গোপাল পাঁঠার নাতিকে আইনি পথে জবাব দিলেন বিবেক অগ্নিহোত্রী
চলচ্চিত্র নির্মাতা বিবেক অগ্নিহোত্রী তাঁর আসন্ন চলচ্চিত্র 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এই চলচ্চিত্রটি ৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ মুক্তি পাবে। চলচ্চিত্রটি সমালোচিত হয়েছে কারণ এতে গোপাল পাঁঠাকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

চলচ্চিত্র নির্মাতা বিবেক অগ্নিহোত্রী তাঁর আসন্ন চলচ্চিত্র ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এই চলচ্চিত্রটি ৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ মুক্তি পাবে। চলচ্চিত্রটি সমালোচিত হয়েছে কারণ এতে গোপাল পাঁঠাকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গোপাল মুখার্জি ১৯৪৬ সালের গ্রেট কলকাতা কিলিংস চলাকালীন একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ছিলেন। ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ ১৯৪৬ সালের ১৬ই আগস্টের কলকাতার অশান্তিকে কেন্দ্র করে নির্মিত, যা অল ইন্ডিয়া মুসলিম লিগ-এর “ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে”-র আহ্বানের পর শুরু হয়। এই ডাকে একটি আলাদা মুসলিম রাষ্ট্রের দাবি তোলা হয়।
গত মাসে, গোপাল পাঁঠার নাতি শান্তনু মুখার্জি অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে একটি আইনি নোটিশ পাঠান। পরে এফআইআর দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, অগ্নিহোত্রী একটি ব্যক্তিগত রিল-এ গোপাল পাঁঠাকে “এক সময় ছিল এক কসাই, নাম ছিল গোপাল পাঁঠা” বলে উল্লেখ করেছেন। এই অভিযোগের জবাবে অগ্নিহোত্রী বলেন, “আমি গোপাল মুখার্জির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রাখি। তিনি একজন বীর ছিলেন। আমি তাঁকে একজন বীর হিসেবেই দেখিয়েছি। কেন তাঁর নাম আমাদের দেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের তালিকায় নেই? আমি তাঁকে শুধু একজন বীর হিসেবেই উপস্থাপন করেছি। তাঁর নাতির ব্যাপারে বললে, তিনি অনেক দিন ধরেই আমাকে ফোন করছিলেন। আমি তো তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে ধন্যবাদ দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিলাম। কিন্তু পরে জানতে পারি তিনি টিএমসি-র সঙ্গে যুক্ত, আর এর বেশি কিছু বলতে চাই না কারণ এখন আইনি প্রক্রিয়া চলছে। আমরা আইনি ভাবে জবাব দিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, ”কিন্তু আমি একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই—কে কার নাতি, এটা দিয়ে কাউকে মহান প্রমাণ করা যায় না। যখন একটি সিনেমা মিডিয়া বা আলোচনার মধ্যে চলে আসে, তখন অনেকেই তাতে লাফিয়ে পড়ে নিজেদের যুক্ত করার চেষ্টা করে।” অগ্নিহোত্রী যোগ করেন, “গোপাল মুখার্জির চরিত্রটি কেবল দু’টি নথির উপর ভিত্তি করে নির্মিত, কারণ তাঁর সম্পর্কে লেখা খুবই কম। একটি হলো গোপাল মুখার্জির নিজের সাক্ষাৎকার, এবং অন্যটি হলো তাঁর নাতি শান্তনুর একটি সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকার। এই দুই উৎসেই যা বলা হয়েছে, আমি শুধু সেটাই চিত্রায়িত করেছি। উনি জানেন না। আমি আর কিছু বলতে চাই না, কারণ আমি আরেকটা নতুন বিতর্ক চাই না।”
