Fatty Liver: ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত? কোন কোন জিনিসকে ঘেঁষতেই দেবেন না ত্রিসীমানায়, জানুন…

Fatty Liver Diet: রোজ রোজ বিরিয়ানি, ফাস্টফুড, পিৎজা, বার্গাগ, আইসক্রিম, তেলমশলাদার খাবার খেলে পেটের সমস্যা আসবেই। একইসঙ্গে ধূমপান আর মদ্যপানও বাড়িয়ে দেয় লিভারের রোগের ঝুঁকি

Fatty Liver: ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত? কোন কোন জিনিসকে ঘেঁষতেই দেবেন না ত্রিসীমানায়, জানুন...
কোন কোন খাবার আপনার জন্য বিষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 18, 2022 | 10:13 AM

ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের মত ঘরে ঘরে ঢুকে পড়েছে ফ্যাটি লিভারও। কারণ একটাই, রোজকার জীবনযাত্রা। এই মুহূর্তে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যাই সবচাইতে বেশি। রোজ রোজ বিরিয়ানি, ফাস্টফুড, পিৎজা, বার্গাগ, আইসক্রিম, তেলমশলাদার খাবার খেলে পেটের সমস্যা আসবেই। একইসঙ্গে ধূমপান আর মদ্যপানও বাড়িয়ে দেয় লিভারের রোগের ঝুঁকি। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হল লিভারে অতিরিক্ত পরিমাণ ফ্যাট জমা হওয়া। সেখান থেকে লিভারর সিরোরিস বা লিভার ক্যানসার- যে কোনও কিছু হতেই পারে। আর তাই সব মানুষকেই আগে থেকে সচেতন হতে হবে। লিভারে ফ্যাট জমা হয় ট্রাইগ্লিসারাইড বা কোলেস্টেরল হিসেবে।

যে ভাবে বুঝবেন ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হচ্ছে 

*অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া হলে লিভারে চাপ পড়ে। হজমের সমস্যা হয়। খাবারে অরুচি থাকে। বিলিরুবিনের পরিমাণ অজান্তে বেড়ে গেলে এই সমস্যা হয়। যে কারণে বছরে একবার বিভিন্ন পরীক্ষা এবং লিভার ফাংশন টেস্ট করে নেওয়া জরুরি।

*মধ্যপ্রদেশ বা ভুঁড়ি যদি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে তাহলে অবধারিত আপনি ফ্যাটি লিভার বাঁধিয়ে বসেছেন।

*লিভারে চর্বি জমলে খাওয়ার রুচি থাকে না। সঙ্গে বমি বমি ভাব, কখনও বমি, দ্রুত ওজন কমে যাওয়া, দুর্বল লাগা এসব থাকে। আর তাই কোনও কাজ করতেও ইচ্ছে করে না।

*ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হলে মাথাব্যথা, ডিপ্রেশন, মন খারাপ এসবও হতে পারে।

*হজমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি সমস্যা হতে পারে।

*রোজ মদ্যপান করলে সেখান থেকেও বাড়ে লিভারের সমস্যা। এছাড়াও হরমোনের ওষুধ, ব্যথার ওষুধ অ্যান্টিবায়োটিক খেলে লিভারের সমস্যা হয়।

আর তাই যে সব খাবার আপনার শরীরের জন্য বিষ

ঘি-  ঘি-আমাদের শরীরের জন্য ভাল। কিন্তু যাঁদের ফ্যাটি লিভারের সমস্যা রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে ঘি, মাখন একরকম বিষ। এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা রক্তে সরাসরি জমতে পারে। সেখান থেকে লিভার, হার্টের সমস্যা হতে পারে। তাই ঘি, মাখন একদম নয়। তেমনই এড়িয়ে চলুন ডালনা। ডালডা খাবারে দিলে স্বাদ বাড়ে তবে তা কিন্তু  লিভারের জন্য একেবারেই খারাপ। তাই ডালডা দেওয়া খাবার ভুলেও মুখে তুলবেন না।

কোল্ড ড্রিংক- কোল্ড ড্রিংক বা যে কোনও মিষ্টি কার্বোনেটেড ড্রিমক শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। কোল্ড ড্রিংকের মধ্যেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ মিষ্টি। আর তাই শরীরের জন্য কোল্ডড্রিংক একেবারেই ভাল নয়। এতে রক্তে সুগারের মাত্রা যেমন বাড়ে তেমনই ওজনও বাড়ে।

ভাজা মিষ্টি- ছানার ভাজা মিষ্টি যেমন পান্তুয়া, ল্যাংচা, লেডিকেনি এসব খেতে ভাল লাগে ঠিকই তবে তা শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। এর চেয়ে গরম রসগোল্লা কিংবা ফ্রেশ সন্দেশ খেতে পারেন। ঘিয়ে ভাজা মিষ্টি একদমই ছোঁবেন না।

মদ্যপান- মদ্যপান লিভারের জন্য একরকম বিষ। ভুলেও কিন্তু মদ মুখে ছোঁবেন না যদি এই সমস্যা থাকে। এখান থেকে বাড়াবাড়ি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অতিরিক্ত ক্যালোরি লিভারে জমা হলে শরীরে সমস্যা হয়। সেই সঙ্গে বাড়ে প্রদাহ জনিত অস্বস্তিও।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।