Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Niya Sharma: কেন কাজ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন নিয়া! আর্থিক অভাবে সংসার চালাতে কী করতেন

Untold Story: একটা সময় আসে যখন আর্থিক সমস্যা শুরু হয়ে যায়। অতিমারীর সময় নিয়া বুঝতে পারে সবটা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।

Niya Sharma: কেন কাজ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন নিয়া! আর্থিক অভাবে সংসার চালাতে কী করতেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 18, 2022 | 9:45 AM

নিয়া শর্মা, একটা সময় যিনি দাপটের সঙ্গে তেনালি রমন করতেন, সেই সেলেব যেন রাতারাতি উধাও। হাতে নেই কাজ। একটা ভাল কাজের খোঁজে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি। নিয়ার এই কঠিন পরিস্থিতির জন্য দায়ী কে! কেন রাতারাতি তিনি কাজ ছেড়ে নিজেকে পাল্টে ফেলেছিলেন! না, অভিনয়ের সঙ্গে তাঁর কোনও সমস্যাই ছিল না। সমস্যা যা ছিল, তা হল নিয়ার পরিবারের। বাবা ছিলেন ক্যান্সারের রোগী। একমাত্র কন্যা সন্তান নিয়া না দু-দিক সামলাতে ছিলেন অপারক।

উত্তর প্রদেশের ফরিদাবাদে বাড়ি নিয়ার। সেখান থেকেই চলত তাঁর বাবার চিকিৎসা। তিনি কর্মসূত্রে থাকতেন মুম্বইতে। যার ফলে নিত্য দুদিক সামলানো বেশ কঠিন হয়ে উঠেছিল। সেই সময় বাবার পাশে থাকাটাই তাঁর সঠিক মনে হয়েছিল। যার ফলে অভিনয় ছাড়তে দুবার ভাবেননি নিয়া। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, যখন ঐতিহাসিক বিখ্যাত হাসির চিত্রনাট্যে তিনি কাজ করছেন, ঠিক তখনই তাঁর ভেতরটা ছিল অন্ধকারে। কষ্ঠে দিন কাটত বাবার চিন্তায়।

এমনই পরিস্থিতিতে বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তখনই রাতারাতি কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন নিয়া। এর ২ মাসের মাথায় বাবাকে হারিয়েছিলেন তিনি। তখন থেকেই পাল্টে যেতে থাকে সংসারের চেনা সমীকরণ। মাকে দেখে রাখা। আর্থিক দায়িত্বগুলো কাঁধে তুলে নেওয়া, সবটাই নিয়াকে করতে হয় একা হাতে। সেই মুহূর্তে কাজে ফেরার কথা ভাবতেই পারছিলেন না নিয়া। এখনও পর্যন্ত সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি অভিনেত্রী।

কিন্তু এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে তিনি অনেক কিছুই শিখেছেন। একটা সময় আসে যখন আর্থিক সমস্যা শুরু হয়ে যায়। অতিমারীর সময় নিয়া বুঝতে পারে সবটা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। তখনই একটু একটু করে কাজে ফেরার কথা মাথায় আসে তাঁর। তবে তখনই মিলছিল না ভাল কাজ। গোটা বিশ্ব তখন লকডাউনে। এরপর পেটের দায়ে তিনি বিজ্ঞাপনে কাজ করা শুরু করেন। তাঁর যা পারিশ্রমিক ছিল, তার এক চতুর্থ টাকায় কাজ শুরু করেছিলেন নিয়া। সেই সময় হাতে আসে কুন্ডালি ভাগ্যের কাজ। এর হাত ধরেই আবার ছন্দে ফেরেন নিয়া।