Aparajito: ছবিটা নন্দনে দেখাতে হবে, সত্যজিৎ রায়ের ছবি, কোনও ছাড় নেই: সায়নী ঘোষ

Saayoni Ghosh: তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সায়নী ঘোষ। 'অপরাজিত' ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। সায়নী কিন্তু নন্দনে ছবি না দেখানোর বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন।

Aparajito: ছবিটা নন্দনে দেখাতে হবে, সত্যজিৎ রায়ের ছবি, কোনও ছাড় নেই: সায়নী ঘোষ
'অপরাজিত' ছবিতে সায়নী ঘোষ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 13, 2022 | 11:34 PM

আজ (১৩.০৫.২০২১) মুক্তি পেল অনীক দত্তর নতুন ছবি ‘অপরাজিত’। সত্যজিৎ রায়ের জীবনের প্রথম ছবি ‘পথের পাঁচালী’ তৈরির ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ছবি। কিন্তু নন্দনে দেখান হচ্ছে না ছবিটি। তাই নিয়ে নানা মহলে কথা উঠছে। যে নন্দনের সঙ্গে অতীতে যোগ রয়েছে সত্যজিতের। যাঁর লোগো সত্যজিতের সৃষ্টি। যে সরকারী প্রেক্ষাগৃহের উদ্বোধন করেছিলেন স্বয়ং সত্যজিৎ, সেই প্রেক্ষাগৃহ থেকেই নাকি ব্রাত্য তাঁর জীবনের অধ্যায়ের উপর তৈরি এই ছবিটি। এর সঙ্গে অনেকে রাজনীতির যোগ খুঁজে পাচ্ছেন। যেহেতু বাম মনস্ক অনীক একাধিকবার তৃণমূল সরকারের বিরোধিতা করেছেন, তাই নাকি এই তাঁর ছবি দেখান হচ্ছে না সরকারী হলে। এমনটাই বলছেন নানা জনে। কিন্তু এদিকে লক্ষ্য করে দেখবেন, ভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্বাস ও দল নির্বিশেষে বহু অভিনেতাই এই ছবিতে অভিনয় করেছেন। একদিকে যেমন রয়েছেন বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে লড়াই করা অঞ্জনা বসু। অন্যদিকে রয়েছেন তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সায়নী ঘোষ। সায়নী কিন্তু নন্দনে ছবি না দেখানোর বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। ছবিটির পাশে কোমর বেঁধে দাঁড়িয়েছেন তিনি। মধ্য কলকাতার একটি নামী শপিং মলের মাল্টিপ্লেক্সে আয়োজিত ‘অপরাজিত’র প্রিমিয়ারে এসেছিলেন সায়নী। TV9 বাংলাকে তিনি বলেছেন, “ছবিটা নন্দন-এ দেখাতে হবে। সত্যজিৎ রায়ের ছবি। কোনও ছাড় নেই।”

এদিনই নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতেও ‘অপরাজিত’ নিয়ে একটি লম্বা পোস্ট করেছেন সায়নী। সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন,

” অপরাজিত সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ এবং উত্তেজনা নজর কাড়া।। ছবিটি আজকে রিলিজ করছে এবং ইতিমধ্যেই 40% প্রি-বুকিং শুরু হয়েছে। মানিক বাবুর পথের পাঁচালী বানাতে যা সময় বা কষ্ট বা ধৈর্য লেগেছিল, সেই তুলনায় কম হলেও অপরাজিত ছবি বানাতে স্পট বয় থেকে শুরু করে প্রোডিউসার সবার ই কাল ঘাম ছুটে গেছে।। লজিস্টিকস এর সমস্যা, অনসম্বল কাস্টিং, চ্যালেঞ্জিং ওয়েদার কন্ডিশান, লোকেশন এর সমস্যা এত কিছুর মধ্যেও প্রোডিউসার ফিরদৌসুল হাসান এবং পরিচালক অনিক দত্ত ছবিটাকে নিখুঁত ভাবে তৈরী করেছেন।। অনিক দার সঙ্গে সেই সর্ষে বাটার বিজ্ঞাপন থেকে আলাপ। মাঝেও আর একটা ছবি। আর প্রোডিউসারের সঙ্গে সেই নাটকের মতো থেকে।। বরাবরই কাজের ক্ষেত্রে একটা দারুণ আন্ডারস্ট্যান্ডিং এবং কমফোর্ট জোন কাজ করে। অনিক দত্তর ছবি নিয়ে প্রায় এক বছর পর শ্যুটিং ফ্লোর এবং বড় পর্দায় ফেরা যেকোনো অভিনেতার কাছে একটি বিশেষ প্রাপ্তি।। ওনার সাথে কাজ করা যেকোনো কলা কুশলির কাছে একটা ইন্টার্নশিপ এর থেকে কম কিছু না।। প্রত্যেক বার অনিক দত্তর ছবিতে কাজ করে নতুন কিছু শিখি এবং চেষ্টা করি সেই শিক্ষা টাকে পরবর্তী ছবিতে কাজে লাগাতে। আশা করছি সব কিছু কে সঙ্গে নিয়ে বা সব কিছুর উর্ধ্বে গিয়ে আগামী দিনেও অনেক অর্থ পূর্ণ কাজ আমরা একসঙ্গে করতে পারবো।
মানিক বাবুর চরিত্রে জিতু কমল একটি বিশেষ পাওয়া।। ছবিটা দেখতে দেখতে আমাদের কিছু জায়গাতে আপনাদের সত্যি মনে হবে আপনারা সত্যজিৎ রায় কেই দেখছেন। প্রত্যেকটি কলাকুশলী মিলিয়ে ছবিটা যে যত্ন সহকারে বানিয়েছেন, এই ছবিটার নির্দ্বিধায় হল ভর্তি দর্শক প্রাপ্য।। আমার যেই সকল শুভানুধ্যায়ী দর্শক, বন্ধু বান্ধব, সহকর্মীরা আমার অভিনয়ে ফেরার অপেক্ষা করেছেন, ‘ দিদি আবার কবে বড় পর্দায় দেখতে পাবো?’ জিজ্ঞাসা করেছেন,তাদের আমার কৃতজ্ঞতা, ভালো কনটেন্ট, ভালো মেকিং, এবং আপনাদের ভালোবাসায় জন্যই ফিরে ফিরে আসা। আশা রাখছি আপনাদের নিজের পারফরমেন্স দিয়ে আশাহত করবো না।। বাংলায় অনেক বাংলা ছবি একসাথে রিলিজ হয়, সেটার ভালো দিক যেমন আছে, কিছু অসুবিধে ও রয়েছে।। সেই নিয়ে নাহয় পরে কথা হবে।। তবে আজ অপরাজিত মুক্তি পাচ্ছে, এত গ্ল্যামারাস, অ্যাকশনবেসড, থ্রিলার, রম কম এর মধ্যে আমাদের ছবি টি একটি নিপাট সহজ সরল ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট ছবি।। সত্যজিৎ নামে কিংবদন্তীর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধার্ঘ্য।। প্রত্যেকটি বাংলা ছবি হলে গিয়ে দেখুন। আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিকে সাপোর্ট করুন। অপরাজিত র মতোন ছবি বানানোর সাহস বা দুঃসাহসিকতা যেই প্রত্যেক পরিচালক রা দেখান, তাদের পাশে থাকুন । ছবিটা দেখে ভালো লাগল অন্যদের দেখতে বলুন।। এই ছবি বিদেশে নানান জায়গায় ডাক পাচ্ছে।। মানুষের ভালো লাগছে। কিন্তু নিজের দেশের নিজের রাজ্যের দর্শকদের মতামত, তাদের প্রশংসা, বা সমালোচনা সবটার ই একটা আলাদা স্বাদ এবং গুরুত্ব থাকে।। মানিক বাবুর কাছেও ছিল।। অনিক বাবুর কাছেও আছে।।
আশা রাখলাম ছবিটা আপনারা
সপরিবা ‘Ray’ হলে গিয়ে দেখবেন।।
বাংলা সিনেমা সম্বৃদ্ধ হোক।।
বাংলা অডিয়েন্স দীর্ঘজীবী হোক।”