‘বাবার নিথর শরীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো শেষবার…খৈ উড়লো কিছু’, বাবার মৃত্যুদিনে পোস্ট রাহুলের
বাবার মৃত্যুদিনে আবেগঘন রাহুল। একই সঙ্গে এক গভীর দার্শনিক প্রশ্ন উঁকি দিয়ে যাচ্ছে তাঁর মনে।
আজ ১৪ মার্চ, রবিবার। ১৪ মার্চ দিনটি রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনে আর পাঁচটা দিনের মত নয়। খানিক আলাদা। এরকমই এক ১৪ মার্চে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ম্যাচে ভারতের অবিশ্বাস্য জয় প্রত্যক্ষ করে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন রাহুল। আবার এরকমই এক ১৪ মার্চে বাবার নিথর শরীরকে বিদায় জানিয়েছিলেন রাহুল, সারা জীবনের মতো।
বাবার মৃত্যুদিনে আবেগঘন রাহুল। একই সঙ্গে এক গভীর দার্শনিক প্রশ্ন উঁকি দিয়ে যাচ্ছে তাঁর মনে। প্রশ্ন জাগছে, ১৪ মার্চের মত আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেক বছর আমাদের মৃত্যুদিন পার করে যাই। অথচ টেরও পাই না। যে ১৪ মার্চে রাহুল বাবাকে হারালেন তার সাত বছর আগের এক ১৪ মার্চ বাড়িতে জয়ের আনন্দ। বাঁধ না মানা উচ্ছ্বাস।
ইনস্টাগ্রামে বাবা-মায়ের সাদাকালো একটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। তাতে লেখা, “১৪ মার্চ ইন্ডিয়া অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ শেষ হয়েছিল…laxman আর dravid এর অবিস্মরণীয় পার্টনারশীপ এর উপর ভর করে ইন্ডিয়ার ওই অবিশ্বাস্য জয় দেখে আমি আর বাবা বুঝতে পারছিলাম না কি করে celebrate করবো…আনন্দ যেন বাঁধ মানছিল না…”। রাহুল থামেননি। ব্যক্ত করেছে সাত বছর পরের অভিশপ্ত সেই ১৪ মার্চের কথা। তিনি লেখেন, “এর বছর ৭ পরের 14 মার্চ,বাবার নিথর শরীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো শেষবার…খৈ উড়লো কিছু,দলের ছেলেরা বাবাকে ঘিরে বিজন ভট্টাচার্যের গান গাইতে গাইতে শ্মশানগামী হলো…আমিও রওনা দিলাম ওদের সাথে…যদিও আমি ছিলাম একটা ঘোর এর মধ্যে…কিছুই যেন স্পর্শ করছিল না আমাকে…”।
এর পরেই রাহুলের প্রশ্ন, “এরকম ১৪ মার্চ এর মতো আমরাও প্রত্যেকবছর আমাদের মৃত্যুদিন পার করে যাই…টের ও পাই না…হয়তো কোনো বছর এ ঐদিন আমাদের কাছে বিশেষ আনন্দের হয়…কী আশ্চর্য না?”
রাহুলের প্রশ্নে অবাক ফেসবুকে তাঁর বন্ধু-ভক্ত-পরিচিতরাও। একজন লিখেছেন, “কথাটা মনে দাগ কেটে গেল। প্রশ্নটাও”। আর একজনের বক্তব্য , “সত্যিই তো! এ ভাবে কোনওদিন তো ভেবে দেখিনি। আগের বছর যে দিনটায় আনন্দ করলাম, মজা করলাম, পরের বছর সেই দিনেই হয়তো আমি নেই।” দিন কয়েক আগেই মুক্তি পেয়েছে রাহুলের ছবি ‘শ্লীলতাহানির পরে’। ছবিতে রাহুলের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে সব মহলে। একই সঙ্গে ধারাবাহিকের কাজ নিয়েও ব্যস্ত তিনি। চলছে পরিচালনার কাজও।