Gas-Acidity: পঞ্চমী থেকেই শুরু বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি-নাইট আউট? গ্যাস-অম্বল এড়াতে মেনে চলুন এই টোটকা
Acidity and Gas Remedy: পুজো মানেই মিলনোৎসব। আর পুজোতে জমিয়ে খাওয়া, আড্ডা এসব হবেই। ষষ্ঠী অবধি অধিকাংশেরই অফিস। সেই অফিস সামলে তবেই আড্ডার প্ল্যান। পুজোকে কেন্দ্র করেই ঘরে ফেরা, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা। রতভর চলে মজলিস
গ্যাস-অম্বলের সমস্যা এখন বছরভর লেগেই থাকে। আর অধিকাংশ মানুষকেই এখন এই সমস্যার মুখে পড়তে হয়। জীবনযাত্রায় যেমন পরিবর্তন এসেছে তেমনই বদল এসেছে খাদ্যাভ্যাসেও। এক জায়গায় বসে কাজ করা, ফাস্ট ফুড খাওয়া, খাবার চিবিয়ে না খাওয়ার ফলে তা হজম হতে অনেক বেশি সময় লাগে। আর খাবার ঠিক ভাবে হজম না হলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা আসে। একটানা বসে কাজ করার পর ভাজা, তেলেপোড়া খাবার খেলে গ্যাস অম্বল হয়। রাতে খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লে সেখান থেকে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। খুব বেশি গ্যাস, অম্বল হলে বমি, পেট ফাঁপা, মুখ টক লাগা, পেট ব্যথা এসব অসুবিধে হয়। অনেকের বুকে ব্যথা, বুক জ্বালা করে। গ্যাস হলে তা সরাসরি বুকে আঘাত করে যেখান থেরে হার্ট অ্যার্টাকের সম্ভাবনাও থেকে যায়। তাই অ্যাসিডিটিকে মোটেই হালকা ভাবে নেবেন না। তেল-মশলাদার খাবার কম খান, জল পরিমাণে বেশি করে খেতে হবে। অ্যাসিডিটির জন্য মুঠো মুঠো ওষুধ খাওয়া শরীরের জন্য ঠিক নয়।
পুজো মানেই মিলনোৎসব। আর পুজোতে জমিয়ে খাওয়া, আড্ডা এসব হবেই। ষষ্ঠী অবধি অধিকাংশেরই অফিস। সেই অফিস সামলে তবেই আড্ডার প্ল্যান। পুজোকে কেন্দ্র করেই ঘরে ফেরা, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা। রতভর চলে মজলিস। সারা বছর যতই কড়া ডায়েট মেনে চলা হোক না কেন পুজোর সময় সকলেই ভাল-মন্দ খাবার পছন্দ করেন। আর এই সব খাবারের মধ্যে তেল অনেকটা বেশি পরিমাণে থাকে। তাই রাত জেগে ঠাকুর দেখে, খাওয়া-দাওয়ার পর অ্যাসিড তাড়াতে মেনে চলুন এই সব ঘরোয়া টোটকা।
১০-১৫ টা কালো কিশমিশ আগের রাতে একগ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে উঠে তা ছেঁকে নিয়ে খেয়ে নিন খালি পেটে। এতে হজমের কোনও অসুবিধে হবে না আর শরীরও ভাল থাকবে।
হাফ চামচ আমলার গুঁড়োর সঙ্গে একটু গাওয়া ঘি মিশিয়ে খেতে হবে। এবার রাতে শোওয়ার আগে এই মিশ্রণ খেয়ে এর সঙ্গে একগ্লাস ইষদুষ্ণ জল খান। এতে হজমের কোনও সমস্যা হবে না।
ধনে বীজ সারারাত একগ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন তা ছেঁকে নিয়ে ওর সঙ্গে একটু মিছরি মিশিয়ে খান। এতে পেট ঠান্ডা থাকবে আর হজমের কোনও অসুবিধে হবে না। এই অভ্যাস রোজ জারি রাখুন।