Staying hydrated: প্রখর গ্রীষ্মেও কীভাবে থাকবেন কুল আর এনার্জিতে ভরপুর! মেনে চলুন এই সহজ নিয়মগুলি

Summer Season: ঘাম ঝরার কারণে শরীরে সোডিয়ামের মতো খনিজের ভারসাম্যে ঘাটতি হয়। ক্লান্ত লাগে। এনার্জির অভাব দেখা দেয়।

Staying hydrated: প্রখর গ্রীষ্মেও কীভাবে থাকবেন কুল আর এনার্জিতে ভরপুর! মেনে চলুন এই সহজ নিয়মগুলি
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 03, 2022 | 8:21 AM

গ্রীষ্ম (Summer Season) পড়লেই শুরু হয়ে যায় দরদর করে ঘাম ঝরা। এছাড়া রোদে ত্বক পুড়ে যাওয়া, ডিহাইড্রেশন (Dehydration), হিট স্ট্রোকের মতো বড়সড় ঝামেলা তো লেগেই থাকে। বিশেষ করে ভারতের মতো উষ্ণপ্রধান দেশে গ্রীষ্মকালে মাথায় রোদ নিয়ে কাজে বেরনো আগুনের সঙ্গে খেলা করার সমতুল্য। এছাড়া ঘাম ঝরার কারণে শরীরে সোডিয়ামের মতো খনিজের ভারসাম্যে ঘাটতি হয়। ক্লান্ত লাগে। এনার্জির (Energy) অভাব দেখা দেয়। সুতরাং গ্রীষ্মের দাবদাহের সঙ্গে লড়তে হলে শক্তিশালী হতে হবে অন্দর থেকে। তাই আগুন ঝরানো দিনগুলির সঙ্গে লড়াই করার জন্য কী খাবেন এবং কী করবেন তা খুব জরুরি ব্যাপার।

জল পান নয়, বরং জল খান

ঠিকই পড়েছেন। আমাদের প্রতিদিনের জলের চাহিদার ২০ শতাংশ মেটে তরলপূর্ণ খাদ্য থেকে। উদাহরণ হিসেবে শশা, পালং, মুলো, টম্যাটো, ফুলকপি, পিপারস, তরমুজ, ব্রকোলি, স্ট্রবেরি, পেঁপে এবং বাতাবি লেবুর মতো সব্জি ও ফলের সব্জির কথা বলা যায়। এই ধরনের ফল ও সব্জির ৯০ শতাংশই পূর্ণ থাকে জল দ্বারা। তাই সারা গ্রীষ্মভর এই ধরনের সব্জি ও ফল খান। বাইরে বেরলেও সঙ্গে রাখুন টিফিন বক্সে রাখুন শশা, স্ট্রবেরি, তরমুজ, বাতাবির মতো ফল। এই ধরনের খাবার আপনার শরীর জলশূন্য হতে দেবে না।

পানীয় যখন জলশূন্য

সব ব্রেভারেজ বা পানীয় শরীরে জলের চাহিদা মেটাতে পারে না। বরং কিছু কিছু পানীয় শরীরে তৈরি করতে পারে চরম জলশূন্যতা! কফি, সফট ড্রিংকস, বিয়ার, ওয়াইন, কড়া অ্যালকোহল, লেমোনেড, মিষ্টি চা, প্যাকেজড এনার্জি ড্রিংকস, স্মুদি, এবং ফ্লেভার্ড মিল্ক হল এমনই পানীয়। ব্রেভারেজগুলিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে চিনি, নুন এবং অন্যান্য উপাদান। ফলে এই ধরনের ব্রেভারেজ গ্রহণ করলে শরীরের কোষগুলি জল হারাতে থাকে। সুতরাং এই ধরনের পানীয় গ্রীষ্মকালে যথাসম্ভব কম পান করুন। সম্ভব হলে এই ধরনের পানীয়ের বদলে অল্প অল্প করে জলপান করুন। একান্ত সম্ভব না হলে ব্রেভারেজগুলি পানের পর জল পান করুন।

ঠান্ডা জলে স্নান

প্রবল গরমে ঘাম বেরয়। ফলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে জল বেরতে থাকে। অবশ্য ঠান্ডা জলে শরীরে জলের চাহিদা মেটে না ঠিকই, তবে স্নান করলে ঘাম কম হয়। দেহ থেকে দ্রুত জল বেরিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করা যায়।

ইনফিউসড ওয়াটার পান করুন

সাধারণ জল পান করে মজা পাচ্ছেন না? চিন্তা নেই জলেই যোগ করুন দুর্দান্ত কিছু উপাদান। তবে কৃত্রিম মিষ্টি বা ফ্লেভার মেশাবেন না। বরং জলে যোগ করুন লেবুর রস। দিতে পারেন শসা, বিবিন্ন ধরনের বেরি জাতীয় ফল। জলের স্বাদ যেমন বদলাবে তেমনই স্বাস্থ্যও ভালো রাখবে।

ডাবের জল জিন্দাবাদ

ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো খনিজসমৃদ্ধ ডাবের জল অবশ্যই পান করুন গরমকালে। ঘেমে নেয়ে যাওয়ার পর ডাবের জল পান করলে শরীরে জলের চাহিদা মেটে। এছাড়া ডাবের জলের ইলেকট্রোলাইটস দ্রুত এনার্জি জোগায়। ক্লান্তিভাব কাটে।

জবরদস্ত ব্রেকফাস্ট

কথায় বলে প্রাতঃরাশ করা উচিত রাজার মতো। গ্রীষ্মকালে এই প্রবাদ আরও বেশি করে খাটে। কারণ গরমকালে মারাত্মক ঘাম হয়। দ্রুত ক্লান্তি আসে। তাই ব্রেকফাস্টে এমন খাদ্য রাখতে হবে যা সারাদিন জুড়ে শরীরে অল্প অল্প করে এনার্জির জোগান দিতে পারে। অতএব সকালে অবশ্যই খান একবাটি ওটস। ওটস প্রচুর জলধারণ করার ক্ষমতা রাখে। আবার, ওটস-এর সঙ্গে চিয়া সীড যোগ করলে তা আরও বেশি জল ধরে রাখে। ফলে শরীরে জলের অভাব হয় না। চিয়া সীড ছাড়াও ওটস-এর সঙ্গে ব্লু বেরি, স্ট্রবেরিও যোগ করা যায়।

ডিহাইড্রেশনের উপসর্গ চিনুন

শরীর কি খুব শুকনো লগাছে, অস্বস্তি হচ্ছে? শরীরে একটা জ্বালাজ্বালা ভাব দেখা যাচ্চে। ত্বক যেন চুলকাচ্ছে মনে হচ্ছে? সাবধান— উপরিউক্ত সবগুলি লক্ষণই ডিহাইড্রেশনের দিকে নির্দেশ করে। এছাড়া খেয়াল করে দেখুন যে আপনার ইউরিন কি গাঢ় হলুদ বর্ণের হয়ে গিয়েছে? মাথা ব্যথা করছে? মারাত্মক ক্লান্ত লাগছে? খুব সাবধান সারা গায়ে ঠান্ডা জল দিন। অল্প অল্প করে একটানা অনেকক্ষণ জলপান করুন।

বাইরে বের হলে

গ্রীষ্মকালে কুল আর ফিট থাকার সবচাইতে কার্যকরী উপায় হল, যেখানেই যান না কেন সঙ্গে জলের বোতল রাখুন। অল্প অল্প করে সারাদিন জল পান করুন। খুব ক্লান্ত লাগলে খেতে পারেন একটি করে কলা। কলা দ্রুত এনার্জি জোগাতে সাহায্য করে। অতএব টিপস ফলো করুন। গ্রীষ্মে থাকুন কুল আর ফিট।

আরও পড়ুন: Stale Water: সারারাত পাত্রে রাখা বাসি জল সকালবেলা পান করা কি ঠিক হবে? সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের