তিলোত্তমার বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ থেকে শহরের বিশিষ্ট জনেরা। সেই তালিকায় জুড়ল অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর নাম। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, যে এই বাংলাকেই তিনি দেখতে চেয়েছিলেন। আরজি কর ঘটনার প্রেক্ষিতে বিবেক জাগরণ যাত্রায় প্রতিবাদ মিছিলে শামিল মিঠুন। তিনিও যে পথে নামবেন সে কথা আগেই জান গিয়েছিল। ভাঙা হাতেই সিমলা স্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পর্যন্ত মিছিলে শামিল অভিনেতা। হাতে প্লাস্টার , কিছু দিন আগে পর্যন্ত যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছিলেন। তবু দমে যাওয়ার মানুষ যে তিনি নন তা অগেই স্পষ্ট করেছিলেন।
১১ সেপ্টেম্বর, ঠিক এই দিনেই শিকাগো শহরে বিশ্বের বিবেক জাগরণ ঘটিয়েছিলেন এক বাঙালি। তিনি স্বামী বিবেকানন্দ। তার ১৩১ বছর বাদে আর জি কর কাণ্ডে যখন বিবেক দংশনে ‘ক্ষতবিক্ষত’ সেই জাতিই। তাই বিবেক জাগরণ মিছিলে শামিল হলেন মহাগুরু। রাষ্ট্রীয় সয়ং সেবক সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল এই প্রতিবাদ মিছিল।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সরব গোটা বাংলা থেকে দেশ। ৯ অগস্ট আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে যে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে তার ন্যায় বিচার চায় সবাই। পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ থেকে টলিপাড়ার অনেকেই । এই আন্দোলনের মুখ হিসাবে দেখা যাচ্ছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার থেকে সুদীপ্তা চক্রবর্তী-সহ আরও অনেককে। কেউ কেউ আবার এই আন্দোলনে রাজনীতির গন্ধও পেয়েছেন। শহরে পা দিতেই মুখ খোলেন মিঠুন।
যদিও তিনি এখন শুধু অভিনেতা নন বিজেপি নেতাও বটে। তবে আরজি কর আন্দোলনের ক্ষেত্রে রাজনীতির রঙ লাগাতে নারাজ তিনি। তাই বিমানবন্দরের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই অভিনেতা বললে, “আমি এই বাংলাই দেখতে চেয়েছিলাম। এখন দেখতে পাচ্ছি, খুব আনন্দ লাগছে। এই আন্দোলনে আমরা যেন সবাই একসঙ্গে থাকি। আর আমি বলছি মানেই বিজেপি বলছে না। আমি মিঠুন চক্রবর্তী বলছি রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে এই আন্দোলনে যেন আমরা সবাই একসঙ্গে থাকি। ”