AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Healthy Weight Week: উচ্চতা কত? কীভাবে বুঝবেন হাইট অনুসারে আদর্শ ওজন কত হওয়া উচিত?

Weight Loss Tips: লো ফ্যাট ডায়েট অনুসরণ করা বা অতিরিক্ত ব্যায়াম করাই ওজন কমানোর জন্য সেরা উপায় নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ওজন কমাতে হয় স্বাস্থ্যকর উপায়ে। কীভাবে পাবেন দৈহিক উচ্চতা অনুসারে ওজন? রইল বিশেষজ্ঞের টিপস।

Healthy Weight Week: উচ্চতা কত? কীভাবে বুঝবেন হাইট অনুসারে আদর্শ ওজন কত হওয়া উচিত?
ছবিটি প্রতীকী
| Edited By: | Updated on: Jan 21, 2023 | 8:56 AM
Share

অনেকেই চান চর্বিহীন ফিট এবং টান টান শরীর। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন মেদহীন শরীরের পরিবর্তে বরং আপনার উচিত আদর্শ ওজন পাওয়ার চেষ্টা করা। কারণ দৈহিক ওজন আদর্শ হলে তা দীর্ঘস্থায়ীরূপে নানা রোগকে রাখবে দূরে। প্রশ্ন হল আপনি কীভাবে বুঝবেন যে আপনার যে দৈহিক ওজন (Weight) রয়েছে তা আদর্শ কি না কিংবা আপনার আদর্শ উচ্চতা (Height) কত হওয়া উচিত?

আপনার উচ্চতার ভিত্তিতে আপনার আদর্শ ওজন কত হওয়া দরকার তা মাপা যায় একটি বিএমআই (Body Mass Index) গণনা করে। এই মাপকাঠিতে অতিরিক্ত ওজন (Overweight) বা স্থূল হওয়ার অর্থ হল অবিলম্বে আপনার ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং এই জাতীয় অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবার বিএমআই কম হলে বুঝতে হবে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, আপনি অস্টিওপোরোসিস, পেশির ক্ষয়, হাইপোথার্মিয়া ইত্যাদি সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ, ভালো ঘুমানো, নিয়মিত ব্যায়াম করা, আপনার স্ট্রেস লেভেল ম্যানেজ করা এবং অলস জীবন এড়ানোর মতো আপনার মৌলিক বিষয়গুলি মেনে চললে সাধারণত ওজন বাড়ে না।

কী ভাবে বিএমআই গণনা করা যায়

বিএমআই গণনার মূল সূত্র হল—

দৈহিক ওজনকে (কিলোগ্রামে) দৈহিক উচ্চতার (মিটারে) বর্গ দ্বারা ভাগ করা। অর্থাৎ বিএমআই = ওজন (কেজি)/উচ্চতা (মিটার)২।

এশিয়া মহাদেশে বসবাসকারী প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বিএমআই তিনটি ভাগে বিভক্ত—

১৮.৫ এর কম বিআমআই সাধারণত প্রয়োজনের তুলনায় কম ওজন থাকা নির্দেশ করে।

১৮.৫ থেকে ২২.৯-এর মধ্যে বিএমআই স্বাভাবিক ওজন নির্দেশ করে।

২৩-২৪.৯ রেঞ্জের বিএমআই অতিরিক্ত ওজন নির্দেশ করে।

২৫-এর বেশি বিএমআই স্থূলত্ব নির্দেশ করে।

আপনার বিএমআই কি ২৩-এর বেশি? স্বাস্থ্য ওজন সপ্তাহ উপলক্ষে, বিশেষজ্ঞরা ওজন কমানোর টিপস দিচ্ছেন। সম্পর্কে কথা বলেছেন।

ব্রেকফাস্ট থেকে শুরু করে দিনের শেষ খাবার পর্যন্ত খাবারের সময় সহ খাদ্যবস্তু তালিকাভুক্ত করে আপনার দিন শুরু করুন। কঠোরভাবে মেনে চলুন নিজের করা নিয়ম। পরের দিন, পুনরায় মূল্যায়ন করুন এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলি বাদ দেওয়ার চেষ্টা করুন। পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর বিকল্প খাদ্য খান। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি দিনে দু’বার ২ চা চামচ চিনি মিশিয়ে কফি পানীয় পান করেন তাহলে পরের বার কফি পান বাদ দিন ও বরং একচামচ মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে জল পান করার চেষ্টা করুন।

বাড়িতে স্টকে থাকা সমস্ত অস্বাস্থ্যকর খাবার ফেলে দিন। বাজার করার সময় স্বাস্থ্যকর এবং কম ক্যালোরিযুক্ত খাবারের তালিকা তৈরি করুন। কীভাবে করবেন এই কাজ? আপনি খাবারের প্যাকেটের লেভেলগুলিতে পুষ্টির মানগুলি পড়তে পারেন এবং চিপস, কেক, মিষ্টি পানীয়র মতো উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার কেনা এড়াতে পারেন।

খাদ্যগ্রহণের সময়

খাবার খাওয়ার জন্য সঠিক সময় বাছুন। অর্থাৎ অনেক বেলায় ব্রেকফাস্ট করা বা বিকেলবেলায় লাঞ্চ করলে চলবে না। আর হ্যাঁ একবারে প্রচুর পরিমাণে খাবারের পরিবর্তে বারবার অল্প অল্প করে খাবার খান। তাতে বিপাকক্রিয়ার উন্নতি হয়। স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)