COVID-19: ভ্যাকসিন গ্রহণের পর কতদিন করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ৯৬ শতাংশ থেকে ৮৪ শতাংশ হ্রাস পায়। তবে এ বিষয় নিয়ে গবেষকদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। এ

COVID-19: ভ্যাকসিন গ্রহণের পর কতদিন করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2021 | 7:21 AM

ভ্যাকসিন নেওয়ার পর আপনি কতক্ষণ মারাত্মক করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, যে তারিখ থেকে একজন ব্যক্তি কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন, তার চার মাস পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ম্লান হতে শুরু করে।

ফাইজার বা বায়োটেক ভ্যাকসিন ৪ মাস পর কোভিড ১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে কম কার্যকর হতে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ৯৬ শতাংশ থেকে ৮৪ শতাংশ হ্রাস পায়। তবে এ বিষয় নিয়ে গবেষকদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। একদল বিজ্ঞানীদের মতে, ইজরায়েলের প্রায় ৬০ এর বেশি ব্যক্তি, যাঁরা ২০২১সালের মার্চ মাসে ফাইজার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ় নিয়েছিলেন, এমন অংশগ্রহণকারীদের ২ মাস আগে তাদের যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ছিল, সেই তুলনায় সংক্রমণের বিরুদ্ধে ১.৬ গুণ বেশি সুরক্ষিত ছিল।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার এবং ফাইজারের কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে, কোভিড -১৯ এর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং ফাইজার ভ্যাকসিন উভয়ের কার্যকারী ভূমিকা রয়েছে। এই দুটি টিকাই সংক্রমণ প্রতিরোধে কম কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছিল। ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন দ্বারা অনুরূপ ফলাফল জানা গিছে।

কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন

বর্তমানে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আমাদের দেশে দুটি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন এবং সেরাম ইনস্টিটিউট – অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি – অ্যাসট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড। দুটি ভ্যাকসিনই নিষ্ক্রিয় ভাইরাস দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে। কোভিশিল্ডে এডেনোভাইরাস ব্যবহার করা হয়েছে, যা শিম্পাঞ্জির শরীরের মধ্যে পাওয়া যায়। অন্যদিকে কোভ্যাকসিনে ব্য়বহার করা হয়েছে নিষ্ক্রিয় একটি ভাইরাল স্ট্রেইন। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন, উভয় টিকার জন্যই দুটো করে ডোজ নিতে হয়।

একটি আদর্শ ভ্য়াকসিন সম্পূর্ণভাবে সংক্রমণ রোধ করতে পারবে কিনা সেই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অতিমারি পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯ এর সঙ্গে মানুষ যাতে সংক্রামিত না হতে পারে, তার জন্য উচ্চমাত্রার অ্য়ান্টিবডি তৈরি করার জন্যই এই ভ্যাকসিনের প্রয়োজন পড়ে। তবে অনেকেরই সন্দেহ শুরু হয়, একটি ভ্যাকসিনের দ্বারা সম্পূর্ণভাবে সংক্রমণকে আটকানো সম্ভব কিনা। প্রতকৃতপক্ষে অ্যান্টিবডি একটি কার্যকরী ইমিউন প্রতিক্রিয়ার সূচক মাত্র। শরীরের টি-লিম্ফোসাইটের মাধ্যমে ভাইরাসকে হত্যা করে ও ইমিউন মেমরি আমাদের দ্রুত কিলার টি সেল ও অ্যান্টিবডি উত্‍পাদনকারী বি কোষ তৈরিতে সক্ষম হয় এর অর্থ হল, ভ্যাকসিনের পর ব্যক্তির সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি নাও থাকতে পারে. তবে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বন্ধ থাকে না।

আরও পড়ুন: Coronavirus: করোনা থেকে রেহাই পেল না বন্যপ্রাণীরাও! কোভিড ১৯-এই আক্রান্ত চিড়িয়াখানার গোরিলারাও