Protein Food: সন্তানকে প্রোটিন শেক খাওয়াচ্ছেন রোজ? মায়েরা জেনে নিন এই সাত-পাঁচ
Protein Supplements: প্রাণীজ প্রোটিনের তুলনায় উদ্ভিজ প্রোটিন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এছাড়াও ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ এসবও থাকে উদ্ভিজ প্রোটিনের মধ্যে। তবে প্রোটিন বেশি খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এমনকী প্রস্রাবের মধ্যেও প্রোটিনের পরিমা থাকে অনেক বেশি
প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের কোষ গঠনে, পেশী, অ্যান্টিবডি তৈরিতে, হরমোন মেরামত করতে সাহায্য করে প্রোটিন। পেশীর শক্তি বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই প্রোটিন। তবে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং শরীরের যাবতীয় কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রয়েছে এই প্রোটিনের। প্রোটিন আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে প্রতি কেজি ওজনের ০.০৮ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন রয়েছে। ৫০ বা তার বেশি যাঁদের বয়স তাঁদের প্রতিদিন গড়ে ৫০-৬০ গ্রাম প্রোটিন খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পেশীর ভর বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে পেশীকে শক্তিশালী করে তুলতেও ভূমিকা থাকে প্রোটিনের। যাঁদের ওজন কমানো লক্ষ্য থাকে তাঁদেরও নিয়মিত ভাবে প্রোটিন খেতে বলা হয়।
যাঁরা নিয়মিত ওয়ার্কআউট করেন তাঁদের প্রোটিন খেতেই হবে। এছাড়াও শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে, ত্বক-চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে, অ্যামিনো অ্যাসিড, কোলাজেন গঠনেও ভূমিকা রয়েছে প্রোটিনের। প্রোটিনের মূল উৎসগুলি হল-বাদাম, পিনাট বাটার, বিভিন্ন রকম ডাল, ডিম, টোফু, সালমন, কুইনোয়া, ওটস, আমন্ড এসব রয়েছে. এদের মধ্যে ওটস, কুইনোয়া এবং বিভিন্ন বীজ সুপারফুডের আখ্যা পেয়েছে। কুইনোয়ার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, ভিটামিন বি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। আর তাই রোজের ডায়েটে উদ্ভিজ এবং প্রাণীজ প্রোটিন এই দুই রাখতে হবে। মিলেট, চিয়াসিড, সোয়াবিন এসবও প্রোটিনের ভীষণ ভাল উৎস।
প্রাণীজ প্রোটিনের তুলনায় উদ্ভিজ প্রোটিন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এছাড়াও ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ এসবও থাকে উদ্ভিজ প্রোটিনের মধ্যে। তবে প্রোটিন বেশি খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এমনকী প্রস্রাবের মধ্যেও প্রোটিনের পরিমা থাকে অনেক বেশি।
খুব বেশি প্রোটিন কি খেতে পারেন?
উত্তর হল না। শরীরের ওজনের তুলনায় যদি ২ কেজি বেশি প্রোটিন খান তাহলে তা শরীরের জন্য একেবারেই ভাল হবে না। দেখা দেবে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও। বদহজম, ওজন বেড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত ক্লান্তি, নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, মাথাব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য এসব হল তার লক্ষণ। আর অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে রক্তে টক্সিনের পরিমাণ বাড়তে থাকে।
প্রোটিনের অভাব কি হতে পারে?
প্রোটিনের অভাব তখনই হবে যদি চিবিয়ে খাবার খাওয়া না হয়। দাঁতের সমস্যার জন্য অনেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দেয়। আর তাই প্রোটিনের অভাব হলে মাছ, ডিম, কুইনোয়া, পনির এসব খেতে হবে। সাদা ভাতের চাইতে কুইনোয়া সব সময় ভাল।
প্রোটিন পাউডার কি ভাল?
প্রোটিন পাউডারের চাইতে সুষম আহার অনেক বেশি জরুরি। আর তাই মেপে খাবার খেতে হবে। মাছ, মাংস, ডাল, ডিম এসব খান। চিয়া বীজ, কুইনোয়া নিয়ম করে রাখুন ডায়েটে। কৃত্রিম প্রোচিন নয়, রঙিন শাক-সবজি খান। এছাড়াও খাওয়ার আগে পুষ্টিবিদের পরামর্শ আবশ্যক।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।