Monsoon Health Tips: বৃষ্টি দিনে কান প্যাচপ্যাচ, ব্যথা? বর্ষাকালে কানের যত্ন নেবেন কীভাবে?
বর্ষা মানেই স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া। এমন পরিবেশেই সক্রিয় হয়ে ওঠে ফ্যাঙ্গাস, ব্যাকটেরিয়া। বার বার কানের সংক্রমণে ভোগেন মানুষ। কীভাবে বাঁচাবেন নিজের কর্ণদ্বয়?
উত্তরবঙ্গে বর্ষা (Monsoon Season) ঢুকে গিয়েছে। আর চিন্তা নেই। দক্ষিণবঙ্গেও দিন কয়েকের মধ্যে বর্ষা ঢুকে পড়ল বলে। এমনিতে বিক্ষিপ্তভাবে এদিকেওদিকে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মোদ্দা বিষয়টা হল তীব্র তাপপ্রবাহের দিন গত। এবার শুধু সারাদিন রিনিঝিনি বৃষ্টি। তবে মুশকিল একটাই। ভেজা আবহাওয়াতেই সক্রিয় হয়ে ওঠার সুযোগ পায় একাধিক ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া। ত্বক ও চোখ ছাড়াও কানেও (Ear Health) ছড়াতে পারে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। বিশেষ করে বর্ষাকালে, বাচ্চাদের কানে নোংরা জল প্রবেশ করলে সেখান থেকেও ছত্রাক সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া বর্ষাকালে বাতাসে জলীয়বাষ্পের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। বাতাসে আর্দ্রতা বৃদ্ধি মানেই তা বিভিন্ন জীবাণুর বংশবৃদ্ধির জন্য আদর্শ পরিবেশ। ফলে বাচ্চা হোক বুড়ো, বর্ষাকালে কানের সমস্যায় ভুগতে থাকেন সকলে। চিকিৎসকরাও জানাচ্ছেন, বছরের অন্যান্য ঋতুর তুলনায় বর্ষায় কানের নানা সমস্যা বেড়ে যায়। বৃদ্ধি পায় রোগীর সংখ্যাও।
কানে সংক্রমণের কারণ
কানে ছত্রাক সংক্রমণকে চিকিৎসা পরিভাষায় অটোমাইকোসিস বলে। ফ্যাঙ্গাস ছাড়াও কানে অন্যান্য সংক্রমণের কারণগুলি হল, ঠান্ডা লাগা এবং অ্যালার্জি। স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি এবং হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-এর মতো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণেও কানে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে। ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ সারাবছরই ঘটলেও বর্ষাকালে এই ধরনের সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যায়। চিকিৎসকরা অবশ্য বলছেন, এছাড়া কানের খোল বা ওয়াক্স সঠিকভাবে বেরতে না পারলেও তা ছত্রাক সংক্রমণে ইন্ধন জোগায়।
কানে সংক্রমণের উপসর্গ
কান বন্ধ, কানে অস্বস্তি, কান ফুলে যাওয়া, হালকা চুলকানি, কানে ব্যথা, শ্রবণক্ষমতা কমে যাওয়া, কান থেকে তরল নিঃসৃত হওয়া, কানে ঝিঁ ঝিঁ ভাব, কানে তীব্র ব্যথা হওয়া ইত্যাদি কানে সংক্রমণের উপসর্গ। এমনকী জ্বরও হতে পারে কানে সংক্রমণের লক্ষণ।
বর্ষাকালে কানের যত্ন
• স্নানের পর শুকনো কাপড় দিয়ে কান মুছে নিন।
• কানের ওয়াক্স বা খোল এমনিই বেরিয়ে আসে। আলাদা করে ইয়ারবাড ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। সেফটিপিন বা নরুন দিয়ে খোঁচাখুঁচিও করতে হয় না। বরং এই ধরনের জিনিস ব্যবহার করতে গিয়ে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কানের ক্ষত তৈরি হতে পারে। সেখান থেকে হতে পারে সংক্রমণ।
তবে কানে ওয়াক্স জমে পাথর হয়ে গেলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে তিনি কানে দেওয়ার জন্য ড্রপ দেবেন। সেই ড্রপ কয়েকদিন ব্যবহারে কানের ওয়াক্স নরম হয়ে যায়। এরপর ইএনটি চিকিৎসক সহজেই সেই ওয়াক্স বের করে দেন।
• খুব বেশি ঠান্ডা জিনিস খাবেন না। বর্ষাকালে ঠান্ডা খাবার থেকে গলা. সংক্রমণ ও সেখান থেকে কানে সংক্রমণ হওয়া আশ্চর্য নয়।
• নাকে সংক্রমণ হলেও দ্রুত ব্যবস্থা নিন। নাক থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে কানে।
• নিজের ইয়ারফোন নিজেই ব্যবহার করবেন। অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দিলে অবশ্যই তুলোয় জীবাণুনাশক দিয়ে ইয়ারফোন পরিষ্কার করুন ও তারপর ব্যবহার করুন।