অকথ্য ভাষায় শাশুড়ি গালিগালাজ, কলকাতায় গোপনে বিয়ে করে কী পরিণতি হয় রেখার?
বলিপাড়ায় তাঁকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এখনও তিনি এভারগ্রীণ। কথা হচ্ছে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী রেখার। তাঁকে নিয়ে আলোচনারও অন্ত নেই। শোনা যায়, রেখা নাকি কলকাতায় এসে লুকিয়ে বিয়ে করেছিলেন এক জনপ্রিয় নায়ককে।
বলিপাড়ায় তাঁকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এখনও তিনি এভারগ্রীণ। কথা হচ্ছে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী রেখার। তাঁকে নিয়ে আলোচনারও অন্ত নেই। শোনা যায়, রেখা নাকি কলকাতায় এসে লুকিয়ে বিয়ে করেছিলেন এক জনপ্রিয় নায়ককে। ইয়াসির উসমানের লেখা তাঁর আত্মজীবনী ‘দ্য আনটোল্ড স্টোরি’র লেখা অন্তত এমটাই বলছে। সেই বইয়ে লেখা হয়েছে,যে রাতে বিয়ে করে স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি উঠেছিলেন রেখা সেই রাতে থেকেই নায়িকার উপর অকথ্য অত্যাচার শুরু করেন নায়কের মা । গালিগালাজ, নোংর কথা আরও কত কী! পরিস্থিতি এতটাই খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে রেখাকে চটি দিয়ে মারার উপক্রম করেন তিনি। প্রশ্ন হল কোন নায়ককে বিয়ে করেছিলেন রেখা? সেই রাতে কী কী হয়েছিল?
সেই নায়ক আর কেউ নন, ৭০-এর জনপ্রিয় হিরো বিনোদ মেহরা। অন্দরের ফিসফাস জিতেন্দ্রর সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর বিনোদের প্রেমে পড়েন রেখা। নিবিড় সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তাঁরা। ঠিক ছিল বিয়েও করবেন। রেখাও বিনোদকে চাইতেন মন থেকেই। কিন্তু সে সময় রেখার কাঁধে বদনামের বোঝা। ‘খারাপ মেয়ে’র তকমা জুটেছে। জুটেছে সেক্স ম্যানিয়াকের তকমাও। বিনোদের মা চাইতেন না ছেলে বিয়ে করুক রেখাকে। কিন্তু প্রেম কবেই বা সে সব হিসেব মেনে চলেছে বলুন তো?
শোনা যায়, বিনোদকে ভালবেসে বিন-বিন বলে ডাকতেন রেখা। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে রেখা বিনোদের পরিবার সম্পর্কে বলেন, “ওর মায়ের কাছে আমি অভিনেত্রী নই বদনাম হয়ে যাওয়া অভিনেত্রী। উনি মনে করেন আমার এক পচে যাওয়া অতীত রয়েছে। বিনোদের জন্য আগে পছন্দ করতেন। এখন আর করেন না।” সে যাই হোক, বই অনুযায়ী, ১৯৭৩ সালে তাঁরা বিয়ে করেন কলকাতায়। বিয়ে করেই রেখাকে নিয়ে নিজের বাড়িতে যান বিনোদ। তারপরেই শুরু হয়েই সেই ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “রেখা সবে শাশুড়ির মায়ের পা ছোঁয়ার জন্য এগিয়েছে বিনোদের মা কমলা মারাত্মক রেগে যান। রেখাকে যা নয় তাই বলে অপমান করতে থাকেন। বিনোদ চেষ্টা করেন মাকে বোঝাতে। কিন্তু ব্যর্থ হন তিনি। হঠাৎই পা থেকে চটি খুলে রেখাকে মারতে যান কমলা। লোক জমতে থাকে। রেখা ভয়ে কাঁপতে শুরু করে। দৌড়ে চলে যায় লিফটের কাছে। বিনোদ অনুরোধ করে বাড়িতে আসতে। কিন্তু মা যে নাছোড়বান্দা।” না, একসঙ্গে আর সংসার করা হয়নি তাঁদের। পরবর্তীতে সিমি গারেওয়াল বিনোদকে নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন রেখাকে, প্রশ্ন করেছিলেন বিয়ে নিয়েও। রেখা যদিও অতীত ঘেঁটে উত্তর দিতে চাননি।