Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘অন্যকে রগড়াতে গিয়ে নিজেই কখন রগড়ে যাবেন.. ধরতে পারবেন না’, দুই ‘ঘোষ’কে নিয়ে পোস্ট সৃজিতের

প্রশ্ন হল, ওই পোস্টের মাধ্যমে শুধু কি দিলীপ ঘোষের 'শিল্পীদের রগড়ে দেওয়া' মন্তব্যকেই কটাক্ষ করলেন সৃজিত? নাকি 'বন্ধু' রুদ্রনীলের ছবিসহ মিম শেয়ারের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে রুদ্রনীলের দলবদলের ইতিহাসকে কটাক্ষ এবং ২০২১ নির্বাচনে বিজেপি'র হয়ে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েও পরাজয়?

'অন্যকে রগড়াতে গিয়ে নিজেই কখন রগড়ে যাবেন.. ধরতে পারবেন না', দুই 'ঘোষ'কে নিয়ে পোস্ট সৃজিতের
রুদ্রনীল ও দিলীপ ঘোষকে নিয়ে পোস্ট সৃজিতের
Follow Us:
| Updated on: May 03, 2021 | 3:06 PM

ওঁদের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালই। একসঙ্গে বাড়িতে আড্ডা, একসঙ্গে বহু ছবিতে কাজ…চলেছে সবকিছুই। তবে এ বার বন্ধু রুদ্রনীল ঘোষকেই পরোক্ষে বিঁধলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তাঁর নিশানায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। ফেসবুকে শেয়ার করা সৃজিতের সাম্প্রতিকতম পোস্ট দেখে এমনটাই মনে করছেন নেটিজেনদের একাংশ।

ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন সৃজিত। পোস্ট না বলে বরং বলা ভাল মিম। মিমটিতে দেখা যাচ্ছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি ভিঞ্চিদা’থেকে রুদ্রনীলের একটি স্টিল। ইনসেটে রাগত মুখে তাকিয়ে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। হলুদ রঙে রুদ্রনীলের প্রায় মুখের উপরে লেখা, “অন্যকে রগড়াতে গিয়ে নিজেই কখন রগড়ে যাবেন, আপনি ধরতে পারবেন না।” সঙ্গে আবার হাপুশ নয়নে কান্নার একটা বেশ বড়সড় গোছের ইমোজি। সৃজিতের ক্যাপশনটিও বেশ নজর কাড়ে। তিনি লিখেছেন, “জানি, চারিদিকে মহামারির জন্য কঠিন সময় চলছে কিন্তু একজন সাধারণ শিল্পী হিসেবে এটা শেয়ার না করে পারলাম না।”

আরও পড়ুন–‘চুরির কাছে শিক্ষা হেরে গেল…ভিক্ষা-ভাতার কাছে কর্মসংস্থান…’

প্রশ্ন হল, ওই পোস্টের মাধ্যমে শুধু কি দিলীপ ঘোষের ‘শিল্পীদের রগড়ে দেওয়া’ মন্তব্যকেই কটাক্ষ করলেন সৃজিত? নাকি ‘বন্ধু’ রুদ্রনীলের ছবিসহ মিম শেয়ারের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে রুদ্রনীলের দলবদলের ইতিহাসকে কটাক্ষ এবং ২০২১ নির্বাচনে বিজেপি’র হয়ে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েও পরাজয়? টিভিনাইন বাংলা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। যদিও তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য যা লেখার তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছেন, তাই এই নিয়ে আর কিছু বলতে চান না।

 

প্রসঙ্গত, গত মাসের গোড়ায় দিলীপ ঘোষের এক বক্তব্যে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। এক সংবাদ মাধ্যমে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়, বেশ কিছু শিল্পীদের গাওয়া ‘আমরা এই দেশেতেই থাকবো’ গানটি তাঁর কেমন লেগেছে। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি চলেন, “শিল্পীদের এটা শোভা পায় না। রাজনীতিটা আমাদের করতে দিন। না হলে রগড়ে দেব। আর শিল্পীরা জানেন, আমি কীভাবে রগড়াই।” এর পরেই ঝড় ওঠে শিল্পীমহলে। দলমত নির্বিশেষে শিল্পীরা প্রতিবাদ জানান এই কথায়।

আরও পড়ুন-‘দিলীপ জেঠু দিলীপ জেঠু তোমার বাড়ি যাব…’, কবিতা লিখলেন ভাস্বর, পাল্টা রুদ্রনীল বললেন…

বিজেপি নেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্রও লেখেন, “নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আজ শিল্পী হয়ে নিজেকে খুব ছোট মনে হচ্ছে। রং মাখি বলে আমাদের এভাবে অপমান করা হবে? ‘রগড়ে’ দেওয়া হবে আমাদের পরিশ্রম। আমাদের নিজেদের কাজের প্রতি সততা নিষ্ঠাকে অসম্মান করা হবে? না ন্যাকামি করছি না। আমার বিজেপি কর্মী-শিল্পীদেরও বলছি, কাপুরুষ হবেন না। সবকিছুর সীমা রয়েছে! আমি এইরকম অসম্মানজনক আচরণকে সমর্থন করি না।’ রুদ্রনীল ঘোষকে টিভিনাইন বাংলার পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁর বক্তব্য ছিল, দিলীপ ঘোষ সবসময় মাঠে-ময়দানে-প্রচারে চাঁচাছোলা ভাষাতে কথা বলেন। রেখেঢেকে নয়, মেঠো ভাষাতেই তিনি প্রতিপক্ষকে পাল্টা দেন, এটাই ‘রগড়ানি’। যে গান নিয়ে কথা হচ্ছে, সেখানে অনেক কাগজ-টাগজ ছেঁড়া হচ্ছে। অন্য দেশে যাব না বলে ধেইধেই করে নাচছেন। সেই শিল্পীদের কাছে রূদ্রনীলের প্রশ্ন, “আপনাদের কে কোন দেশে যেতে বলেছে? পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে বিজেপিকে ফ্যাসিস্ট বলে সংযুক্ত মোর্চার প্রচার করছেন।” নির্বাচনের ফলাফলের পর সৃজিতের ওই পোস্ট যেন আরও একবার থিতিয়ে যাওয়া বিতর্ককে চাঙ্গা করে দিল।