AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

PCOS: পিসিওএসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কার্যকর হতে পারে এই ৬ সাপ্লিমেন্ট! জানালেন চিকিৎসক

অনিয়মিত মাসিক, ওজন বৃদ্ধি, ব্রণর মতো একাধিক উপসর্গ এই পিসিওএসের লক্ষণ। অনেকেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাপ্লিমেন্টের আশ্রয় নেন। কিন্তু এই সব বাজার চলতি সাপ্লিমেন্ট কতটা কার্যকরী?

PCOS: পিসিওএসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কার্যকর হতে পারে এই ৬ সাপ্লিমেন্ট! জানালেন চিকিৎসক
| Updated on: Sep 07, 2025 | 2:22 PM
Share

বর্তমানে যে সব রোগ মহিলাদের মাথা ব্যথার বড় কারণ তার মধ্যে অন্যতম হল পিসিওএস। যত দিন যাচ্ছে পিসিওএস (PCOS) নারীদের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে। আধুনিক জীবনযাত্রার চাপ, অনিয়মিত ঘুম, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আর বসে বসে কাজ করা এর অন্যতম কারণ।

অনিয়মিত মাসিক, ওজন বৃদ্ধি, ব্রণর মতো একাধিক উপসর্গ এই পিসিওএসের লক্ষণ। অনেকেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাপ্লিমেন্টের আশ্রয় নেন। কিন্তু এই সব বাজার চলতি সাপ্লিমেন্ট কতটা কার্যকরী?

ডা. কুনাল সুদ, অ্যানেস্থেসিওলজি ও ইন্টারভেনশনাল পেইন মেডিসিন, একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়োতে জানিয়েছেন সেই কথাই। কোন ছয় সাপ্লিমেন্ট পিসিওএস আক্রান্ত নারীদের হরমোনাল স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক হতে পারে? তাও বলেছেন।

চিকিৎসক জানান, সাপ্লিমেন্ট কোনও চমৎকার নয়। কেবল হরমোনে ভারসাম্য বজা রাখতে, রক্তের শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে এবং মাসিক চক্রের সময় ঠিক রাখতে সহায়তা করতে পারে। সঠিক জীবনযাত্রার সঙ্গে এই সব সাপ্লিমেন্ট খেলে তবেই ফল পাওয়া সম্ভব। তাছাড়া, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও সাপ্লিমেন্ট শুরু না করার কথা জানিয়েছেন তিনি। কোন সাপ্লিমেন্ট কার্যকর?

১. ইনোসিটল (Inositol) – চিকিৎসক সুদের মতে, ইনোসিটল (বিশেষ করে মায়ো এবং ডি-কাইরোর ৪০:১ অনুপাতের মিশ্রণ) শরীরের ইনসুলিন ব্যবহারের ক্ষমতা বাড়ায় এবং সুস্থ ডিম্বস্ফোটনে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ইনোসিটল মাসিককে নিয়মিত করতে, টেস্টোস্টেরন-এর মতো অ্যান্ড্রোজেন হরমোন কমাতে এবং প্রজননক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে। তিনি আরও জানান, অনেক নারীর ক্ষেত্রে ইনোসিটল মেটফর্মিনের মতো কার্যকর, তবে তুলনামূলকভাবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম।

২. স্পিয়ারমিন্ট টি – গবেষণা অনুযায়ী, নিয়মিত স্পিয়ারমিন্ট টি খেলে পিসিওএস আক্রান্ত নারীদের টেস্টোস্টেরন কমে যায় এবং রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় থাকে। এটি ব্রণর সমস্যা এবং মুখে অতিরিক্ত লোম কমাতেও সহায়ক। প্রতিদিন ২ কাপ স্পিয়ারমিন্ট টি খেতে পারেন বলে জানান তিনি।

৩. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড – ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাল উৎস সামুদ্রিক মাছ। এটি কোলেস্টেরলকে উন্নত করে, ট্রাইগ্লিসারাইড কমায় এবং টেস্টোস্টেরন হ্রাস করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ওমেগা-৩ সাপ্লিমেন্ট নেন, তাঁদের মাসিক নিয়মিত হওয়ার পাশাপাশি প্রদাহের সমস্যা কমে।

৪. দারুচিনি (Cinnamon) – চিকিৎসকের মতে প্রতিদিন ১–২ গ্রাম দারুচিনি মাসিক নিয়মিত করতে এবং শরীরের ইনসুলিন ব্যবহারের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমানো এবং হৃদযন্ত্র ও মেটাবলিজমের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ভূমিকা রাখতে পারে।

৫. ভিটামিন ডি – ভিটামিন ডি-র ঘাটতি কম প্রজননক্ষমতা ও দুর্বল মেটাবলিজমের সঙ্গে যুক্ত। অনেক পিসিওএস আক্রান্ত মহিলার ভিটামিন ডি কম থাকে, বিশেষত যাদের ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স আছে বা যাদের ওজন বেশি। ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট হরমোনের সামগ্রিক ভারসাম্য উন্নত করতে সাহায্য করে।

৬. ক্রোমিয়াম পিকোলিনেট (Chromium Picolinate) – এটি ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক হতে পারে। যদিও এ বিষয়ে প্রমাণ সীমিত।