Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Anubrata Mondal: শুভেন্দুর ‘বড়দিনে’র পয়লা তারিখেই দিল্লিতে কেষ্টর মামলার শুনানি, এবার কি ঠিকানা বদল হবে বাহুবলীর?

Anubrata Mondal: সেই মামলাতেই শুনানি। কী কী নিয়ে সওয়াল জবাব, কোথায় কোথায় কী কৌশল, দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে।

Anubrata Mondal: শুভেন্দুর 'বড়দিনে'র পয়লা তারিখেই দিল্লিতে কেষ্টর মামলার শুনানি, এবার কি ঠিকানা বদল হবে বাহুবলীর?
অনুব্রত মণ্ডল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 12, 2022 | 8:00 AM

দিল্লি: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ডিসেম্বর ডেডলাইনের পয়লা তারিখ বারোই ডিসেম্বর। বাংলায় যখন কী হয় কী হয় রব, তখনই দিল্লিতেও মহা ব্যস্ততা। রাজধানীর হাইকোর্টে ফের কেষ্ট কেস। সিবিআই জালে ইতিমধ্যেই আসানসোলের জেলে রয়েছেন বীরভূমের বাহুবলী। অনুব্রতকে নিজেদের জালে তুলতে মরিয়া ইডিও। আইনমাফিক শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে আগেই খানিকটা কব্জা করেই ফেলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরার তোড়জোড়। আর তেমন আঁচ পেয়েই পাল্টা দিল্লি হাইকোর্টে ছুটেছেন কেষ্টর আইনজীবীও। সেই মামলাতেই শুনানি। কী কী নিয়ে সওয়াল জবাব, কোথায় কোথায় কী কৌশল, দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে।

জানা গিয়েছে, অনুব্রতর মামলায় প্রথমেই উঠবে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন। আগেই এজলাস বদলের আর্জি জানানো হয়েছে কেষ্টর পক্ষে। আইনজীবী কপিল সিব্বলের যুক্তি, গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্র, সায়গল হোসেনের মামলা চলছে অন্য এজলাসে। ফলে একই বিচারপতির বেঞ্চে শুনানির আর্জি জানিয়েছেন সিব্বল। শেষমেশ এখনই কেষ্ট দিল্লিযাত্রায় আরও সময় হাসিল করতে সোমবার শুনানিতে গরহাজিরও থাকতে পারেন সিব্বল। অন্য মামমলায় ব্যস্ততার যুক্তিতে এজলাসে আইনজীবী অনুপস্থিত থাকলে জুটে যেতে পারে বাড়তি সময়।

তবে কি বারোই ডিসেম্বরই ঠিক হচ্ছে যাবে কেষ্ট দিল্লি যাচ্ছেন কি না? নাকি তারিখ পে তারিখের চক্করে চলতেই থাকবে শুনানির পর শুনানি? দিল্লি দরবারে কান পাতলে অবশ্য শোনা যাচ্ছে সোমবারই কোর্টে বড় কোনও ফয়শালা হবে না। তবে শুভেন্দু ডেডলাইন তারিখই ঘি ঢেলেছে জল্পনায়। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘১২-১৪-২১ তিনটি দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ।’ বিরোধী দলনেতার এত্ত জোরাল দাবি। তাই দিল্লির কোর্টে টানটান নজর বাংলার শাসকের।

তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর প্রশ্ন তুলে বলেন, “ইডি-সিবিআই আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রক কি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল?” এতো গেল মামলা মোকদ্দমার আইনি দিক। শুনানিতে কেষ্টর কষ্ট আরও বাড়বে নাকি আপাতত মিলবে খানিকটা স্বস্তি। বলবে সময়।

উল্লেখ্য, নিজাম থেকে জেল। সেই এগারোই অগাস্ট থেকে গারদবন্দি বীরভূমের বেতাজ বাদশাহ। প্রভাবশালী তত্ত্বে বারবার খারিজ হয়েছে জামিন আর্জি। আপাতত কেস ঝুলে কলকাতা হাইকোর্টেও। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। এরমধ্যেই যদি ইডির ফাঁসে শেষমেশ দিল্লিযাত্রা করতেই হয় তবে তো ঘোর বিপাকে অনুব্রত।  এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর তাই আজ রাজধানীর এজলাসে তীতক্ষ্ণ নজর বাংলার শাসকবিরোধী দুই পক্ষেরই।