The Eken: মা চলে যাওয়ার সঙ্গে পয়লা বৈশাখের মজাও চলে গিয়েছে : অনির্বাণ চক্রবর্তী

The একেন: অন্যদিকে, বৈশাখি গল্প বলতে গিয়ে অনেকটা আবেগপ্রবণ অনির্বাণ।

The Eken:  মা চলে যাওয়ার সঙ্গে পয়লা বৈশাখের মজাও চলে গিয়েছে : অনির্বাণ চক্রবর্তী
The একেন: অনির্বাণ চক্রবর্তী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 08, 2022 | 6:42 PM

হাতে আর মাত্র কয়েকটাদিন। গুণে-গুণে কয়েকটা দিন পার করলেই বৈশাখের পয়লা। আপাতত চৈত্রের সেলই বাঙালির জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই এখনও যদি তেমন কোনও প্ল্যান না-করে থাকেন, তাহলে চটজলদি করে ফেলতে পারেন। সিনেমা তো দেখতে যাওয়া যেতেই পারে। পয়লা বৈশাখ প্রত্যেক বাঙালির কাছে এক অন্য আবেগ।

নতুন জামা, হালখাতার পুজো, বাড়িতে ফুলের ম-ম গন্ধ, অন্যদিনের তুলনায় রান্নাঘরে মটন কষার গন্ধ। এই দিনটায় মধ্য়বিত্ত বাঙালিদের হিসেবটা মনে হয় একটু কমেই যায়। হ্যাঁ, এ দিনটা শহরের তথাকথিত সেলিব্রিটিরাও মধ্যবিত্ত বাঙালিদের মতোই হয়ে যান হয় তো। পায়েল, অনির্বাণের কথা শুনে তো অনেকটা এমনটাই মনে হল।

দেখা হয়েছিল টিম The একেন-এর সঙ্গে। মুঠোফোনের গণ্ডি পেরিয়ে এবার তো একেনবাবু বড়পর্দায়। ১৪ এপ্রিল, পয়লা বৈশাখের ঠিক একদিন আগেই নতুন রহস্য নিয়ে শহরে আসছেন একেন অর্থাৎ অনির্বাণ চক্রবর্তী। ছবি মুক্তির আগে নিজের সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে শহরের এক রেস্তোরাঁয় উপস্থিত হয়েছিলেন অনির্বাণ ‘একেন’ চক্রবর্তী। তাঁর একপাশে ছিলেন প্রমথ অর্থাৎ সোমক ঘোষ আর অন্য দিকে বাপি অর্থাৎ সুহোত্র মুখোপাধ্যায়। আর মাঝে দাঁড়িয়ে ক্যাপ্টেন অফ দ্য শিপ জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। এসেছিলেন সঙ্গীত পরিচালক অম্লান চক্রবর্তী, গায়ক সিধু এবং গীতিকার গোধূলি শর্মা।

রেস্তোরাঁয় এসে বৈশাখী আড্ডায় মজেছিলেন পায়েল এবং অনির্বাণ। এখনকার বৈশাখের প্রথমদিনটা কেমনভাবে কাটে? পায়েলকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর উত্তর, “পয়লা বৈশাখ আগে তো খুবই স্পেশ্যাল ছিল। স্কুলে ফাংশন হত। তার অনেকদিন আগে থেকে রিহার্সাল হত। নতুন জামা পরার এক অন্যরকম উত্তেজনা কাজ করত। পয়লা বৈশাখ অনেকটা রোমাঞ্চকর ছিল তখন। এখন সময় পরিবর্তন হয়েছে। পরিস্থিতি বদলেছে। তবে এবার খুবই স্পেশ্যাল কারণ The একেন আসছে।”

অন্যদিকে, বৈশাখি গল্প বলতে গিয়ে অনেকটা আবেগপ্রবণ অনির্বাণ। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, পয়লা বৈশাখে এখনও কি সেই নতুন জামার গন্ধ টানে? মুখে হালকা হাসি মেখে তাঁর উত্তর, “মা থাকতে একটা স্যান্ডো গেঞ্জি হলেও কিনতে হত। এছাড়া ছোটবেলায় হালখাতার অন্যরকম উদ্দীপনা কাজ করত। দোকানে-দোকানে পুজো হত। সেখানে গিয়ে মিষ্টি খেতাম। সে এক অন্য মজা। সেই সব তো কবেই চলে গিয়েছে। তবে মা বেঁচে থাকাকালীন একটা স্যান্ডো গেঞ্জি কিংবা রুমাল হলেও কিনতে হত। কিন্তু এখন মা-ও চলে গিয়েছেন, মায়ের সঙ্গে সঙ্গে সেইসবও চলে গিয়েছে আমার।”

আরও পড়ুন:Ankush-Oindrila: অঙ্কুশের জীবনে ক্রমশ গুরুত্ব হারাচ্ছেন ঐন্দ্রিলা, মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি?

আরও পড়ুন:Viral News: ‘অর্থের অভাবে এ সব করতে বাধ্য হয়েছি’, আত্মহত্যার কথা ভাবতেও পিছু পা হননি উরফি