Snack Breaks: মেজাজ ফুরফুরে হলেই বাড়ে ক্ষতিকর স্ন্যাকস খাওয়ার বাসনা? জিভে লাগাম দিতে হবে যে…
Side Effects of Packed Food: প্রিজ়ারভেটিভ স্ন্যাকস তৈরি করার ক্ষেত্রে কোনও ঝামেলা নেই। প্যাকেট কেটে ডুবো তেলে ভেজে নিলেই স্ন্যাকস তৈরি। কিন্তু এই খাবারই রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।

খিদে পেলে আমরা শুধুমাত্র খাবার খাই, তা-ই নয়। মুড বা মেজাজের উপরও নির্ভর করে কখন কী খাবার খাব। যেমন মন খারাপ থাকলে বেশি করে চকোলেট বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হয়। তেমনই মন ভাল থাকলে ভাজাভুজি খাওয়ারও বেশি-বেশি করে ইচ্ছে হয়। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৭২% ভারতীয় খুশির মেজাজে থাকলে প্রিজ়ারভেটিভ স্ন্যাকস খেতে বেশি পছন্দ করে। প্রিজ়ারভেটিভ স্ন্যাকস অর্থাৎ যে সব খাবার হিমায়িত অবস্থায় প্যাকেটজাত করে রাখা হয়। এই সমীক্ষা অনুযায়ী, ৭৪% ভারতীয় স্বীকার করেছেন যে, তাঁদের ক্ষেত্রে এমনটা হয়। অর্থাৎ মুড ভাল থাকলে প্রিজ়ারভেটিভ স্ন্যাকস খেতে ইচ্ছে হয় তাঁদের।
গোদরেজ় ইয়ামিজ় (Godrej Yummiez) নামক সংস্থা এই ‘STTEM – সেফটি, টেকনোলজি, টেস্ট, ইজ অ্যান্ড মুড আপলিফটার-দ্য ইন্ডিয়া স্ন্যাকিং রিপোর্ট (ভলিউম I)’ প্রকাশ করেছে। ওই সংস্থা রেডি-টু-কুক বা প্রিজ়ারভেটিভ স্ন্যাকস তৈরি করে। তাদের করা এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৭০% ভারতীয় স্ন্যাকস খাওয়ার পর সন্তুষ্ট, আনন্দিত ও উত্তেজিত বোধ করে। এই সমীক্ষাটি সমগ্র ভারতজুড়ে ১০টি শহরে করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মুম্বই, পুনে, আহমেদাবাদ, দিল্লি, জয়পুর, লখনউ, কলকাতা, চেন্নাই, হায়দরাবাদ এবং ব্যাঙ্গালোরের মতো শহর।
৫৬% ভারতীয়ের মতে, যখন তাদের মন খারাপ থাকে তখন স্ন্যাকস খেতে ইচ্ছা করে। ৪০% ভারতীয় মনে করে যে, এই ধরনের জলখাবার তাদেরকে একঘেয়েমি থেকে বেরিয়ে আসতে এবং মেজাজকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। ৮১% দিল্লিবাসী যখন খুশির মেজাজে থাকে, তখন এই ধরনের স্ন্যাকস বেশি করে খায়। এই সংখ্যাটাই হায়দরাবাদ ও চেন্নাইয়ে ৭৭%, মুম্বইয়ে ৬৮%, আহমেদাবাদে ৬৭%, পুনেতে ৬৬%, বেঙ্গালুরুতে ৬৬%, লখনউয়ে ৬২% এবং জয়পুরে ৬১%। কলকাতাতেও ৭৫% মানুষ মনকে ভাল করতে প্রিজ়ারভেটিভ স্ন্যাকস খেতে পছন্দ করে।
ভারতে জলখাবার হিসেবে কখনওই প্রিজ়ারভেটিভ স্ন্যাকসকে প্রাধান্য দেওয়া হত না। কিন্তু শহুরে জীবনযাপনে অভ্যস্ত মানুষের ফুড-হ্যাবিট পাল্টে গিয়েছে বহুদিন। এই সমীক্ষা অনুযায়ী, এখন ভারতের অর্ধেকেরও বেশি বাবা-মা এই ধরনের স্ন্যাকসকেই জলখাবার হিসেবে গ্রহণ করতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে, প্রিজ়ারভেটিভ স্ন্যাকস তৈরি করার ক্ষেত্রে কোনও ঝামেলা নেই। প্যাকেট কেটে ডুবো তেলে ভেজে নিলেই স্ন্যাকস তৈরি। কাজকে সহজ করে বলে ৬০% মানুষ যাঁরা একা থাকেন, কমবয়সী কিংবা বাড়িতে রান্না করার কোনও লোক নেই, তাঁরা এই ধরনের স্ন্যাকসকেই বেছে নিয়েছেন।
কিন্তু মাথায় রাখবেন, মন ভাল রাখতে গিয়ে শরীরের ক্ষতি করে ফেলছেন এই ধরনের খাবার-দাবার খেয়ে। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই ধরনের প্রিজ়ারভেটিভ বা রেডি-টু-কুক খাবার খেলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। এতে এমন অনেক ধরনের উপাদান থাকে, যা শরীরে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাছাড়া এতে নুনের পরিমাণ অনেক বেশি। যার জেরে রক্তচাপ, কিডনিতে পাথর, অস্টিওপোরসিস এবং বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগ দেখা দেয়। এখন তাহলে প্রশ্ন: আপনার ফুরফুরে মেজাজ কি বাড়িয়ে তুলছে ক্ষতিকর স্ন্য়াকস খাওয়ার লোভ?





