Fertility: ৬০ বছরেও খেল দেখাবেন ২৬-এর যুবকের মতো, যদি রোজ খান এই ফল
Male Infertility: চিকিৎসা শাস্ত্রে বেশ উপকারী ফল হিসাবে পরিচিত ডুমুর ফল। প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ এবং প্রাচ্য চিকিৎসাশাস্ত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়ে আসছে। এর গুণাগুণ শুধু শরীরের সার্বিক সুস্থতার জন্য নয়, পুরুষদের প্রজনন স্বাস্থ্য এবং শুক্রাণুর মান বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

চিকিৎসা শাস্ত্রে বেশ উপকারী ফল হিসাবে পরিচিত ডুমুর ফল। প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ এবং প্রাচ্য চিকিৎসাশাস্ত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়ে আসছে। এর গুণাগুণ শুধু শরীরের সার্বিক সুস্থতার জন্য নয়, পুরুষদের প্রজনন স্বাস্থ্য এবং শুক্রাণুর মান বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আধুনিককালএ বিভিন্ন গবেষণাতেও প্রমাণ পাওয়া গেছে যে নিয়মিত ডুমুর খেলে হজমশক্তি বাড়ে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হয়, রক্ত সঞ্চালন ভাল হয় এবং পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ডুমুর ফল খেলে কী কী উপকারিতা পাওয়া যায়?
পাচনতন্ত্রের উন্নতি করে – ডুমুরে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফাইবার। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং অন্ত্র পরিষ্কার থাকে।
হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা – এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে – ডুমুর পাতার নির্যাস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী, কারণ এটি ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
হাড়ের মজবুতি আনে – ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়ামের উপস্থিতি হাড় ও দাঁতের জন্য খুব উপকারী।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে – এতে ভিটামিন C, ভিটামিন K এবং বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায় কীভাবে?
ডুমুরকে প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রাকৃতিক কামোদ্দীপক বলা হয়। এটি পুরুষদের হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং যৌনশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
শুক্রাণুর মান এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করে – ডুমুরে জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম ও আর্জিনিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে, যা টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপাদনে সহায়ক। টেস্টোস্টেরন পর্যাপ্ত হলে শুক্রাণুর সংখ্যা (sperm count) ও গুণমান (motility, morphology) উন্নত হয়।
রক্তসঞ্চালন উন্নত করে – ডুমুর খাওয়ার ফলে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক হয়। যৌন অঙ্গের দিকে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ হলে ইরেকশনের মান ভালো হয় এবং প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাব – আধুনিক জীবনযাত্রায় দূষণ, মানসিক চাপ, ধূমপান বা অ্যালকোহলের কারণে শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি হয়, যা শুক্রাণুর DNA ক্ষতিগ্রস্ত করে। ডুমুরে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ও পলিফেনল যৌগ এসব ক্ষতিকর ফ্রি-র্যাডিক্যাল নষ্ট করে শুক্রাণুকে সুরক্ষা দেয়।
শক্তি ও সহনশীলতা বাড়ায় – ডুমুর প্রাকৃতিক শর্করা সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়। এটি ক্লান্তি দূর করে পুরুষদের যৌনক্ষমতা ও সহনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে।
হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা – ডুমুরে থাকা মিনারেল ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট পুরুষদের প্রজনন হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে প্রজনন প্রক্রিয়া আরও স্বাস্থ্যকর হয়।
কীভাবে খাবেন?
শুকনো ডুমুর রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। স্মুদি, সালাদ বা দুধের সঙ্গে খাওয়া যায়। মনে রাখবেন অতিরিক্ত খেলে ডায়রিয়া হতে পারে, তাই সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। দিনে ২–৩টি যথেষ্ট।
