Amit Shah: ‘সুপ্রিম রায়ে যাঁরা আনন্দ পাচ্ছেন…’, বংশবাদীদের শাহের কড়া সতর্কবার্তা
Amit Shah on SC verdict of ED case: সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে যারা উচ্ছ্বসিত, তাদের 'বিভ্রান্ত' বলে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এক টুইট বার্তায় শাহ বলেছেন, “ইডি ডিরেক্টরের পদে কে আসীন, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়।"

নয়া দিল্লি: ইডির ডিরেক্টর বদল হলেও, দুর্নীতিগ্রস্তদের পরিত্রাণ নেই। তাদের বিরুদ্ধে ইডির তদন্ত যেই রকম চলছিল, সেই রকমই চলবে। সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের ডিরেক্টর এসকে মিশ্রর কার্যকালের মেয়াদ তৃতীয়বারের জন্য বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। তবে, মঙ্গলবার এই মেয়াদ বৃদ্ধিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে চলতি মাসের শেষেই সম্ভবত তাঁকে অবসর নিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে যারা উচ্ছ্বসিত, তাদের ‘বিভ্রান্ত’ বলে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এক দীর্ঘ টুইট বার্তায় শাহ বলেছেন, “যারা ইডি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে আনন্দিত তারা বিভিন্ন কারণে বিভ্রান্ত। ইডি ডিরেক্টরের পদে কে আসীন, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ যিনিই এই পদ গ্রহণ করবেন তিনিই উন্নয়নবিরোধী মানসিকতার বংশবাদীদের এই আরামের ক্লাবের ব্যাপক দুর্নীতির বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।”
ইডির ডিরেক্টরের পদে এসকে মিশ্রর কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি অবৈধ বলে ঘোষণা করলেও, সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন অ্যাক্ট এবং দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্টের সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে যে আবেদন করা হয়েছিল, সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়টি টুইটে উল্লেখ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “ইডি-র ক্ষমতা একটুও কমেনি। আগের মতোই এই প্রতিষ্ঠান দুর্নীতিবাজ এবং বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। ইডি যে কোনও একক ব্যক্তির থেকে অনেক বড় প্রতিষ্ঠান। অর্থ নয়ছয়ের অপরাধ এবং বৈদেশিক মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের মামলার তদন্ত করাই এই প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য, আর এই প্রতিষ্ঠান তাই করে থাকে।”
Those rejoicing over the Hon’ble SC decision on the ED case are delusional for various reasons:
The amendments to the CVC Act, which were duly passed by the Parliament, have been upheld.
Powers of the ED to strike at those who are corrupt and on the wrong side of the law…
— Amit Shah (@AmitShah) July 11, 2023
এর আগে কেন্দ্র অভিযোগ করেছিল, ব্যক্তিগত স্বার্থেই এসকে মিশ্রের মেয়াদ বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়েছে। কেন্দ্র আরও দাবি করে, এই আবেদন সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদের অপব্যবহার। সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদে, ভারতের প্রত্যেক নাগরিককে, মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে সুপ্রিম কোর্ট থেকে সাংবিধানিক প্রতিকার চাওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র আরও দাবি করেছিল, জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি এবং অন্যান্য পদাধিকারীরা, ইডির তদন্তের হাত থেকে বাঁচতেই এই আবেদন দায়ের করেছেন। সরকার আরও বলেছিল, ওই ব্যক্তিরা চাইলে উপযুক্ত আদালতে আবেদন করতে পারতেন। সেই বিষয়ে তাদের বাধা দেওয়া হয়নি। কিন্তু, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সঞ্জয় করোলের বেঞ্চ জানায়, আইনসভা শুধুমাত্র আইন প্রণয়ন করতে পারে। কিন্তু, আদালতের কোনও নির্দিষ্ট আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা তার নেই। এর আগে, ইডির ডিরেক্টরের কার্যকালের মেয়াদ আর সম্প্রসারণ করা যাবে না বলে আদেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।





