Women Health: স্বাভাবিকের চেয়ে কম পরিমাণে ঋতুস্রাব হয়? এর পিছনে কোন কারণগুলি দায়ী, জেনে নিন

আপনি সুস্থ আছেন কিনা তা আপনার ঋতুস্রাবই বলে দেবে। অনিয়মিত ঋতুস্রাব বা ঋতুস্রাব জনিত শারীরিক সমস্যা আপনার প্রজনন স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এগুলিকে অবহেলা করা উচিত নয়।

Women Health: স্বাভাবিকের চেয়ে কম পরিমাণে ঋতুস্রাব হয়? এর পিছনে কোন কারণগুলি দায়ী, জেনে নিন
স্বাভাবিকের কম ঋতুস্রাব কোনও রোগের লক্ষণ হতে পারে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2021 | 1:43 PM

আপনি সুস্থ আছেন কিনা তা আপনার ঋতুস্রাবই বলে দেবে। অনিয়মিত ঋতুস্রাব বা ঋতুস্রাব জনিত শারীরিক সমস্যা আপনার প্রজনন স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এগুলিকে অবহেলা করা উচিত নয়। প্রত্যেক মহিলার মেন্সট্রুয়াল চক্র আলাদা হয়। কারোর ২ দিন তো কারোর ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

যদি আপনার ভারী এবং দীর্ঘ সময় ধরে ঋতুস্রাব হয়, তাহলে এটি বিশেষ কিছু সংক্রমণের ইঙ্গিত দেয়। এই কারণে পেলভিক সংক্রমণ বা কিছু রক্তের সমস্যা হতে পারে। আপনার যদি অতিরিক্ত কম ঋতুস্রাব হয় তাহলে অন্যান্য অসুবিধা দেখা দিতে পারে। এটি গর্ভপাত, মেনোপজ বা পিসিওএসের কারণে হতে পারে।

যদি আপনার হঠাৎ করে স্বাভাবিকের চাইতে কম ঋতুস্রাব হয়, তাহলে এটি প্রাথমিক গর্ভাবস্থার লক্ষণ হতে পারে। ইমপ্লান্টেশন রক্তপাত – হালকা দাগ বা রক্তপাত – গর্ভধারণের প্রায় ১০-১৪ দিন পরে ঘটতে পারে এবং এটি স্বাভাবিক হিসাবে বিবেচিত হয়। অন্যদিকে, এটি প্রাথমিক গর্ভপাতের লক্ষণও হতে পারে।

স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ স্বাতী গায়কওয়াড এই বিষয়ে জানিয়েছেন, এটি গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে দাগ বা বিলম্বিত ইমপ্লান্টেশন রক্তপাতকে ইঙ্গিত করতে পারে, বিশেষত যখন পিরিয়ডের সময় কাছাকাছি থাকে। আবার অনেক সময় এটি দেরিতে হতে পারে কিংবা পিরিয়ড মিস হওয়ার পরেও হতে পারে।

কম ঋতুস্রাবের সমস্যা মেনোপজের সময়ও দেখা দেয়। ৫০ বছরের আশেপাশে কম ঋতুস্রাবের হলে জানবেন আপনার মেনোপজের সময় এগিয়ে এসছে। এই সময় অনেকেই এক-দু মাস করে ঋতুস্রাব মিস করতে যান। এছাড়াও নানা ধরনের উপসর্গ রয়েছে। যেমন ঘুমের সমস্যা, অত্যধিক গরম হওয়া, ভাজাইনাল ড্রাইনেস অত্যাদি দেখা দিতে পারে মেনোপজের সময়।

এছাড়াও কম ঋতুস্রাব হলে আরেকটি সমস্যা তৈরি হতে পারে, যা হল পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম হরমোনের ভারসাম্যের সমস্যা, ডিম্বস্ফোটনের সমস্যা বা মাসিক চক্রের দৈর্ঘ্যের কারণে দেখা দিতে পারে। তবে অনিয়মিত মাসিক, বন্ধ্যাত্ব, অতিরিক্ত লোম বৃদ্ধি, স্থূলতা, তৈলাক্ত ত্বক পিসিওএসের সাধারণ লক্ষণ।

কম ঋতুস্রাব হওয়ার একাধিক কারণ রয়েছে। তবে ভাল হয় যদি সময় থাকতেই আপনি কোনও চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে ঋতুস্রাব হওয়া যেমন ক্ষতিকর, তেমনই কম পরিমাণ ঋতুস্রাবও শরীরে প্রভাব ফেলে। তাই আপনিও যদি এমন কোনও সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

আরও পড়ুন: অনিয়মিত পিরিয়ডসের সমস্যায় জেরবার? মেনে চলুন এই সব ঘরোয়া টোটকা, উপকার পাবেন হাতে-নাতে!

আরও পড়ুন: ওজন কমাতে ব্রেকফাস্টে এই ৬টি সাধারণ ভুল একেবারেই করবেন না!

আরও পড়ুন: নিয়মিত নেস্যাল স্প্রে ব্যবহার করলে আপনার শিশুর কী ক্ষতি হতে পারে জানেন?