Reason Behind Hang Over: রেড ওয়াইন খেলে কেন হ্যাংওভার হয় বলুন তো? সত্যি জানলে আর কোনও দিন খাবেন না
Reason Behind Hang Over: উত্তর পেতেই আন্ড্রুওয়াটার হাউস ও অপ্রামিতা দেবীর তত্ত্বাবধানে ক্যালিফোর্নিয়া-ডেভিস বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণা করেন।
বন্ধুদের সঙ্গে পার্টিতে গিয়ে একটু আধটু মদ্যপান সকলেউ করে থাকেন। কেউ পছন্দ করেন হুইস্কি, কেউ পছন্দ করেন রাম আবার কারও ফেভারিট রেড ওয়াইন। আবার প্রেমিকার সঙ্গে প্রথম ডেটে গিয়ে রেড ওয়াইন অর্ডার করে থাকেন অনেকে। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। পরের দিন সকালে উঠেই ধরে থাকে মাথা। মদ্যপানের এই এক হ্যাংওভারেরব সমস্যা লেগেই থাকে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই ভার হয়ে থাকে মাথা। কিন্তু কেন এমনটা হয়? রেড ওয়াইন খেলেই কেন ধরে থাকে মাথা, জানেন?
উত্তর পেতেই আন্ড্রুওয়াটার হাউস ও অপ্রামিতা দেবীর তত্ত্বাবধানে ক্যালিফোর্নিয়া-ডেভিস বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণা করেন। সেই গবেষণাতেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সাধারণত রেড ওয়াইনে উপস্থিত সালফাইট, বায়োজেনিক অ্যামাইন এবং ট্যানিনকেই এতদিন মাথাব্যথার কারণ হিসাবে দায়ী করা হত। তবে এই গবেষণার দাবি আঙুরের ত্বক ও বীজে নানা ফেনোলিক যৌগ থাকে। যা ওয়াইন বানানোর সময় ওয়াইনের লাল রঙের জন্য দায়ী।
এই খবরটিও পড়ুন
গবেষণার দাবি রেড ওয়াইন পান করলে অ্যালকোহলের সঙ্গে মিশে এই সব যৌগ মাথা ব্যথার কারণ হয়ে ওঠে। আসলে আমাদের শরীরে বিপাকক্রিয়াও এর জন্য দায়ী। শরীর অ্যালকোহলকে দুটি ভাগে ভেঙে দেয়, অ্যালকোহলের হজম দুটি ধাপে ঘটে। প্রথমে, ইথানলকে এসিটালডিহাইডে রূপান্তরিত করে তারপর অ্যালডিহাইড ডিহাইড্রোজেনেস এনজাইমকে অ্যাসিটালডিহাইড অ্যাসিটেটে রূপান্তরিত করে।
এবার যাঁদের ফ্লাশ স্কিন রয়েছে গবেষকদের দাবি তাঁদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ধাপের হজম প্রক্রিয়ার গতি কমে যায়। ফলে শরীরে অ্যাসিটালডিহাইড ALDH জমতে থাকে, সেই থেকেই মাথা ব্যথা বা হ্যাংওভার হয়।
রেড ওয়াইনে প্রচুর পরিমাণে কোয়ারসেটিন থাকে যা ALDH-এর একটি হজম প্রক্রিয়ার গতিকে কমিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই কোয়ারসেটিনের বহুল উপস্থিতি রয়েছে আঙুরের চামড়ায় বা ত্বকে। যেহেতু সাদা ওয়াইনের চেয়ে রেড ওয়াইনের ক্ষেত্রে আঙুর অনেক বেশি সময় ফারমেন্ট করার জন্য রাখা হয় তাই পানীয়ে কোয়ারসেটিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে রেড ওয়াইন খেলে হ্যাংওভার বেশি হয়।
গবেষকরা জানিয়েছেন যখন আমরা খাবার বা ওয়াইন থেকে কোয়ারসেটিন শোষণ করি, তা লিভারের মাধ্যমে গ্লুকুরোনাইডে রূপান্তরিত হয়। এই কোয়ারসেটিন গ্লুকুরোনাইড শরীরে অ্যালকোহলের বিপাককে ব্যাহত করে। ফলে শরীরে অতিরিক্ত অ্যাসিটালডিহাইড জমা হয়, এবং প্রদাহ ও মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে।